নতুন দুর্বৃত্ত তৈরি হচ্ছে : রফিউর রাব্বি
Published: 8th, February 2025 GMT
তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১৪৩ মাস উপলক্ষে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আলী নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচির আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সহ সভাপতি মনি সুপাস্থ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব হালিম আজাদ, দৈনিক খবরের পাতার সম্পাদক এড.
রফিউর রাব্বি বলেন, দেশে বিচার ব্যবস্থা এখনো গণতান্ত্রিক হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় দুর্বৃত্তরা যেমনি বহাল রয়েছে আবার নতুন দুর্বৃত্তও তৈরি হচ্ছে। চব্বিশের হত্যাকারিদের বিচার না হওয়ার কারণে একদিকে যেমনি পতিত দুর্বৃত্তদের আস্ফালন পরিলক্ষিত হচ্ছে, অন্যদিকে ক্ষোভে, ঘৃণায় সাধারণ জনতা আইন হাতে তুলে নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করছে। সরকার ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে। চব্বিশের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের বৈষম্য বিরোধি সকল মত ও পথের স্বাধীনতা নিশ্চিৎ করার স্বপ্ন ক্রমাগত দূরে সরে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এক মাস পরে ত্বকী হত্যার একযুগ পূর্ণ হতে যাচ্ছে, অথচ আজো এ হত্যার তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করা হয় নাই। এ সরকার শুরুতে এ বিচারে তৎপরতা দেখালেও এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে পরেছে। তিনি হত্যার নির্দেশদাতা শামীম ওসমান তার ছেলে অয়ন ওসমান ভাতিজা আজমেরী ওমান তার সহযোগী শাহ নিজাম সহ হত্যায় জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে অভিযোগপত্র দিয়ে দ্রুত বিচার শুরুর দাবি জানান।
তিনি বলেন, আজ এই সরকারের ছয় মাস পূর্ণ হলো। ছয় মাস কম নয়। একটা বিচার সম্পন্ন করতে ছয় মাস অনেক সময়। তিনি সাগর-রুনী, তনু ও নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবার দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যার বিচারের দাবি জানান।
এড. মাহাবুবুর রহমান মাসুম বলেন, শামীম ওসমানের নির্দেশে ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছে বলেই এতদিন ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ রাখা হয়েছিল কিন্তু এখন বিচারে বাধাটা কোথায়? তিনি দ্রুত ত্বকী হত্যার বিচার শুরুর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খাঁ রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দু’দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বছরের ১২ নভেম্বর আজমেরী ওসমানের সহযোগী সুলতান শওকত ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে জানায়, আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ত্বকীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। ৫ মার্চ ২০১৪ তদন্তকারী সংস্থা র্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের নির্দেশে তাদেরই টর্চারসেলে ১১ জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করেছে। অচিরেই তারা অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করবে। কিন্তু সে অভিযোগপত্র আজো পেশ করা হয় নাই। ত্বকী হত্যার পর থেকে বিচার শুরু ও চিহ্নিত আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতি মাসের ৮ তারিখ আলোক প্রজ্বালন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: শ ম ম ওসম ন ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ওসম ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মহানগর যুবদলের অন্যতম মেরুদন্ড ৩নং ওয়ার্ড হচ্ছে : সাহেদ
যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ বলেছেন, এই কর্মী সভার মাধ্যমে আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সংগঠনকে কিভাবে গতিশীল ও সু-সংগঠিত করা যায়। দেশনায়ক তারেক রহমান সাহেবের যে চিন্তা-ভাবনা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার জন্য সেই বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল শাঁখা প্রত্যেকটি ইউনিট কিভাবে শক্তিশালী ও গতিশীল করা যায়।
তার মধ্যে ৩নং ওয়ার্ড কমিটি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের অন্যতম মেরুদন্ড। সিদ্ধিরগঞ্জের ৩ নং ওয়ার্ড, ২ নং ওয়ার্ড ১ নং ওয়ার্ড ও ৪ নং ওয়ার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই চারটি ওয়ার্ড। আমরা বিগত সময় আন্দোলনে এই সকল ওয়ার্ডগুলোতে সাংগঠনিকভাবে অনেক দুর্বলতা আমরা পেয়েছি।
সেটা নট অনলি যুবদল। বিগত যে বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাঁখার আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অন্তর্ভুক্ত ৩নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
শনিবার (৮ মার্চ) বিকেল তিনটায় চিটাগাং রোড সংলগ্ন মুক্তিনগরের গ্রীণ গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রিয়াজুল আলম ইমনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আগামী দিনের জগত দলের কমিটিতে সাবেক যারা যুবদলের নেতাদের রয়েছে তারাও থাকবে বর্তমান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও থাকবে। কেউ যদি পারিবারিকভাবে ভাই-বোন বোন্ড বিএনপি হয়ে থাকে ওখান থেকে নিয়ে আসা যায়।
একটি ওয়ার্ড কমিয়ে কমিটির সর্বনিম্ন ৩১ সদস্যের হবে। তবে আওয়ামী লীগের কোন দোসরাই এই কমিটিতে স্থান পাবে না। যদি কোন আওয়ামী লীগের এখানে থেকে থাকেন তাহলে নিজ দায়িত্বে এখান থেকে চলে যান।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সাইদুর রহমান সোহেল, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম,ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, মোঃ আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, এরশাদ আলী, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন, জুনায়েদ আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড. শাহিন খান, কাজী নাইসুল ইসলাম সাদ্দাম, আলী হোসেন সৌরভ, বাদশা মিয়া, মাসুদ রানা, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, রিয়াজুল আলম ইমন, জুনায়েদ মোল্লা জনি, হাবিবুর রহমান মাসুদ, আঃ কাদির, আশরাফুল হক তান্না, জাহিদুল হাসান শুভ, মাহফুজুর রহমান ফয়সাল প্রমুখ ।
এছাড়াও মহানগর যুবদলের আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডের যুবদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।