রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) দুটি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন ও ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১১০তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো, শওকাত আলী সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
উপাচার্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয় ২৪ হল’ এবং ছাত্রীদের হল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী হল’ নামে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছর ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদ দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখা হবে, তবে প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান থাকবে। তিনি এ দিবসটি জাতীয় পর্যায়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পালনের আহ্বানও জানান ।
উপাচার্য আরো জানান, জুলাই আন্দোলনে বেরোবির আহত শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিবছর ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ আবু সাঈদের নামে সাত দিনব্যাপী বইমেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা/সিয়াম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে মাটি কাটা চক্রের সদস্যরা। আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণদি গ্রামে অভিযানে গেলে এ ঘটনা ঘটে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুল ইসলাম বারি।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণদি ও খিদিরপুর গ্রামে ফসলি জমির মাটি কাটছে একটি চক্র। প্রশাসন কয়েকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেও তা বন্ধ হয়নি। আজ বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি তৌহিদুল ইসলাম বারির নেতৃত্বে একটি দল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এ সময় মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত দুটি ভেক্যু অচল করে দেওয়া হয়। এতে মাটি কাটা চক্রের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সদস্যদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। পরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হন ভ্রাম্যমাণ আদালতের সদস্যরা।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুল ইসলাম বারির মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ইউএনও এবং থানার ওসিকে ফোন করা হলে তারাও রিসিভ করেননি।
বিষয়ে জানতে সিরাজদীখান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আ ন ম ইমরান হোসেন বলেন, অভিযান শেষ করে আসার সময় ওই এলাকার কয়েকজন মাটির ঢিল ছুড়ে মারে। এর বেশি কিছু হয়নি।