রাজশাহীর সরদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোল‍্যা নজরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেছে।

আজ শনিবার রাজশাহী জেলা পুলিশের সহায়তায় সারদার পুলিশ একাডেমি থেকে মোল্যা নজরুল ইসলামকে আটক করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো.

শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একটি দল এসে মোল্যা নজরুল ইসলামকে নিয়ে গেছে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) দায়িত্ব পালনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্যদের ধরে আলোচিত হয়েছিলেন মোল্যা নজরুল ইসলাম। পরে ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তিনি ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে কয়েক মাস গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার ছিলেন। সর্বশেষ তিনি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) কর্মরত ছিলেন।

ছাত্র–জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মোল্যা নজরুল ইসলামকে সিআইডিতে বদলি করা হয়েছিল। পরে তাঁকে রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত করা হয়। তখন থেকে সেখানে ছিলেন তিনি।

মোল্যা নজরুল ইসলামকে আটকের বিষয়ে জানতে পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে তাঁদের কেউ তাঁকে আটক বা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।

এ ছাড়া তিন পুলিশ সুপারকে আটকের বিষয়েও পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে এই তিন পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে। এই কর্মকর্তারা হলেন নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, কুমিল্লা ও সিলেটের সাবেক পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান এবং বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নজর ল ইসল ম ড আইজ

এছাড়াও পড়ুন:

শামির মার পা স্পর্শ করে হৃদয় জিতলেন বিরাট

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নবম আসরে নিউ জিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয় বারের মত শিরোপা জিতল ভারত। রবিবার (৯ মার্চ, ২০২৫) চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর যখন বাই দলের জয়ের আনন্দে ব্যস্ত ছিল, বিরাট কোহলি মোহাম্মদ শামির মায়ের সঙ্গে দেখা করলেন এবং তার পা ছুঁয়ে সালাম করে শুভেচ্ছা জানালেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হৃদয়স্পর্শী এই ঘটনার ভিডিও সবার মন জয় করে নিয়েছে।

উপমহাদেশীয় সংস্কৃতিতে বড়দের পায়ে স্পর্শ করা দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা একটি ঐতিহ্য, যা সম্মান, বিনয়, ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি প্রতীক। এটি বয়জ্যেষ্ঠ, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও জ্ঞানী মানুষের কাছ থেকে আশীর্বাদ নেওয়ার একটি মাধ্যম।

এদিকে বিরাট শামির পরিবারের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর এক সাথে দাঁড়িয়ে ছবিও তোলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এই ব্যাপারটা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায়।

আরো পড়ুন:

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চ্যাম্পিয়ন ভারত

এক যুগ পর ভারত চ্যাম্পিয়ন

একন হ্যান্ডেলে এক ব্যবহারকারী লিখেন, “বিরাট কোহলি মোহাম্মদ শামির মায়ের পায়ে স্পর্শ করলেন এবং শামির পরিবারের সঙ্গে একটি ছবি তুললেন। তিনি সত্যিকারের একজন চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড় এবং নয়া ভারতের অন্যতম সেরা দূত। যখন আগ্রাসন দেখানোর দরকার হয়, তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি তা দেখান এবং যখন নম্রতা দেখানোর দরকার হয়, তখন তিনিই সেটিও করেন।”

বয়জ্যেষ্ঠদের পা স্পর্শ করার ঐতিহ্য কেবল একটা রীতি নয়। উপমহাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে আধ্যাত্মিক, মানসিক ও বৈজ্ঞানিক তাৎপর্যও আছে এর পেছনে। বড়দের পায়ে স্পর্শ করা তাদের ত্যাগ,  জ্ঞান ও অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি উপায়। উপমহাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যে, যখন আমরা আন্তরিকভাবে কারও পায়ে স্পর্শ করা হয়, তখন তাদের কাছ থেকে ‘সুখে থাকার শক্তি’ ও ‘আশীর্বাদ’ পাওয়া যায়। যা আমাদের ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনে সাহায্য করতে পারে।

বৈজ্ঞানিকভাবে বলা হয়, বড়দের পায়ে স্পর্শ করার সময় শরীরে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, শরীর নমনীয় থাকে। তাছাড়া নম্রতা ও শৃঙ্খলার শিক্ষা দেয় এই রীতি। যা উপমহাদেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সংযুক্ত।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শামির মার পা স্পর্শ করে হৃদয় জিতলেন বিরাট