উস্কানি চলতে থাকলে তিন বছরেও ভোট সম্ভব নয়
Published: 8th, February 2025 GMT
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, শেখ হাসিনার ভাষণ নিয়ে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে, তা প্রশমনের প্রচেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে। কেউ উস্কানি দেয় আর আপনিও উস্কান– এটা যদি প্রতি তিন মাস পরপর ঘটতে থাকে, তাহলে আগামী তিন বছরেও ভোট করতে পারবেন না।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘নির্বাচন সংস্কার বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্র সংস্কার ফোরাম আয়োজিত এ আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (রওশন) সাবেক নেতা গোলাম সারোয়ার মিলন, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, আমিরুল করিম প্রমুখ।
মান্না বলেন, ‘অনেকে দাবি করছেন, আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। এর আগে ভোট হবে না। কিন্তু দেখা গেল বিচার করতে ছয় বছর লেগে গেল। তখন তো জনগণ মেনে নেবে না। তাই সবকিছু আবেগ দিয়ে, রাগ দিয়ে বিচার করলে হবে না।’ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিবাদী একটি দল আর কোনোদিন জনগণের কাছে আসতে পারবে না। এমন একটি নির্বাচন আয়োজন করুন, যার ওপর দাঁড়িয়ে আগামী দিনের গণতন্ত্রের ভিত রচিত হয়।
সংস্কার প্রসঙ্গে মান্না বলেন, ‘সংস্কার সর্বাংশে ভালো জিনিস। সংস্কার করার ব্যাপারে সমগ্র জাতি এখন ঐক্যবদ্ধ আছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সংস্কারটা কতখানি লাগবে। সংস্কারের প্রশ্নে কোনো বিষয়ে ন্যূনতম যে ঐকমত্য হবে, সরকার ততটুকু সংস্কার করবে। এ পর্যন্ত সংস্কার প্রসঙ্গে যত আলোচনা হয়েছে, আমি একটা প্রসঙ্গে ঐকমত্য দেখতে পাচ্ছি, সেটা হলো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে হবে। এর বাইরে অন্য কোনো বিষয়ে ঐকমত্য দেখা যায়নি।
মান্না আরও বলেন, ছয় মাস পর অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে সরকার একটা কঠিন সময়ে এসে উপনীত হয়েছে। জিনিসের দাম কমে নাই। ইনভেস্টমেন্ট বাড়েনি, ইনকাম রেট বাড়েনি। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দুর্বল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সেরা বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে চীন: রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, সেরা বন্ধু হিসেবে পাশে থেকে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে চীন।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে 'বাংলাদেশে চীনের জাতীয় ভাবমূর্তি' শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের সহযোগিতা বাংলাদেশ, দেশের জনগণ ও চীনা জনগণের জন্য। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বা কোন দেশের অভ্যন্তরে যে পরিবর্তনই হোক না কেন, আমাদের নীতি স্পষ্ট। চীন অংশীদার হিসেবেই থাকবে। চীন সবসময় একটি দেশ ও তার জনগণের সঙ্গে থাকে, কোনো নির্দিষ্ট সরকারের সঙ্গে নয়।
আগামী ২৬-২৯ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন চীন সফর সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চীন বিশ্বের সব দেশের প্রধানমন্ত্রী বা সরকার প্রধানকে আমন্ত্রণ জানায় এবং এ মুহূর্তে এ সফরের অগ্রাধিকার সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের কোনো সার্বজনীন রূপ নেই এবং এটি দেশ থেকে দেশে ভিন্ন হতে পারে। কোনো দেশের জনগণ এটি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়।