সরকার শুরুতে বিচারের তৎপরতা দেখালেও এখন নিষ্ক্রিয়: রফিউর রাব্বি
Published: 8th, February 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকার শুরুতে নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার বিচারের তৎপরতা দেখালেও এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি। তিনি বলেন, আজ এই সরকারের ছয় মাস পূর্ণ হলো। একটা বিচার সম্পূর্ণ করতে ছয় মাস অনেক সময়। আগামী এক মাস পর ত্বকী হত্যার এক যুগ পূর্ণ হচ্ছে। কিন্তু এক যুগেও এই হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করা হয়নি।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় নগরের চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১৪৩ মাস উপলক্ষে আয়োজিত মোমশিখা প্রজ্বালন অনুষ্ঠানে রফিউর রাব্বি ওই অভিযোগ করেন। ত্বকী হত্যার পর থেকে ঘাতকদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে প্রতি মাসের ৮ তারিখে ধারাবাহিকভাবে মোমশিখা প্রজ্বালনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট।
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের সহসভাপতি মনি সুপান্থর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্যসচিব হালিম আজাদ, দৈনিক খবরের পাতার সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, ন্যাপ জেলা সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ভবানী শংকর, প্রদীপ ঘোষ ও সামাজিক সংগঠন সমমনার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা, সিপিবির শহর সাধারণ সম্পাদক সুজয় রায়চৌধুরী, বাসদের সংগঠক প্রদীপ সরকার প্রমুখ।
রফিউর রাব্বি বলেন, দেশে বিচারব্যবস্থা এখনো গণতান্ত্রিক হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় দুর্বৃত্তরা যেমনি বহাল রয়েছে, আবার নতুন দুর্বৃত্তও তৈরি হচ্ছে। চব্বিশের হত্যাকারীদের বিচার না হওয়ায় একদিকে যেমনি পতিত দুর্বৃত্তদের আস্ফালন পরিলক্ষিত হচ্ছে, অন্যদিকে ক্ষোভে, ঘৃণায় সাধারণ জনতা আইন হাতে তুলে নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করছে। সরকার ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে। চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বৈষম্যবিরোধী সব মত ও পথের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার স্বপ্ন ক্রমাগত দূরে সরে যাচ্ছে।
ত্বকী হত্যার নির্দেশদাতা শামীম ওসমান, তাঁর ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, তাঁর সহযোগী শাহ নিজামসহ হত্যায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে অভিযোগপত্র দিয়ে দ্রুত বিচার শুরুর দাবি জানান রফিউর রাব্বি। এ ছাড়া তিনি সাগর-রুনী, তনু ও নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবার দ্বারা সংঘটিত সব হত্যার বিচারের দাবি জানান।
মাহবুবুর রহমান বলেন, শামীম ওসমানের নির্দেশে ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছে বলেই এত দিন ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু এখন বিচারে বাধাটা কোথা? দ্রুত ত্বকী হত্যার বিচার শুরুর দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরের শায়েস্তা খাঁ রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় ত্বকী। দুই দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বছরের ১২ নভেম্বর আজমেরী ওসমানের সহযোগী সুলতান শওকত ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ত্বকীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। ৫ মার্চ ২০১৪ তদন্তকারী সংস্থা র্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের নির্দেশে তাদেরই টর্চার সেলে ১১ জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করেছে। অচিরেই তারা অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করবে। কিন্তু সে অভিযোগপত্র আজও পেশ করা হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ওসম ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
“সাংগঠনিক নিয়ম বিরোধী কার্যক্রমের দায় যুবদল নিবে না”
নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আওতাধীন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সদয় অবগতির জন্য আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ জানান, যুবদল নেতাকর্মীদের কোন প্রকার সাংগঠনিক নিয়ম বিরোধী কার্যক্রম, উশৃঙ্খল আচরণ ও দুষ্কর্মের দায় সংগঠন নিবে না।
কোন ব্যক্তি বিশেষ কোন প্রকার অপকর্মে লিপ্ত হইলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।
মঙ্গলবার ( ১১ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক (দপ্তরে সংযুক্ত) সাইফুল আলম সজীব স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয় - যুবদলের পরিচয় ব্যবহার করে যে সকল ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন প্রকার ফেস্টুন, ব্যানার, পোষ্টার লাগিয়েছেন এবং কেন্দ্রীয় যুবদলের নির্দেশনার পরেও উক্ত ফেস্টুন ব্যানার ও পোষ্টার অপসারন করেননি সে সকল ব্যক্তিবর্গ অত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নিজ দায়িত্বে উক্ত ব্যানার, ফেস্টুন অথবা পোষ্টার অপসারন করিবেন।
ভবিষ্যতে ব্যানার, ফেস্টুন অথবা পোষ্টার করার প্রয়োজন হইলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ এর অনুমতিক্রমে উক্ত ব্যানার, ফেস্টুন অথবা পোষ্টার করার জন্য নির্দেশ প্রদাণ করা হইল। ইহার ব্যত্যয় ঘটিলে কোন প্রকার কারণ দর্শানো ব্যাতীত কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।