ফতুল্লায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার পরিবারের পাশে জেলা বিএনপি
Published: 8th, February 2025 GMT
দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক মামুন হোসাইনের পরিবারের পাশে দাঁড়াল জেলা বিএনপি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শনিবার বিকেলে নিহতের বাস ভবনে যান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।
এসময় ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, থানা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল খালেক টিপু, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিন সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মামুন মাহমুদ নিহতের পরিবারকে সান্তনা দিয়ে বলেন, মামুন হত্যাকান্ডের পরপরই আমাদের নেতা তারেক রহমান আমাকে খোঁজখবর নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমি আজ এখানে আমাদের নেতার নির্দেশে এসেছি। আমরা মামুন হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
একই সাথে এই হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছি।
এসময় তিনি দলের পক্ষ থেকে নিহত মামুনের দুই সন্তানের পড়াশোনা ও পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেন।
পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মামুন মাহমুদ বলেন, নারায়ণগঞ্জ কে অস্থিতিশীল করার জন্যই মামুন কে হত্যা করা হয়েছে। স্বৈরাচারের দোসররা যে এই কাজ করেছে সেটা স্পষ্ট।
কারন সিসি ক্যামেরার ফুটেজে আমরা দেখেছি হত্যাকান্ডের পরপর খুনিরা কোন বাড়িতে প্রবেশ করেছে। প্রশাসন তদন্ত করলেই সবকিছু বেড়িয়ে আসবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ পর ব র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল কর্মী নিহত
নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় ছুরিকাঘাতে অপূর্ব নামের এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি পঞ্চবটির বিসিক শিল্পনগরীর টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত ছাত্রদলের মিছিল শেষে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মীরা সম্রাট নামের একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা নিহত ও হামলাকারী দুইজনকেই ছাত্রদল কর্মী বললেও, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, হামলাকারী বিএনপির কেউ না। তাদের কর্মসূচি বানচাল করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ ইয়ামিন জানান, ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্রদলের মিছিলের কর্মসূচি শেষ করে তারা চাষাড়াস্থ শহীদ মিনারের পেছন দিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি দেখতে পান, পপুলারের পেছন দিকে নিহত অপূর্ব ও হামলাকারী সম্রাটের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছে। এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি লেগে যায়। এসময় তিনি অপূর্বকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখেন। পরে তার বুকে ছুরিবিদ্ধ দেখতে পান।
তিনি জানান, হামলার পরে সম্রাট পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার ভাই আসলে তাকেও গণপিটুনি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে সম্রাটকে উদ্ধার করে। এসময় অপূর্বকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ও সম্রাটকে পুলিশ নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অপূর্বকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা মাসদাইর জামালের গ্যারেজ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ খোকন ও নিহতের স্ত্রী সাথী আক্তার জানান, নিহত যুবক বিসিকের টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক। তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবচেয়ে ছোট ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার জাবুটিয়া গ্রামে। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তারা বুঝতে পারছেন না।
হাসপাতালে সম্রাট হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, যারা হামলা করেছিল তারা চলে গেছে। তিনি শহীদ মিনারের পাশের বেইলি টাওয়ারের একটি ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারী।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, সারাদেশে ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের মিছিলে নিহত অপূর্ব এসেছিল। যে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে তিনি বিএনপির কেউ না। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাদের কর্মসূচি বাতিল করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।