পীরগঞ্জে হত্যাকাণ্ডের শিকার সেই নারীর বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
Published: 8th, February 2025 GMT
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় হত্যাকাণ্ডের শিকার নারী দেলোয়ারা বেগমের (৩০) বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে পীরগঞ্জ উপজেলার করতোয়া নদীর টোংরারদহ এলাকা থেকে খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আতিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, টোংরারদহ এলাকায় মাটি খুঁড়ে খণ্ডিত মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
আজ শনিবার সন্ধ্যার আগে পীরগঞ্জ থানায় সংবাদ সম্মেলন করে রংপুরের পুলিশ সুপার আবু সাইম বলেন, গ্রেপ্তার আতিকুল ইসলামের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাঁর বসতবাড়ির পাশের কলাবাগান থেকে হত্যার শিকার ওই নারীর কেটে নেওয়া মাথা, একটি ব্যাগ ও বক্স উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ এখনো উদ্ঘাটন করা যায়নি। তদন্ত চলছে এবং আতিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশের ভাষ্য, গ্রেপ্তার আতিকুল ইসলামের সঙ্গে দেলোয়ারা বেগমের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তাঁরা দুজন গ্রামগঞ্জে গানবাজনা করে বেড়াতেন। দেলোয়ারা বেগমের স্বামীর সঙ্গে আগেই ছাড়াছাড়ি হয়েছে।
শনিবার রাতে মুঠোফোনে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, ওই নারীকে কেন, কীভাবে হত্যা করা হয়েছে কিংবা হত্যাকাণ্ডে কতজন জড়িত ছিলেন, সে বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। হত্যার ঘটনায় পীরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অনন্ত কুমার বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে মামলা করেছেন।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পীরগঞ্জের চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়া গ্রামের পাশে মরিচখেত থেকে মাথাহীন অজ্ঞাতনামা ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছিল থানা-পুলিশ। পরে পুলিশ নিশ্চিত হয় হত্যার শিকার দেলোয়ারা বেগম নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বাসিন্দা। তাঁর বিয়ে হয়েছিল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে। পরবর্তী সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলা একাডেমিতে চলছে সাত দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ও বাংলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে বাংলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী ‘বৈশাখী মেলা-১৪৩২’।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম।
বৈশাখী মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “পাহাড় থেকে সমতল, সারা দেশে আজ নববর্ষের আমেজ। বাংলাদেশের মানুষ আজ এক হয়ে পালন করছে নববর্ষ। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা চলছে সারা দেশে। আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে ফ্যাসিবাদোত্তর বাংলাদেশে দাঁড়িয়েছি। আমরা এই উৎসব ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাই।”
উপদেষ্টা আরো বলেন, “বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, হস্তশিল্প, খাদ্যজাত পণ্যের বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। উদ্যোক্তারা এই মেলার মাধ্যমে এসকল পণ্য বিদেশে রপ্তানিযোগ্য করে তুলবে। উদ্যোক্তারা যেভাবে ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাতে আরেকটি শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাবে দেশ।”
বাংলা একাডেমি আয়োজিত এই মেলা উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “আমরা ৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি। আজকের র্যালিতে সব জাতিগোষ্ঠী একসাথে অংশগ্রহণ করেছে এবং একসাথে আনন্দ করছে। এটা একটা অন্তর্ভূক্তিমূলক ও রঙিন উৎসব। মেলা এমন একটা জায়গা যেখানে দুইপক্ষ খুশি থাকে। একজন ক্রয় করে এবং অন্যজন বিক্রি করে। মেলার সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে।”
বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, “বৈশাখী মেলার আয়োজন আমাদের জন্য একটা ভালো উদ্যোগ। বাংলা নববর্ষ আমরা উদ্যাপন করবো জাতীয় সংস্কৃতির অংশ হিসেবে। আমাদের উজ্জ্বল অতীত ছিল, সমৃদ্ধ আগামী গড়ার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন করতে হবে।”
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান।
ঢাকা/এএএম/টিপু