চার দিনের ঢাকা সফরে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার
Published: 8th, February 2025 GMT
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন। আজ শনিবার তিনি ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।
চার দিনের সফরকালে মার্টিন রাইজার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা এম ফাওজুল কবির খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সফরকালে তাঁর সঙ্গে আরও রয়েছেন বিশ্বব্যাংকের সমৃদ্ধিবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট পাবলো সাভেদ্রা। বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশকে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সংস্কার ও মিয়ানমার নিয়ে আলোচনায় আসছেন মার্কিন দুই কর্মকর্তা
সংস্কার ও মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা আসছেন ট্রাম্প প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা। ১৫ এপ্রিল ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল অ্যান চুলিকের। পরদিন পৃথক সফরে আসবেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পূর্ব এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যান্ড্রু আর হেরাপ। এ ছাড়া সফরে তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসনের।
আগামী ১৫-১৮ এপ্রিল ঢাকা সফর করবেন মার্কিন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক নিকোল। ঢাকা সফরে সংস্কার, সংস্কারে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা এবং গণতান্ত্রিক পথে ফেরত আনার বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। সফরকালে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠকের কথা রয়েছে।
নিকোল অ্যান চুলিকের সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে সমকালকে বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার গঠনের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে এটাই প্রথম সফর হতে যাচ্ছে। নিকোল অ্যান চুলিক বর্তমানে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হলেও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি না থাকায় এ দপ্তরের দায়িত্ব তিনি পালন করছেন। সফরকালে এ কর্মকর্তা বাংলাদেশে চলমান সংস্কার নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সেই সঙ্গে এ সংস্কারে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, সে চাহিদাগুলো জানতে চাইবেন।
তিনি বলেন, ১/১১-এর সময় সংস্কারে জোর না দেওয়াটা এক প্রকার ভুল মনে করে মার্কিনিরা। ফলে জরুরি সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণে সহযোগী হিসেবে থাকতে চায় দেশটি।