চিড়িয়াখানায় খাঁচায় থাকতো এক জিরাফছানা। পর্যটকরা শুধু ময়ূরকেই দেখতো। জিরাফকে কেউ দেখতো না। জিরাফ একদিন ভাবে, ‘আমার যে কোনোভাবে রংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিদিন রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে আমি নিজেকে ভিন্ন রঙের করে নেবো। তাহলে সবাই আমাকে দেখবে।’ এই ভেবে সে নিজের টিয়া বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলো, ‘আচ্ছা টিয়া ভাই, তুমি কি জানো রং কোথায় পাওয়া যায়?’
টিয়া বললো, ‘হ্যাঁ জানি, কেন?’ জিরাফ বললো, ‘আমি রঙিন হবো।’ টিয়া বললো, ‘পাশের গর্তে ইঁদুর থাকে। সে সব জায়গায় ঘুরে ঘুরে ফুল সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে রং তৈরি করে বিক্রি করে। তুমি কিনলে তবে দেখা করিয়ে দেবো।’ জিরাফ বললো, ‘আমি কীসের বিনিময়ে তার কাছ থেকে রং নেবো! আমার কাছে তো কিছুই নেই।’ টিয়া বললো, ‘ইঁদুর তাজা তাজা আপেল পছন্দ করে।’ জিরাফ বললো, ‘আমি এখন আপেল কোথা থেকে পাবো।’ টিয়া বললো, ‘ভূতুড়ে গুহা পার হলেই একটা আপেল বাগান আছে। সেখানে যাওয়া অনেক বিপজ্জনক, সেখান থেকে ভূতের কান্নার শব্দ আসে।’ জিরাফ বললো, ‘যা হওয়ার হোক, আমরা যাবোই।’ সেই রাতেই তারা বের হয়ে গেলো অভিযানে। যেই তারা গুহার সামনে গেলো সেই শুরু হলো কান্নার শব্দ। তারা ভয়ে ভয়ে ভেতরে গেলো। গিয়ে দেখলো কোনো ভূত না, সেখানে এক মেয়েকে কেউ বেঁধে রেখেছে। তারা মেয়ের দড়ি খুলে দিলো। মেয়েটি বললো, ‘আমার আপেলের বাগানকে কেউ বাঁচাও। একদল কাঠবিড়ালি দখল করে রেখেছে।’ তখন জিরাফ বললো, ‘আমি দেখছি ওদের’– বলে ওরা ভেতরে ঢুকলো। সব কাঠবিড়ালি তাকে দেখে পালালো এবং মেয়েটি খুশি হয়ে তাকে এক ঝুড়ি তাজা লাল টকটকে আপেল দিলো। জিরাফ সেগুলোর বিনিময়ে অনেক অনেক রং নিলো। এখন থেকে সে প্রতি রাতে অনেক ভেবে ভেবে নতুন নতুন রং করে নিজেকে রঙিন করে। তাই এখন পর্যটকরা শুধু তাকেই দেখে। সে আনন্দে তার জীবন চিড়িয়াখানায় কাটাতে শুরু করে।
বয়স : ৩+৩+৩ বছর; পঞ্চম শ্রেণি, মণীষা ভবন কেজি স্কুল, নাটোর
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ র ফ বলল
এছাড়াও পড়ুন:
জিরাফের রংধনুর সাজ
চিড়িয়াখানায় খাঁচায় থাকতো এক জিরাফছানা। পর্যটকরা শুধু ময়ূরকেই দেখতো। জিরাফকে কেউ দেখতো না। জিরাফ একদিন ভাবে, ‘আমার যে কোনোভাবে রংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিদিন রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে আমি নিজেকে ভিন্ন রঙের করে নেবো। তাহলে সবাই আমাকে দেখবে।’ এই ভেবে সে নিজের টিয়া বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলো, ‘আচ্ছা টিয়া ভাই, তুমি কি জানো রং কোথায় পাওয়া যায়?’
টিয়া বললো, ‘হ্যাঁ জানি, কেন?’ জিরাফ বললো, ‘আমি রঙিন হবো।’ টিয়া বললো, ‘পাশের গর্তে ইঁদুর থাকে। সে সব জায়গায় ঘুরে ঘুরে ফুল সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে রং তৈরি করে বিক্রি করে। তুমি কিনলে তবে দেখা করিয়ে দেবো।’ জিরাফ বললো, ‘আমি কীসের বিনিময়ে তার কাছ থেকে রং নেবো! আমার কাছে তো কিছুই নেই।’ টিয়া বললো, ‘ইঁদুর তাজা তাজা আপেল পছন্দ করে।’ জিরাফ বললো, ‘আমি এখন আপেল কোথা থেকে পাবো।’ টিয়া বললো, ‘ভূতুড়ে গুহা পার হলেই একটা আপেল বাগান আছে। সেখানে যাওয়া অনেক বিপজ্জনক, সেখান থেকে ভূতের কান্নার শব্দ আসে।’ জিরাফ বললো, ‘যা হওয়ার হোক, আমরা যাবোই।’ সেই রাতেই তারা বের হয়ে গেলো অভিযানে। যেই তারা গুহার সামনে গেলো সেই শুরু হলো কান্নার শব্দ। তারা ভয়ে ভয়ে ভেতরে গেলো। গিয়ে দেখলো কোনো ভূত না, সেখানে এক মেয়েকে কেউ বেঁধে রেখেছে। তারা মেয়ের দড়ি খুলে দিলো। মেয়েটি বললো, ‘আমার আপেলের বাগানকে কেউ বাঁচাও। একদল কাঠবিড়ালি দখল করে রেখেছে।’ তখন জিরাফ বললো, ‘আমি দেখছি ওদের’– বলে ওরা ভেতরে ঢুকলো। সব কাঠবিড়ালি তাকে দেখে পালালো এবং মেয়েটি খুশি হয়ে তাকে এক ঝুড়ি তাজা লাল টকটকে আপেল দিলো। জিরাফ সেগুলোর বিনিময়ে অনেক অনেক রং নিলো। এখন থেকে সে প্রতি রাতে অনেক ভেবে ভেবে নতুন নতুন রং করে নিজেকে রঙিন করে। তাই এখন পর্যটকরা শুধু তাকেই দেখে। সে আনন্দে তার জীবন চিড়িয়াখানায় কাটাতে শুরু করে।
বয়স : ৩+৩+৩ বছর; পঞ্চম শ্রেণি, মণীষা ভবন কেজি স্কুল, নাটোর