পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোল্যা নজরুল ইসলামসহ তিন পুলিশ সুপারকে (এসপি) আটক করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে তাদের আটক করা হয়।  

শনিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের মিন্টো রোডের কার্যালয়ে তাদের আনা হয়। তবে তাদের সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগে আটক করা হয়েছে, এ বিষয়ে জানা যায়নি।
  
এর আগে জুলাই-আগস্টের ঘটনায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন ও শহীদুল হকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩৪ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা কারাগারে রয়েছেন।

পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সাবেক গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম রাজশাহী সারদা একাডেমিতে সংযুক্ত ছিলেন। শুক্রবার রাজশাহী জেলা পুলিশ একাডেমির সহায়তায় তাকে আটক করে ঢাকায় আনা হয়। এ ছাড়া একইদিন রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও আবুল হাসনাত এবং নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে আটক করে রংপুর মহানগর পুলিশ। তাদের আজ দুপুরে ঢাকায় ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।

গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মোল্যা নজরুল সবশেষ সিআইডিতে কর্মরত ছিলেন।

সরকার বদলের পর পুলিশে বদলি, পদোন্নতি, বাধ্যতামূলক অবসর ও চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৭ অক্টোবর মোল্যা নজরুলকে সারদা পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত করা হয়। 

এর আগে তিনি গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ডিআইজি, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশসহ (ডিবি) পুলিশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড আইজ ড আইজ নজর ল

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী লীগের যাবতীয় অপকর্মের বৈধতা দিয়েছে শাহবাগ: হাসনাত আব্দুল্লাহ

আওয়ামী লীগের শাসনের সময় শাহবাগ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে গুম, খুন, আয়নাঘর, বিচারিক হত্যাকাণ্ডসহ যাবতীয় অপকর্মের বৈধতা দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘শাহবাগ একদিনে গড়ে ওঠেনি। এককভাবে কেউ শাহবাগ গড়ে তোলেনি। শাহবাগ কায়েম করতে সমর্থন দিয়েছিল তথাকথিত সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, আমলা, সাংস্কৃতিক কর্মী, বিদেশি এজেন্ট, রাজনীতিবিদ এবং ক্রীড়াবিদরাও।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির এ নেতা লিখেছেন, ‘শাহবাগ কেড়ে নিয়েছিল এদেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা থেকে শুরু করে সব ধরনের মৌলিক মানবাধিকার। কেড়ে নিয়েছিল স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারটুকুও। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে গুম, খুন, আয়নাঘর, বিচারিক হত্যাকাণ্ডসহ যাবতীয় অপকর্মের বৈধতা দিয়েছিল শাহবাগ।’

হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও লেখেন, ‘শাহবাগ কায়েমে যারা সচেষ্ট ছিল, তাদেরই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় বিগত পনেরো বছরে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদেরই সমর্থনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ক্ষমতার মসনদে ছিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এ সমন্বয়ক লিখেছেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা বিগত পনেরো বছরে সংঘটিত সকল অন্যায়, অপকর্ম, গুম, খুন ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত করতে চাই।’

হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘আমরা আশা রাখি, সকলের প্রচেষ্টায় তা সম্ভব। ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এ জমিনে ইনসাফ কায়েম হবে। জুলাইয়ের শহীদদের স্পিরিট রক্ষায় আমরা সদা জাগ্রত। পুনরাবৃত্তি করছি, বিগত শাসনামলে হওয়া সকল অন্যায় ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

এরআগে আরও একটি পোস্টে তিনি সাবধান করে দিয়ে বলেন, ২০২৫ এ এসে ২০১৩ ফেরানোর চেষ্টা করবেন না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ