চট্টগ্রামে ‘পাইওনিয়ারিং গ্রিন সিমেন্ট’ শীর্ষক প্রযুক্তিগত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি নগরীর রেডিসন ব্লুতে এ সম্মেলন করে ইনসি সিমেন্ট। যা টেকসই নির্মাণের প্রতি তাদের অঙ্গীকার আরও জোরদার করে। 

থাইল্যান্ড থেকে উদ্ভূত একটি প্রিমিয়াম সিমেন্ট ব্র্যান্ড হিসেবে ইনসি সিমেন্ট তার উচ্চমান এবং টেকসই নির্মাণের জন্য স্বীকৃত। যা সিয়াম সিটি সিমেন্ট (বাংলাদেশ) লিমিটেড দ্বারা বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত ঐতিহ্যের সঙ্গে কোম্পানিটি থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া এবং বাংলাদেশে সফলভাবে তার উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করেছে। একটি সবুজ এবং আরও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য ইনসি সিমেন্ট ধারাবাহিকভাবে পরিবেশবান্ধব উদ্ভাবনেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

এ সম্মেলনে শিল্প নেতারা সবুজ সিমেন্ট ও টেকসই ভবিষ্যৎ নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করেন। আলোচকদের মধ্যে ছিলেন- থাইল্যান্ডের সিয়াম সিটি সিমেন্ট পিএলসির গ্রুপ প্রোডাক্টস অ্যান্ড টেকনিক্যাল সলিউশনস বিভাগের প্রধান পিটার ডব্রি, সিয়াম সিটি সিমেন্দ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান, ডিরেক্টর অপারেশন্স ড.

কানথাসাত বুন্টেম এবং মান ও কাঁচামাল বিভাগের মহাব্যবস্থাপক জিএমজি মুস্তাফা।

সম্মেলনে ইনসি সিমেন্টের বাংলাদেশের কমার্শিয়াল ডিরেক্টর মোহাম্মদ আবু সাঈদ, উপদেষ্টা সৈয়দ আবু আবেদ সাহেরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর মঞ্জুরসহ সড়ক ও জনপথ, এলজিইডি, ওয়াসা, পিডব্লিউডির মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট কসই

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ক্লাস শুরু ৪ মে 

সংঘর্ষের জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার রাতে কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া সভায় শিক্ষার্থীদের জন্য ২ মে হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে ৪ মে। 

কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ জানান, সোমবার রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ১৯ ফেব্রুয়ারি গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানো নির্দেশ দেওয়া হয়।

তিনি জানান, সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে থেকে শুরু এবং সকল আবাসিক হল ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে এতে সন্তুষ্ট হয়নি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। 

হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের: তবে হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা ৩টা থেকে তারা সেখানে অবস্থান করছেন। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের দাবি ছিল আজ সোমবার রাত থেকেই হল খুলে দেওয়ার। এছাড়া সিন্ডিকেট সভা শেষে তারা অপেক্ষা করছিলেন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো তাদের জানাবে। কিন্তু কেউ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তগুলো জানাননি। হল খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনেক দিন দেরি রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া হলে থাকতে না পারায় তাদের টিউশনি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।  

প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ