ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ড্রাম ট্রাকচাপায় পুলিশের এক এএসআই নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মুক্তাগাছার সত্রাসিয়া নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত এএসআইয়ের নাম মো. রুস্তম আলী (৪০)। তিনি মুক্তাগাছা থানায় কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়াইল উপজেলার কালিকচ্চ গ্রামে।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে ‘অজানা বিষক্রিয়ায়’ ৩ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ‘অজানা বিষক্রিয়ায়’ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন চা বিক্রেতা আবদুল জলিল (৫২), ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক ওরফে নিজাম (৫৩) ও গাড়িচালক মো. সুমন (৪০)। এর মধ্যে আবদুল জলিল গফরগাঁও উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চরমুসলন্দ গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে, মো. সুমন চরমুসলন্দ গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে। মোজাম্মেল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সোহেলপুর গ্রামের মাসুদ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোজাম্মেল হক পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছেন বলে গফরগাঁও এসেছিলেন। বুধবার রাতে গফরগাঁওয়ের চরমুসলন্দ গ্রামে আবদুল জলিলের বাড়িতে মোজাম্মেলসহ কয়েকজন আড্ডা দেন। সেখান থেকে আজ ভোর ৪টা ২০ মিনিটের দিকে আবদুল জলিল ও মোজাম্মেল হককে গফরগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাঁদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দুজনের মৃত্যুর প্রমাণপত্রে চিকিৎসক উল্লেখ করেন, ‘মৃত অবস্থায় দুজনকে আনা হয়। অজানা বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।’
এদিকে আজ ভোর ৪টা ৩৫ মিনিটে গফরগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চরমুসলন্দ গ্রামের হাসিম মিয়ার ছেলে মো. সজীবকে (৩০) অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করা হয়। তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক।
গফরগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আজ ভোরে প্রথম দুজনকে আনা হলে তাঁদের ময়মনসিংহে পাঠানো হয়। তাঁরা মদ্যপ ছিলেন। পরে সজীব নামের একজনকে আনা হয়; তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টায় সুমন নামের একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
আজ দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশঘরের সামনে নিহত মোজাম্মেল হকের চাচাতো ভাই জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘আমার ভাই বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছি বলে গত বুধবার ঢাকার বাসা থেকে বের হন। কী কারণে মারা গেছে, আমরা বলতে পারছি না।’
গফরগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর সকাল সাড়ে ৯টায় সুমন মিয়াকে মৃত ঘোষণা করলে স্বজনেরা তাঁর মরদেহ বাড়িতে নিয়ে দাফনের প্রস্তুতি শুরু করেন। সুমনের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার বলেন, তাঁর স্বামী মধ্যরাতে বাড়িতে ফেরেন। বাড়িতে ফেরার পর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আজ সকালে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবিরুল ইসলাম বলেন, মোজাম্মেল হক এক বোতল হুইস্কি নিয়ে বন্ধু জলিলের বাড়িতে এসেছিলেন। সেখানে তাঁরা চার-পাঁচ বন্ধু মিলে মদ খান। অসুস্থ বোধ করলে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। মৃত সুমনের বিষয়ে পুলিশের কাছে এখনো তথ্য আসেনি; তাঁরা খোঁজ নিচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।