Samakal:
2025-03-15@01:00:30 GMT

জিরাফের রংধনুর সাজ

Published: 8th, February 2025 GMT

জিরাফের রংধনুর সাজ

চিড়িয়াখানায় খাঁচায় থাকতো এক জিরাফছানা। পর্যটকরা শুধু ময়ূরকেই দেখতো। জিরাফকে কেউ দেখতো না। জিরাফ একদিন ভাবে, ‘আমার যে কোনোভাবে রংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিদিন রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে আমি নিজেকে ভিন্ন রঙের করে নেবো। তাহলে সবাই আমাকে দেখবে।’ এই ভেবে সে নিজের টিয়া বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলো, ‘আচ্ছা টিয়া ভাই, তুমি কি জানো রং কোথায় পাওয়া যায়?’ 

টিয়া বললো, ‘হ্যাঁ জানি, কেন?’ জিরাফ বললো, ‘আমি রঙিন হবো।’ টিয়া বললো, ‘পাশের গর্তে ইঁদুর থাকে। সে সব জায়গায় ঘুরে ঘুরে ফুল সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে রং তৈরি করে বিক্রি করে। তুমি কিনলে তবে দেখা করিয়ে দেবো।’ জিরাফ বললো, ‘আমি কীসের বিনিময়ে তার কাছ থেকে রং নেবো! আমার কাছে তো কিছুই নেই।’ টিয়া বললো, ‘ইঁদুর তাজা তাজা আপেল পছন্দ করে।’ জিরাফ বললো, ‘আমি এখন আপেল কোথা থেকে পাবো।’ টিয়া বললো, ‘ভূতুড়ে গুহা পার হলেই একটা আপেল বাগান আছে। সেখানে যাওয়া অনেক বিপজ্জনক, সেখান থেকে ভূতের কান্নার শব্দ আসে।’ জিরাফ বললো, ‘যা হওয়ার হোক, আমরা যাবোই।’ সেই রাতেই তারা বের হয়ে গেলো অভিযানে। যেই তারা গুহার সামনে গেলো সেই শুরু হলো কান্নার শব্দ। তারা ভয়ে ভয়ে ভেতরে গেলো। গিয়ে দেখলো কোনো ভূত না, সেখানে এক মেয়েকে কেউ বেঁধে রেখেছে। তারা মেয়ের দড়ি খুলে দিলো। মেয়েটি বললো, ‘আমার আপেলের বাগানকে কেউ বাঁচাও। একদল কাঠবিড়ালি দখল করে রেখেছে।’ তখন জিরাফ বললো, ‘আমি দেখছি ওদের’– বলে ওরা ভেতরে ঢুকলো। সব কাঠবিড়ালি তাকে দেখে পালালো এবং মেয়েটি খুশি হয়ে তাকে এক ঝুড়ি তাজা লাল টকটকে আপেল দিলো। জিরাফ সেগুলোর বিনিময়ে অনেক অনেক রং নিলো। এখন থেকে সে প্রতি রাতে অনেক ভেবে ভেবে নতুন নতুন রং করে নিজেকে রঙিন করে। তাই এখন পর্যটকরা শুধু তাকেই দেখে। সে আনন্দে তার জীবন চিড়িয়াখানায় কাটাতে শুরু করে।

বয়স : ৩+৩‍+৩ বছর; পঞ্চম শ্রেণি, মণীষা ভবন  কেজি স্কুল, নাটোর

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ র ফ বলল

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা, ডানা মেলেছে প্রকৃতি

পটুয়াখালীর পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার কাউয়ার চর এবং মিরা বাড়ি পয়েন্ট বেড়েছে অতিথি পাখির বিচরণ। এসব পাখির কলকাকলিতে মুখরিত থাকছে সৈকতের এ দুই স্পট। এছাড়া চর গঙ্গামতি সৈকতে রয়েছে ঝিনুকের ছড়াছড়ি। 

এ সৈকতের যতদূর চোখ যায় ধুধু বালুচরের উপর বিশাল এলাকা জুড়ে সাদা ঝিনুকের খোলসের আস্তরণ। ছোট বড় হাজার হাজার ঝিনুক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় এ অবস্থা বিরাজ করছে এ সৈকতে।

 

চর গঙ্গামতির পূর্বপাশে ক্র্যাব আইল্যান্ডে বেড়েছে লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণ। লাল কাঁকড়ার নিপুণ আঁকিবুকি আর নাচানাচি যে কারও মন কাড়বে। এছাড়াও সৈকতের সংরক্ষিত বনাঞ্চল সংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে ঔষধি গাছ আকন্দসহ বিভিন্ন গাছ গাছালি। এসব গাছে ফোটা ফুল শোভা ছড়াচ্ছে সৈকত এলাকায়। 

এদিকে বর্ষা মৌসুম ঘনিয়ে আসায় সাগরের বিশালতায় বেড়েছে ছোট বড় ঢেউয়ের মোহনীয় গর্জন। মোটকথা রমজানের শুরু থেকে কুয়াকাটা সৈকত পর্যটক শূন্য থাকায় প্রকৃতি সেজেছে অপরুপ সাজে। মনজুড়ানো এসব সৌন্দর্য কেবল ঈদের পরে আসা পর্যটকরাই উপভোগ করতে পারবেন।

কুয়াকাটা সৈকতের মোটরসাইকেল চালক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, “পর্যটক না থাকায় সৈকতে আমাদের বিচরণ খুব কম। তবে গতকাল খুলনা থেকে এক পর্যটক এসেছিল। তাকে নিয়ে পুরো সৈকত ঘুরেছি। দেখে মনে হয়েছে প্রকৃতি সেজেছে তার নিজস্ব রূপে। বেড়েছে অতিথি পাখি, লাল কাঁকড়া এবং ঝিনুকের সংখ্যা।” 

গঙ্গামতি সৈকত এলাকার জেলে রহমান মিয়া বলেন, “এ সৈকতে প্রচুর পরিমাণে ঝিনুকের খোলস ভেসে এসেছে। যেটা দেখতে বেশ দারুণ সুন্দর লাগে।” 

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোশিয়েসন অব কুয়াকাটার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন রাজু বলেন, “রমজানের শুরু থেকে কুয়াকাটা সৈকতের পর্যটকের বিচরণ না থাকায় সৈকতের প্রকৃতির সেজেছে নতুন রূপে। লাল কাঁকড়া এবং অতিথি পাখির বিচরণ বেড়ছে। এছাড়া সৈকত সংলগ্ন সংরক্ষিত বনের বিভিন্ন গাছে নতুন নতুন ফুল ফুটেছে। দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। কেবল ঈদের পরে কুয়াকাটা আসা পর্যটকরাই নৈসর্গিক এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।”

কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের পুলিশ পরিদর্শক আহাদুজ্জামান বলেন, “ঈদের পরে কুয়াকাটায় লাখ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটবে। সৈকতের নতুন প্রকৃতি এ সকল পর্যটকরাই উপভোগ করতে পারবেন। আগত পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।”

ঢাকা/ইমরান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যেখানে প্রাণীর রাজত্ব চলে...
  • পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা, ডানা মেলেছে প্রকৃতি