যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে সব ধরনের মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে যবিপ্রবির প্রক্টর ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. আমজাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার রাতে উদ্ভূত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বজায় রাখা, শান্তিশৃঙ্খলা এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিনা অনুমতিতে সব ধরনের মিছিল, মিটিং, সভা, সমাবেশ ও গণজমায়েত না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। উক্ত নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গতকাল রাতে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে চায়ের দোকানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডার জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও আট শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় ডিন’স কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.

মো. জাফিরুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। 

আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘ইসরায়েলের পণ্য বর্জনের জিহাদ শুরু করতে হবে’

স্বাধীন ফিলিস্তিনের স্বীকৃ‌তি দা‌বি ক‌রে গাজায় গণহত‌্যা ব‌ন্ধে ইসরায়েলের পণ্য বর্জনের মাধ‌্যমে জিহাদ শুরু করার আহ্বান জা‌নি‌য়ে‌ছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নেতারা।

গাজায় গণহত‌্যার প্রতিবা‌দে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আ‌য়ো‌জিত বি‌ক্ষোভ সমা‌বে‌শে তারা এ আহ্বান জানান।

ইসলামী ফ্রন্ট ঢাকা মহানগর আ‌য়ো‌জিত, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল হাকিমের সঞ্চালনায় সমা‌বে‌শে প্রধান অতিথি ছি‌লেন কেন্দ্রীয় আইন সচিব অ্যাডভোকেট ইকবাল হাছান।

আরো পড়ুন:

গাজায় আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলা, নিহত ৩৫

গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদ করায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর ৯৭০ কর্মীকে বহিষ্কারের হুমকি

তি‌নি বলেন, “এই বর্বরতা পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ট উদহারণ। ফিলিস্তিনের গাজার মুসলমানদের ওপর ইহুদিদের পরিকল্পিত বর্বরোচিত হামলায় নারী-শিশুসহ মুসলিম নিধন করছে। ইহুদিরা ফিলিস্তিনকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। এখনও মুস‌লিম বিশ্ব নীরব। নীরব জা‌তিসংঘসহ সব আন্তর্জা‌তিক সংস্থা।”

তি‌নি ব‌লেন, “ইসরায়েলিদের বিরু‌দ্ধে আমা‌দের সর্বাত্মক প্রতি‌রোধ গ‌ড়ে তুল‌তে হ‌বে। অন্তত পণ‌্য বর্জনের মাধ‌্যমে জিহাদ শুরু কর‌তে হ‌বে।”

এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনার সিনিয়র সহসভাপতি ক্যানসার গবেষক অধ্যক্ষ ডাক্তার এম সরওয়ার।

এ সময় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর ইসলামী ফ্রন্ট নেতা কাজী শাহেদ আলম চৌধুরী, কাজী মোহাম্মদ তৈয়ব আলী, অ্যাডভোকেট লিংকন, বুলবুল আহমদ মোমেনশাহীসহ যুবসেনা ও ছাত্রসেনা নেতারা।

সমা‌বেশ শে‌ষে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের ক‌রেন। মিছিলে ‘লাখো শহীদের রক্তের ঋণ’, ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন? জবাব চাই দিতে হবে,’ ‘বিশ্ব মুসলিম এক হও, ফিলিস্তিন রক্ষা করো’ স্লোগানে স্লোগানে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রকম্পিত হয়ে উঠে।

এ সময় নেতারা ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা, ফিলিস্তিনের নাগরিকদের ওপর চালানো গণহত্যার প্রতিবাদ ও স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবি তুলেন। বিক্ষোভকারীরা গাজাবাসীর নিরাপত্তা, আল আকসা পুনরুদ্ধার, মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জিহাদের আহ্বান জানান।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ