মুক্তাগাছায় ট্রাকচাপায় এএসআই নিহত
Published: 8th, February 2025 GMT
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় ট্রাকচাপায় পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেলে দুর্ঘটনার পর গুরুতর অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তিনি মারা যান।
নিহত এএসআইয়ের নাম মো. রুস্তম আলী (৪২)। তিনি মুক্তাগাছা থানায় কর্মরত ছিলেন৷ তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্চ গ্রামের রমজান আলী ছেলে। তাঁর তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকালে উপজেলার কুমারগাতা ইউনিয়নের মনতলা এলাকা থেকে নির্ধারিত কর্তব্য (ওয়ারেন্ট তামিল) পালন শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে থানায় ফিরছিলেন এএসআই রুস্তম। পথে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সত্রাসিয়া এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পানির ড্রাম ভর্তি ট্রাক সামনে থেকে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ধ্যা সাতটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে ‘অজানা বিষক্রিয়ায়’ ৩ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ‘অজানা বিষক্রিয়ায়’ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন চা বিক্রেতা আবদুল জলিল (৫২), ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক ওরফে নিজাম (৫৩) ও গাড়িচালক মো. সুমন (৪০)। এর মধ্যে আবদুল জলিল গফরগাঁও উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চরমুসলন্দ গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে, মো. সুমন চরমুসলন্দ গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে। মোজাম্মেল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সোহেলপুর গ্রামের মাসুদ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোজাম্মেল হক পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছেন বলে গফরগাঁও এসেছিলেন। বুধবার রাতে গফরগাঁওয়ের চরমুসলন্দ গ্রামে আবদুল জলিলের বাড়িতে মোজাম্মেলসহ কয়েকজন আড্ডা দেন। সেখান থেকে আজ ভোর ৪টা ২০ মিনিটের দিকে আবদুল জলিল ও মোজাম্মেল হককে গফরগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাঁদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দুজনের মৃত্যুর প্রমাণপত্রে চিকিৎসক উল্লেখ করেন, ‘মৃত অবস্থায় দুজনকে আনা হয়। অজানা বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।’
এদিকে আজ ভোর ৪টা ৩৫ মিনিটে গফরগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চরমুসলন্দ গ্রামের হাসিম মিয়ার ছেলে মো. সজীবকে (৩০) অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করা হয়। তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক।
গফরগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আজ ভোরে প্রথম দুজনকে আনা হলে তাঁদের ময়মনসিংহে পাঠানো হয়। তাঁরা মদ্যপ ছিলেন। পরে সজীব নামের একজনকে আনা হয়; তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টায় সুমন নামের একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
আজ দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশঘরের সামনে নিহত মোজাম্মেল হকের চাচাতো ভাই জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘আমার ভাই বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছি বলে গত বুধবার ঢাকার বাসা থেকে বের হন। কী কারণে মারা গেছে, আমরা বলতে পারছি না।’
গফরগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর সকাল সাড়ে ৯টায় সুমন মিয়াকে মৃত ঘোষণা করলে স্বজনেরা তাঁর মরদেহ বাড়িতে নিয়ে দাফনের প্রস্তুতি শুরু করেন। সুমনের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার বলেন, তাঁর স্বামী মধ্যরাতে বাড়িতে ফেরেন। বাড়িতে ফেরার পর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আজ সকালে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবিরুল ইসলাম বলেন, মোজাম্মেল হক এক বোতল হুইস্কি নিয়ে বন্ধু জলিলের বাড়িতে এসেছিলেন। সেখানে তাঁরা চার-পাঁচ বন্ধু মিলে মদ খান। অসুস্থ বোধ করলে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। মৃত সুমনের বিষয়ে পুলিশের কাছে এখনো তথ্য আসেনি; তাঁরা খোঁজ নিচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।