বিএনপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, যেকোনো সময় দিন-তারিখ ঘোষণা করা হোক: খন্দকার মোশাররফ
Published: 8th, February 2025 GMT
ছবি: প্রথম আলো
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চার বিচারপতির বিষয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে অনুসন্ধান চলছে
হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতির মধ্যে একজন পদত্যাগ করেছেন, দুই বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাননি, অপর দুজন বিচারপতি ইতিমধ্যে অবসর নিয়েছেন। আর বাকি ৭ জন বিচারপতির বিষয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে অনুসন্ধান চলছে।
১২ বিচারপতির বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে শনিবার এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এ বিষয়ে আরও বলা হয়, যে সাতজন বিচারপতির বিষয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে অনুসন্ধান চলছে, তাঁদের মধ্যে চারজনের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান। অন্য তিনজনের বিষয়ে চলছে প্রাথমিক অনুসন্ধান।
গত বছরের অক্টোবরে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান প্রধান বিচারপতি। তাঁদের মধ্যে গত ৩০ জানুয়ারি একজন বিচারপতি পদত্যাগ করেন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৩০ জানুয়ারি জানানো হয়, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন পদত্যাগ করেছেন। রাষ্ট্রপতি বরাবরে প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে তিনি পদত্যাগপত্র দিয়েছেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে গত ১৬ অক্টোবর দুপুরে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই দিন হাইকোর্ট বিভাগের দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজ। আর ফ্যাসিবাদের দোসর বিচারপতিদের অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি-লিগ্যাল উইং। বিক্ষোভের মুখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সেদিন বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা জানান, আপাতত হাইকোর্ট বিভাগে ১২ বিচারপতিকে প্রাথমিকভাবে কোনো বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না। তবে হাইকোর্ট বিভাগের কোন ১২ বিচারপতিকে বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না, তাঁদের নাম তখন প্রকাশ করেনি সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ। অবশ্য পরে হাইকোর্টের কার্যতালিকায় (গত বছরের ২০ অক্টোবর থেকে) ১২ জন বিচারপতির নাম দেখা যায়নি।
গত বছরের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পরে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হলে ওই কাউন্সিলে কয়েকজন বিচারপতিসংক্রান্ত তথ্য যাচাই–বাছাইয়ের কাজ চলমান। এরপর গত বছরের ৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানায়, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বর্তমানে বেশ কয়েকজন বিচারপতির আচরণের (কনডাক্ট) বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন বিচারপতির বিষয়ে তথ্যাবলি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬(৫)(বি) অনুসরণ করে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন বিচারপতির বিষয়ে তদন্তের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন। সে অনুযায়ী সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল তদন্ত শুরু করবে। এরপর ৩০ জানুয়ারি এক বিচারপতির পদত্যাগের তথ্য এবং শনিবার ১২ বিচারপতির বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য জানানো হলো।