বন্দরে স্বামী ও সন্তানদের ঘুমে রেখে পালালো স্ত্রী
Published: 8th, February 2025 GMT
বন্দরে পরকিয়া করে স্বামী ও অবুঝ ২ সন্তানকে ঘুমে রেখে ব্যবসায়ী কাজের নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও দেড়ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ২ সন্তানের জননী মৌসুমী বেগমের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হোসিয়ারি ব্যবসায়ী স্বামী পলাশ মিয়া বাদী হয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার ১২ দিন পর শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পাষান্ড স্ত্রী ও পরকিয়া প্রেমিক সোহানের নাম উল্লেখ করে আরো ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ৩টায় বন্দর মোল্লাবাড়ী দিঘিরপাড়স্থ জনৈক সাইফুল মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূ পালিয়ে যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ বছর পূর্বে বন্দর মোল্লাবাড়ী দিঘিরপাড় এলাকার সাইফুল মিয়ার ভাড়াটিয়া মনির হোসেন মিয়ার ছেলে হোসিয়ারী ব্যবসায়ী পলাশ মিয়ার সাথে একই থানার একরামপুর সিটি কলোনী এলাকার জতন লালের মেয়ে মৌসুমী সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে ৯ বছরের কন্যা সন্তান ও ৩ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে ২ সন্তানের জননী বের্পদা চলাফেরা করে আসছিল।
গত ১ বছর ধরে ২ সন্তানের জননী মৌসুমী পরকিয়া লিপ্ত হয়। পরকীয়ার সম্পর্কের কথা জানতে পেরে ব্যবসায়ী পলাশ তার স্ত্রী মৌসুমীকে বিভিন্ন সময়ে বাধা নিষেধ করে আসছে। এরপর গত ২৮ জানুয়ারি দিবাগত রাত ৩ টায় স্বামী ও ২ সন্তানের মায়া কান্না ত্যাগ করে স্বামী জমানো নগদ টাকা ও দেড়ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়।
এর ধারাবাহিকতা শনিবার (৮ ফব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় মৌসুমী হুকুমে বন্দর খানবাড়ী এলাকার আবু সুফিয়ান মিয়ার ছেলে প্রেমিক সোহানসহ ৬/৭ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পলাশের হোসিয়ারী কারখানায় অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।
ওই সময় দাবিকৃত টাকা না পেয়ে প্রেমিক সোহান ক্ষিপ্ত হয়ে পলাশের ব্যবহারকৃত সিমসহ মোবাইল ফোন ইনফিনিক্স ব্যান্ডে যাহার সিম নম্বর- ০১৬৮৮-৫১০৯৬৮৬ ও ০১৯৯৪-২৬৩৩৪৮ এবং যার আনুমানিক মূল্য ১৬,০০০/- টাকা ছিনিয়ে নেয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব যবস য় পরক য়
এছাড়াও পড়ুন:
পীরগঞ্জে সেই নারীর খণ্ডিত মাথা উদ্ধার
রংপুরের পীরগঞ্জে মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধারের এক দিন পর খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার চতরা ইউনিয়নের করতোয়া নদীর তীরে পাকার মাথা টোংরারদহ এলাকা থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়। এতে জড়িত থাকা অভিযোগে বড় বদনাপাড়া গ্রামের আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশের এসআই অনন্ত কুমার বর্মণ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। রংপুরের পুলিশ সুপার আবু সাইম সংবাদ সম্মেলন করে জানান, শুক্রবার সকালে বড় বদনাপাড়ায় এক নারী মরিচ উঠাতে ক্ষেতে গিয়ে মাথাবিহীন নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে পুলিশে খবর দেন।
সিআইডি ক্রাইম সিন দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় ও ঠিকানা শনাক্ত করে। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তার নাম দেলোয়ারা (৩১) বলে জানা সম্ভব হয়। তিনি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের দিলালপুর গ্রামের রেজাউল করিমের স্ত্রী। নীলফামারীর জলঢাকার পশ্চিম গোরমুক্তা গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে তিনি।
পুলিশ সুপার জানান, পুলিশের একটি দল বস্তা ও ব্যাগে ভর্তি ছবি, সিমকার্ড, কাগজে লিখিত কয়েকটি মোবাইল ফোন নম্বর পেলে নারীর পরিচয় জানতে পারে। এক পর্যায়ে আতিকুলের গতিবিধিতে নজর রাখে তারা। শনিবার সকালে বোরকা পরে পালিয়ে যাওয়ার পথে কাবিলপুর ইউপির ঘনশ্যামপুর সড়ক থেকে তাকে আটক করা হয়।
আতিকুলের স্বীকারোক্তিতে কাটা মাথার সন্ধান মিললে উদ্ধারে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের রহস্য এবং ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে তদন্ত চলছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। আতিকুল এলাকায় জুয়াড়ি হিসেবে পরিচিত বলেও জানান তিনি। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব-১৩ এর গোয়েন্দা সদস্যরাও এ বিষয়ে কাজ করছেন।