রূপগঞ্জে দুই যুবক হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ
Published: 8th, February 2025 GMT
রূগগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার তারাব পুরাতন বাজার এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত রাশেদুল ইসলাম (১৮) ও জুনায়েদ আহমেদ হৃদয়ের (২০) হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ করা হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তারাব এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। তারাব হাটিপাড়া এলাকায় মানববন্ধন পূর্বক আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন নিহত রাশেদুলের মা নাজমা বেগম, নিহত জুনায়ের আহমেদ হৃদয়ের মা রাশেদা বেগম, তারাবো পৌর বিএনপি’র সভাপতি তাশিক হক ওসমান, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান পিন্টু ও তারাবো পৌর যুবদলের সভাপতি আফজাল কবির প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, নিহত জুনায়েদ আহমেদ হৃদয় ও রাশেদুল ইসলামকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যথায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তারাবো এলাকায় অবরোধসহ কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার তারাবো পুরাতন বাজার এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় রাশেদুল ইসলাম (১৮) ও জুনায়েদ আহমেদ হৃদয়(২০) গত ৫ফেব্রুয়ারি নিহত হয়। গতকাল ৮ফেব্রুয়ারি নিহত জুনায়েদ আহমেদ হৃদয়ের চাচা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৮জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত ৮-১০জনকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রূপগঞ্জ থানা ওসি লিয়াকত আলী বলেন, তারাবো এলাকার দুই যুবক হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ য বক য বক ন র য়ণগঞ জ দ ল ইসল ম র পগঞ জ এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
মানববন্ধন শেষে আসামির বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আসামি গ্রেপ্তার ও তার বিচার দাবি করে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে আসামির বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের সোনালিয়া চকবাজার গ্রামে গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধরা। পরে সন্ধ্যার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার গিয়াস উদ্দিনের কলা বাগানে তারই চাচা আকবর আলীর ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুইজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হামলার শিকার হন আকবর আলী (৬৫)। মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
এই ঘটনার জেরে গত শনিবার গিয়াস উদ্দিনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় মামলা হয় এবং ওই রাতে দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক রাশেদুজ্জামান।
তবে সোমবার বিকেলে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে এলাকার ৫ শতাধিক মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে উত্তেজিত জনতার একটি অংশ গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে হামলা হামলার পর অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিসংযোগের সময় ওই বাড়িতে নারী ও শিশুরা অবস্থান করছিলেন। তবে তারা নিরাপদে সরে যান বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর থানার ওসি বলেন, পুলিশ-সেনাবাহিনীর যৌথ অবস্থানে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।