রংপুরের পীরগঞ্জে মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধারের এক দিন পর খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার চতরা ইউনিয়নের করতোয়া নদীর তীরে পাকার মাথা টোংরারদহ এলাকা থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়। এতে জড়িত থাকা অভিযোগে বড় বদনাপাড়া গ্রামের আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় পুলিশের এসআই অনন্ত কুমার বর্মণ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। রংপুরের পুলিশ সুপার আবু সাইম সংবাদ সম্মেলন করে জানান, শুক্রবার সকালে বড় বদনাপাড়ায় এক নারী মরিচ উঠাতে ক্ষেতে গিয়ে মাথাবিহীন নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে পুলিশে খবর দেন।

সিআইডি ক্রাইম সিন দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় ও ঠিকানা শনাক্ত করে। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তার নাম দেলোয়ারা (৩১) বলে জানা সম্ভব হয়। তিনি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের দিলালপুর গ্রামের রেজাউল করিমের স্ত্রী। নীলফামারীর জলঢাকার পশ্চিম গোরমুক্তা গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে তিনি।

পুলিশ সুপার জানান, পুলিশের একটি দল বস্তা ও ব্যাগে ভর্তি ছবি, সিমকার্ড, কাগজে লিখিত কয়েকটি মোবাইল ফোন নম্বর পেলে নারীর পরিচয় জানতে পারে। এক পর্যায়ে আতিকুলের গতিবিধিতে নজর রাখে তারা। শনিবার সকালে বোরকা পরে পালিয়ে যাওয়ার পথে কাবিলপুর ইউপির ঘনশ্যামপুর সড়ক থেকে তাকে আটক করা হয়।

আতিকুলের স্বীকারোক্তিতে কাটা মাথার সন্ধান মিললে উদ্ধারে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের রহস্য এবং ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে তদন্ত চলছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। আতিকুল এলাকায় জুয়াড়ি হিসেবে পরিচিত বলেও জানান তিনি। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব-১৩ এর গোয়েন্দা সদস্যরাও এ বিষয়ে কাজ করছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

দিনভর বিক্ষোভ, ক্ষমা চাইল পুলিশ, সন্ধ্যায় ছাত্র গুলিবিদ্ধ

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার গাজীপুরে দিনভর বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি। বিক্ষোভের মুখে দায়িত্বে অবহেলার কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন মহানগর পুলিশ কমিশনার। বিক্ষোভ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের ওপর শুক্রবার রাতের হামলার ঘটনায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার ও ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এক দিনের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এরপরই ঘটে গুলির ঘটনা।

গুলিবিদ্ধ মোবাশ্বের হোসেন (২৬) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাজীপুর জেলার একজন সদস্য ও ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ছাত্র। তাঁর বাড়ি নগরের হারিনাল দক্ষিণপাড়া এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, শহরের জোর পুকুরপাড়ের দিক থেকে মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থাকা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।

গুলিতে আহত মোবাশ্বের হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে একে অপরের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছিলেন। তখন জোড় পুকুরপাড়ের দিক থেকে একটি মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্তরা এসে হঠাৎ তাঁদের লক্ষ্য করে একটি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। গুলিটি তাঁর ডান হাতের এক পাশে লাগে। আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

ওই হাসপাতালের চিকিৎসক মো. মনজুর মোর্শেদ সাংবাদিকদের জানান, গুলিটি লেগেছে মোবাশ্বের হোসেনের ডান বাহুতে। তিনি সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন।হাসপাতাল সূত্র জানায়, রাত ১১টার দিকে তাঁর অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি চলছিল।

গাজীপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সিদ্দিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, একজন ছাত্রের হাতে গুলি লেগেছে। তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।

গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী মোবাশ্বের হোসেনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গতকাল রাতে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে

সম্পর্কিত নিবন্ধ