স্কয়ার টয়লেট্রিজের সিইও হলেন মালিক মোহাম্মদ সাঈদ
Published: 8th, February 2025 GMT
স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন মালিক মোহাম্মদ সাঈদ। এর আগে তিনি প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) হিসেবে একই প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এই পদোন্নতির মাধ্যমে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড প্রথমবারের মতো পেল প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
এফএমসিজি খাতে ২৩ বছরের বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মালিক মোহাম্মদ সাঈদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০০২ সালে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডে ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভ হিসেবে যোগ দেন। নতুন এই পদোন্নতির আগে তিনি প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা, হেড অব অপারেশনস, হেড অব মার্কেটিংসহ প্রতিষ্ঠানটির নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা থাকাকালে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মালিক মোহাম্মদ সাঈদের বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতা ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের সংগঠন ‘আইবিএ অ্যালামনাই ক্লাব’-এর পরিচালনা পর্ষদের অন্যতম একজন পরিচালক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন পর চ
এছাড়াও পড়ুন:
মারমাদের মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব যে কারণে হয়, যেভাবে এল
মারমা জনগোষ্ঠীর সাংগ্রাইং উৎসবের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে আছে ‘মৈতা রিলং পোয়ে’ বা মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব। এই উৎসবে পরস্পরের দিকে পানি ছিটিয়ে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হন মারমারা। ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’(এসো হে সাংগ্রাইংয়ে সবাই মৈত্রী পানিবর্ষণে) গানটিও দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আছে এই উৎসবের ‘থিম সং’।
গবেষক ও মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবের শুরু গত শতকের সত্তরের দশকে। কিছু তরুণ মিয়ানমারে সাংগ্রাইং উৎসবে এ ধরনের আয়োজন দেখে দেশেও এর প্রচলন করেন। আর ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’ উৎসবের থিম সং হয়েছে ১৯৮৪ সালে।
মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবকে অনেকেই ‘জলকেলি’ ও ‘পানি খেলা’ বলে থাকেন। তবে এসব নাম আপত্তিকর বলে মনে করেন মারমা সমাজের অনেকেই। তাঁদের দাবি, এর মধ্য দিয়ে ধর্মের যোগ থাকা অনুষ্ঠানটি ভুলভাবে উপস্থাপন হয়।
এবারের সাংগ্রাইং উপলক্ষে আজ বুধবার থেকে বান্দরবান জেলা শহরে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব শুরু হয়েছে। তবে জেলার অন্যান্য জায়গায় গতকাল মঙ্গলবার এই উৎসব শুরু হয়। খাগড়াছড়িতে কোথাও কোথাও সোমবার শুরু হয়েছে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব।
মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণদের একজন শিক্ষাবিদ থোয়াইংচ প্রু। তিনি প্রথম আলকে বলেন, সাংগ্রাইং আখ্যেয়া বা মূল সাংগ্রাই দিনে বুদ্ধমূর্তি স্নানের আগে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব হয় না। এটা প্রথাসিদ্ধ রীতি। তাই মৈত্রী পানিবর্ষণের সঙ্গে ধর্মের যোগ বেশ স্পষ্ট। তিনি বলেন, পানিকে মারমারা পবিত্র মনে করে। তাই সাংগ্রাইং উৎসবে বন্ধুত্বের বন্ধন এবং পরস্পরের প্রতি মৈত্রী ভাবনা নবায়ন ও সুদৃঢ় করার জন্য একে-অপরের দিকে পানি ছোড়েন। পানি ছিটানোর পর কেউ বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখালে বোঝা যাবে, বন্ধুত্বের সম্পর্কে ও বন্ধনে টানাপোড়েন আছে। এটিই মৈত্রী পানিবর্ষণের মূল্যবোধ। এ কারণে অনেক সময় অযাচিত কাউকে পানিবর্ষণ করলে আগে সালিসের মুখোমুখিও হতে হতো।
মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবে মেতেছেন মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা। গতকাল বান্দরবানের ডলুপাড়ায়