সমকালে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
Published: 8th, February 2025 GMT
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের কোর্সের অংশ হিসেবে আজ শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সমকাল কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন।
সাংবাদিকদের দৈনন্দিন কার্যক্রম, সংবাদ সংগ্রহ, তথ্য যাচাই এবং প্রচার ও প্রকাশনার খুটিনাটি হাতেকলমে জানার অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স বিভাগের পক্ষ থেকে এই আয়োজন করা হয়।
দুপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন সমকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শরীফুল ইসলাম, উপসম্পাদক শাহেদ চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক খায়রুল বাশার শামীম, সহযোগী সম্পাদক জাকির হোসেন, প্রধান প্রতিবেদক মশিউর রহমান খান ও সহকারী সম্পাদক এহ্সান মাহমুদ। তারা সমকাল প্রকাশের বিভিন্ন বিষয় শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন।
পরে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখান সমকাল অনলাইনের ইনচার্জ গৌতম মণ্ডল। প্রিন্ট সংস্করণের পাশাপাশি সমকাল অনলাইন সংস্করণের কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি শিক্ষার্থীদের ধারণা দেন। বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম (সজল) এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ৪০ জনের বেশি শিক্ষার্থী এদিন সমকাল কার্যালয় পরিদর্শন করেন।
এর আগে সকালে শিক্ষার্থীরা চ্যানেল ২৪ কার্যালয় ঘুরে দেখেন এবং টেলিভিশন সাংবাদিকতা ও টেলিভিশন সম্প্রচারের বিভিন্ন কলাকৌশল সম্পর্কে ধারণা নেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে ঢোকার অনুমতি পায়নি চার ট্রাক তৈরি পোশাক, গন্তব্য ছিল স্পেন
ভারত সরকার ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা প্রত্যাহার করায় পেট্রাপোল কাস্টমস তৈরি পোশাকবোঝাই চারটি ট্রাককে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি (কারপাস) দেয়নি। এতে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে গতকাল বুধবার ট্রাকগুলো ঢাকায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে নিয়ে যাওয়ার সুবিধা দিতে ২০২০ সালের ২৯ জুন আদেশ জারি করেছিল ভারত। ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) গত মঙ্গলবার সেই আদেশ বাতিল করে।
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ঢাকা থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক তিনটি প্রতিষ্ঠান চারটি ট্রাকে পণ্য বোঝাই করে বেনাপোল বন্দরে নিয়ে আসে। ট্রানজিট নিয়ে ওই পণ্য কলকাতার দমদম বিমানবন্দর হয়ে স্পেনে রপ্তানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমস থেকে ট্রাকগুলো প্রবেশের অনুমতি পায়নি। এতে পণ্যগুলো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ফিরিয়ে নিয়েছে।
বেনাপোলে এই পণ্যের ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়াডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট ছিল পদ্মা ট্রেডিং। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক অনিক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ ভারত সরকার ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা প্রত্যাহার করেছে। এর আগেই ট্রাকবোঝাই এসব পণ্য বেনাপোল বন্দরে চলে আসে। পণ্য ঢুকতে না দেওয়ায় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও আমরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছি।’ তিনি জানান, এই সুবিধা বাতিলের এক দিন আগেও ২০ ট্রাক তৈরি পোশাক তাঁদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতের ট্রানজিট ব্যবহার করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছে। সাধারণত তৈরি পোশাকের রপ্তানি গ্রীষ্মে বাড়ে। এখন রপ্তানির ভরা মৌসুম। এই মুহূর্তে ভারতের এই সিদ্ধান্তে তাঁরা বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, ‘যে রপ্তানিকারকের পণ্য ফিরে গেছে, তাদের কোনো প্রতিনিধি আমাদের কিছু জানাননি। তবে আমরা জেনেছি, ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমস থেকে কারপাস দেওয়া হয়নি। যে কারণে পণ্য ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
২০২০ সালের ২৯ জুন এক আদেশে ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। তখন বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানিতে ভারতের কলকাতা বন্দর, নবসেবা বন্দর ও কলকাতা বিমান কার্গো কমপ্লেক্স ব্যবহার করার সুযোগ দিয়েছিল সিবিআইসি। এখন সে সুবিধা প্রত্যাহার করল ভারত।
বিবৃতিতে ভারত দাবি করেছে, এসব পদক্ষেপে ভারতের সীমান্ত দিয়ে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ওপর প্রভাব পড়বে না।
বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, বেনাপোল দিয়ে ভারতের ট্রানজিট নিয়ে তৃতীয় কোনো দেশে যেসব পণ্য রপ্তানি করা হয়, তার বেশির ভাগ যায় ইউরোপের দেশগুলোয়। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বেনাপোল ও পেট্রাপোল দিয়ে স্পেন ও সুইজারল্যান্ডে বেশি যায়। এই বন্দর দিয়ে নেপাল ও ভুটানে পণ্য রপ্তানি কম হয়।