গেল সরকারের আমলে নানা কারণে চাকরিচ্যুত ১ হাজার ৫২২ পুলিশ সদস্য চাকরি ফিরে পাচ্ছেন। চাকরি ফিরে পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন রয়েছেন কনস্টেবল ১০২৫ জন, নায়েক ৭৯ জন, এএসআই/এটিএসআই ১৮০ জন, এসআই/সার্জেন্ট/টিএসআই ২০০ জন, ইন্সপেক্টর ১০ জন এবং নন-পুলিশ সদস্য ২৮ জন। 

আজ শনিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, গেল সরকারের আমলে নানা কারণে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের ১ হাজার ৫২২টি আবেদন পুলিশ সদর দপ্তরে গৃহীত হয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে কনস্টেবল ১ হাজার ২৫ জন, নায়েক ৭৯ জন, এএসআই/এটিএসআই ১৮০, এসআই/সার্জেন্ট/টিএসআই ২০০, ইন্সপেক্টর ১০ জন এবং নন-পুলিশ সদস্য ২৮ জন সদস্য রয়েছেন। তাঁদের অনেকের আবেদন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল/প্রশাসনিক অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের অধীনেও বিচারাধীন ছিলেন। তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল সংক্রান্ত আবেদনসমূহ পর্যালোচনার জন্য গত বছরের আগস্ট মাসে একজন ডিআইজির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। যারা আপিল ট্রাইব্যুনালে জয়ী হয়েছেন তাদেরকে চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যারা বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আপিল করেননি তাদের বিষয়ে আইনি বাধা থাকায় তাদের পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করা যায়নি।

আরও বলা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন, আর্থিক দুর্নীতি ও অন্যান্য অভিযোগে ফৌজদারি মামলা রয়েছে তাদের বিষয়ে বিবেচনা করা সম্ভব হয়নি। চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা যাতে ন্যায়বিচার পান সেজন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স আন্তরিকভাবে কাজ করছে। চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের শৃঙ্খলা পরিপন্থি আচরণ না করার জন্য পুনরায় অনুরোধ করা হলো।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ কর প ল শ সদস য চ কর চ য ত ট এসআই

এছাড়াও পড়ুন:

৮৮ এসআইকে পুলিশের শূন্য পদে নিয়োগের নির্দেশ 

পুলিশের ৮৮ উপপরিদর্শককে (এসআই, নিরস্ত্র) শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ দিতে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ-সংক্রান্ত রুল যথাযথ ঘোষণা করে গতকাল বুধবার এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মিয়া।

২০২৩ সালের ৩ মে পুলিশ নন-ক্যাডার এসআই (নিরস্ত্র) পদে জনবল নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি দেয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শেষে একই বছরের ১৩ অক্টোবর ৫ হাজার ৩১ জন প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ৯২১ জনকে নিয়োগ দিতে প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়। পরে ওই বছরের ১৭ থেকে ২৩ অক্টোবর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ৮৫৭ জন চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। কিন্তু শারীরিক পরীক্ষা, লিখিত, মনস্তত্ত্ব পরীক্ষা ও কম্পিউটার টেস্টে অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হলেও ৯৮ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়নি। এ পর্যায়ে সংক্ষুব্ধ মো. এখলাছ চৌধুরীসহ ৮৮ জন ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রিট চলা অবস্থায় গত ১ ফেব্রুয়ারি আবার শূন্যপদের বিপরীতে এসআই (নিরস্ত্র) নিয়োগের লক্ষ্যে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করে পুলিশ। এর পর এসআই পদের ৮৮টি পদ সংরক্ষণের জন্য পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবরে আবেদন করেন রিটকারীরা। ওই আবেদন নিষ্পত্তি না করায় পুলিশের ৮৮টি এসআই (নিরস্ত্র) পদ সংরক্ষণ চেয়ে হাইকোর্টে একটি সম্পূরক আবেদনও করেন রিটকারীরা। তখন হাইকোর্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদ থেকে ৮৮টি পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ধর্ষণ মামলার আসামি জামিন পেয়ে বাদীকে ব্ল্যাকমেইল, বিক্ষুব্ধ জনতার থানা ঘেরাও
  • মেহেরপুরে থানায় ধর্ষণ মামলার সালিস, প্রতিবাদ করায় মারধর, পরে ঘেরাও করে বিক্ষোভ
  • সোনারগাঁয়ে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্তকে গণপিটুনি
  • ৮৮ এসআইকে পুলিশের শূন্য পদে নিয়োগের নির্দেশ 
  • শিশু ধর্ষণের চেষ্টাকারীকে পুলিশে সোপর্দ
  • ৩ দিন পর বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
  • সমন্বয়ক পরিচয়ে পুলিশকে মারধর করে আসামি ছিনতাই
  • সমন্বয়ক পরিচয়ে পুলিশকে মেরে আসামি ছিনতাই
  • পল্লবী থানায় ঢুকে যুবকের হামলা, ওসিসহ আহত ৩
  • দুই পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩