শেখ হাসিনাও নির্বাচন দিতে চাইতেন না, আপনারাও তো চাচ্ছেন না: হাবিব–উন–নবী খান
Published: 8th, February 2025 GMT
‘রাজনৈতিক দল নির্বাচন চাবে, এটা অন্যায় হতে পারে না। শেখ হাসিনাও যেমন নির্বাচন দিতে চাইতেন না, ভুয়া নির্বাচন দিতেন, আপনারাও তো নির্বাচন দিতে চাচ্ছেন না। পার্থক্য তো মাঝেমধ্যে আমরা খুঁজে পাচ্ছি না।’
আজ শনিবার জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব–উন–নবী খান সোহেল এ কথা বলেন।
১০ বছর পর মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন আজ বিকেলে উমির উদ্দিন পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। প্রথম অধিবেশনে কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতারাসহ স্থানীয় নেতারা বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বক্তব্য দেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব–উন–নবী খান। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান।
হাবিব–উন–নবী খান বলেন, ‘আমরা কেন ভোট চাই, আমরা কেন নির্বাচন চাই। আরে আমরা তো রাজনৈতিক দল, একজন কৃষক তাঁর উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য চাবেন, একজন ব্যবসায়ী তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা চাবেন, নারীরা তাঁদের অধিকার সমন্বিত থাকুক, সেটাই চাবেন আর একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি কী চাইবেন, জনগণের জন্য যাতে কাজ করার সুযোগ পাই এবং একটি পরিচ্ছন্ন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যেন হয়। রাজনৈতিক দল নির্বাচন চাবে, এটা অন্যায় হতে পারে না।’
জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে হাবিব–উন–নবী খান বলেন, ‘ওনারা ভাবছেন, ক্ষমতায় যাওয়ার মনে হয় একটা সুযোগ এসেছে। ওনাদের বলি, ভুল জীবনে বহু করেছেন। ১৯৭১–এর ভুলের কথা না–ই বললাম, ১৯৮৬ সালেও আপনারা হাসিনা-এরশাদের সঙ্গে পাতানো নির্বাচনে গিয়েছিলেন। সেটা একটা ভুল। এরপর আওয়ামী লীগ ২৩টি বছর, বাংলাদেশের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছে বিরোধী দলে, কোনো দিন স্বপ্নে ভাবে নাই, আবার ক্ষমতায় আসতে পারবে, আপনারাই সেই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। বারবার এই ভুলের খেসারত কে বেশি দিয়েছে, আপনারাই বেশি দিয়েছেন। আপনাদের বড় বড় নেতারা জীবন দিয়ে গেছেন, আপনাদের ভুলের খেসারতে, আবার সেই একই ভুলে ঘুরছেন। মনে রাখবেন, বিএনপির সঙ্গে থাকলে ১৭-১৮টি সিট আছে, বিএনপির সঙ্গে না থাকলে কিন্তু আপনারা ৩টা সিট পান। সুতরাং অনুরোধ করছি, আর কোনো ভুল পথে হাঁটবেন না, সোজা পথে হাঁটুন।’
হাবিব–উন–নবী খান বলেন, ‘সবার উদ্দেশে একটি কথা বলতে চাই, কেউ বিএনপিকে দুর্বল ভাববেন না। বিএনপি কিন্তু দুর্বল নয়। বিগত ১৬টি বছর আধিপত্যবাদীর গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সবগুলোকে মোকাবিলা করে, শত শত শহীদ জীবন দিয়ে, জনাব তারেক রহমানের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনায় বিএনপি দাঁড়িয়ে আছে আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে। সুতরাং আপনারা বিএনপিকে নিয়ে এটা-ওটা ভাববেন না। তাঁদের বলছি, হাত দিয়ে কিন্তু পাহাড় ঠেলবার চেষ্টা করবেন না। আমাদের ভদ্রতা-উদারতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। আসুন, সবাই মিলে একসঙ্গে থাকি এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনি।’
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো.
দ্বিতীয় অধিবেশনে নতুন কমিটি ঘোষণার আগে আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। সভাপতি পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমানকে সভাপতি ঘোষণা করা হয়। সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। ওই পদের জন্য ভোট হচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক ব এনপ র দ র বল আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
চাষাড়ায় গ্যাস লিকেস থেকে বিস্ফোরণ, আরো একজনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় একটি বাসায় গ্যাস লিকেস থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ মোহাম্মদ সোহাগ (২৩) নামে আরও এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃত্যুসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪-এ।
সোমবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহাম্মদ সোহাগ মারা যান। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, “নারায়ণগঞ্জের চাষারার একটি বাসায় গ্যাস লিকেস থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ নারী শিশুসহ ৮ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছিল। সোহাগ নামে আরো একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত দেড়টার দিকে আইসিইউতে মারা যায়। এই নিয়ে ৮ জনের ৪ জন মারা গেলেন।
এর আগে সোহাগের মেয়ে সুমাইয়া, তার স্ত্রী রুপালি মারা যান। এই ঘটনায় আব্দুল মান্নান নামেও আরেকজন মারা যান। বতর্মানে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের দগ্ধের পরিমাণ সাব্বির ২৭ শতাংশ, নুরজাহান লাকি ২২ শতাংশ, সামিয়া ৯ শতাংশ ও জান্নাত ৩ শতাংশ দগ্ধ। এদের (এনহাল্যুশন) বার্ন রয়েছে, শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।
নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ রুবেল বলেন, “আমাদের বাড়ি নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানা এলাকায়, আমার ভাই সোহাগ ও তার স্ত্রী রূপালী দুজনই পোশাক শ্রমিক ছিলেন।”
ঢাকা/বুলবুল/টিপু