‘কোনো অন্যায় চিরকাল টিকে থাকতে পারে না, তাই স্বৈরশাসক দেশ থেকে দূর হয়েছে’
Published: 8th, February 2025 GMT
‘কোনো অন্যায় চিরকাল টিকে থাকতে পারে না, তাই স্বৈরশাসক দেশ থেকে দূর হয়েছে। এখন দেশ পরিচালনায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানী থেকে অজপাড়াগাঁ পর্যন্ত আপনাদের মাধ্যমেই দেশের সব মানুষ সেবা পান। তাই দেশের জনগণের কথা মাথায় রেখে হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করবেন। তাহলেই দেশের মানুষও আপনাদের মাথায় তুলে রাখবেন।’
আজ শনিবার বিকেলে নরসিংদীর পাঁচদোনার ড্রিম হলিডে পার্কে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের বনভোজন ও পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন।
আবদুল মঈন খান বলেন, ‘দেশের ১৮ কোটি মানুষকে আপনারা সাংবিধানিকভাবে সেবা দিয়ে থাকেন, সেই কারণেই আপনাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সংবিধানে রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভের কথা বলা হয়েছে। একটি হলো জাতীয় সংসদ, দ্বিতীয়টি সুপ্রিম কোর্ট এবং তৃতীয়টি হচ্ছে সচিবালয়। সচিবালয় হলো এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ, রাষ্ট্র পরিচালনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আপনারা সে হিসেবে রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’
দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই গত ১৬ বছর কঠিন সময় পার করে এসেছেন বলে মন্তব্য করেন আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন ‘আপনারা কীভাবে সেসব দিন কাটিয়েছেন। আমার চেয়ে বেশি কেউ জানে না। সে সময়ও আপনারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম, আপনারা ধৈর্য ধরেছেন। এ জন্যই আজ সুদিনের স্বপ্ন আপনারা দেখতে পারছেন। কোনো অন্যায় চিরকাল টিকে থাকতে পারে না। এখন অন্যায় ও স্বৈরশাসক বাংলাদেশ থেকে দূর হয়েছে।’
আবদুল মঈন খান বলেন, ‘গত সরকারের আমলে যে জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন আপনাদের ও আমাদের ওপর হয়েছে, এ থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশে হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করুন। জনগণের ভোটের মাধ্যমে আমরা যদি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করি, তবে অবশ্যই সব অন্যায় দূর করে আপনাদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে।’
বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে আবদুল মঈন খান বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের গঠিত ২০২৫-২৬ মেয়াদের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন। কমিটির সভাপতি হয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো.
সংগঠনটির সভাপতি মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মো. মোজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী এ বি এম আবদুস সাত্তার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী, ড্রিম হলিডে পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা প্রমুখ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আপন দ র ল ইসল ম র হয় ছ আপন র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে সেনাবাহিনী নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: আইএসপিআর
দ্য ইকোনমিক টাইমস ও ইন্ডিয়া টুডেসহ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে ‘কমান্ড চেইন’ ভেঙে পড়ার শঙ্কা নিয়ে ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেছে আইএসপিআর। এসব প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বাংলাদেশ ও এর সশস্ত্র বাহিনীর স্থিতিশীলতা ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে ইচ্ছাকৃত মিথ্যা প্রচারণার অংশ বলে প্রতীয়মান হয় বলেও সংস্থাটি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আমরা সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করছি যে, সেনাবাহিনী প্রধানের যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ এবং সাংবিধানিক দায়িত্বের প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কমান্ড চেইনটি শক্তিশালী এবং সিনিয়র জেনারেলসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব সদস্য সংবিধান, চেইন অব কমান্ড এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাদের আনুগত্যে অবিচল। পদমর্যাদার মধ্যে অনৈক্য বা আনুগত্যহীনতার যেকোনো অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট এবং বিদ্বেষপূর্ণ।
এতে আরও বলো হয়, বিশেষ করে দ্য ইকোনমিক টাইমস বারবার এ ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটির সর্বশেষ প্রতিবেদনের ঠিক এক মাস আগে ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি একই বিষয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ ধরনের প্রতিবেদন সংবাদমাধ্যমগুলোর উদ্দেশ্য এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে। বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল এবং কিছু জঘন্য ও বিতর্কিত টেলিভিশন চ্যানেলও এই মিথ্যা প্রচার করেছে, যা মিথ্যা প্রচারকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার নীতিমালা মেনে চলার পরিবর্তে তারা ভুল তথ্য ছড়ানো এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আমরা এসব সংবাদমাধ্যমকে, বিশেষ করে ভারতে অবস্থিত গণমাধ্যমগুলোকে ভালো সাংবাদিকতা চর্চা মেনে চলার এবং যাচাই না করা ও চাঞ্চল্যকর গল্প প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে তারা আইএসপিআর কাছ থেকে মতামত ও ব্যাখ্যা চাইবেন বলে আশা করছি। আইএসপিআর সব সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে সঠিক এবং অফিসিয়াল তথ্য সরবরাহের জন্য প্রস্তুত।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা রক্ষায় তার অঙ্গীকারে অবিচল। আমরা সব সংবাদমাধ্যমকে দায়িত্বশীল আচরণ করার এবং অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা ও বিভ্রান্তি ছড়ায় এমন মিথ্যা বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।