বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান বলেছেন, ‘‘আমরা ১৭ বছর এক ফ্যাসিবাদীর বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য, ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করেছি। এখন দেখি সরকারের ভেতরে-বাইরে শত্রু। আগে ছিল এক শত্রু, এখন গণতন্ত্র ও ভোটের শত্রু চতুর দিকে।’’

তিনি বলেন, ‘‘কোনো শত্রুকে ভয় পাই না। আমাদের সঙ্গে সাধারণ জনগণ আছে, জাতি আছে। ড.

ইউনুসকে বলতে চাই, ভয় পাবেন না। দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে কোটি কোটি বিএনপির নেতাকর্মী আছে। সারা জাতি আপনার সঙ্গে আছে।’’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র অবকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বিএনপির মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। 

আরো পড়ুন:

ঝালকাঠিতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু

সরকার ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে কাজ করছে: ফাওজুল কবির

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভাইঘাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশে আহমেদ আযম খান আরো বলেন, ‘‘আমরাও বলেছি অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার করে এ বছরের শেষের দিকে নির্বাচন দিতে।’’

তিনি বলেন, ‘‘কোনো ষড়যন্ত্রকারী, যারা ভোট বিরোধী; তারা গণতন্ত্র বিরোধী। যারা ভোট বিরোধী, তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।’’

আহমেদ আযম বলেন, ‘‘ড. ইউনুসের সরকার কিছু সংস্কার কর্মসূচি দিয়েছে। আমরা সেই কর্মসূচিকে স্বাগত জানাই। এই কর্মসূচি আমাদের ৩১ দফা কর্মসূচিতে আছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বর্তমান সরকারের এই কর্মসূচিসহ ৩১ দফা বাস্তবায়ন এবং আরো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আমরা একটা সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলবো দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে।’’ 

ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুজ্জামান সুরুজ, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ। এ সময় ধনবাড়ী ও মধুপুর উপজেলার বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/কাওছার/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণতন ত র ব এনপ র রহম ন র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগ নিন: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল 

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে ডাকা বিশ্বব্যাপী ধর্মঘটের সমর্থনে সোমবার বিকেলে পল্টন মোড়ে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সৌরভ রায়, সুমন মল্লিক ও বর্ষা বিশ্বাস।

বিক্ষোভ সমাবেশে ফয়জুল হাকিম বলেন, বিশ্বের দেশে দেশে বিবেকবান মানুষ বর্ণবাদী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল কর্তৃক প্যালেস্টাইনে গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। ধর্মের পরিচয়ে নয়, বিবেকবান মানুষ হিসেবে দেশে দেশে বিভিন্ন ধর্ম বর্ণ জাতির মানুষ এই গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষও আজ ঢাকায় গাজাবাসীর ডাকে রাজপথে নেমেছে। 

তিনি বলেন, যারা মানবাধিকারের কথা বলে সেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা, রাষ্ট্র আজকে কেন নীরব? নীরব সৌদি আরব, কুয়েত প্রভৃতি আরব দেশগুলো। এরা এই গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়নি, কেননা এরা সকলেই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের দালাল। জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে। 

ফয়জুল হাকিম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলেও বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রে গণতন্ত্র ফিরে আসার একটা বড় শর্ত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদের নিয়ন্ত্রণ থেকে জনগণের মুক্তি। ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তি ও স্বাধীনতা ছাড়া বিশ্বের কোনো দেশেই প্রকৃত অর্থে জনগণের স্বাধীনতা বা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট ইসরায়েলের ধ্বংস তাই আজ জরুরি হয়ে উঠেছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানান।
 
সৌরভ রায় বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তি ও স্বাধীনতার পক্ষে আজ যে রাজপথে দাঁড়িয়েছে তা অভূতপূর্ব। সারা দুনিয়ার মানুষ জায়নবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে। বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থার বিরুদ্ধে এ এক নতুন লড়াইয়ের ইঙ্গিত।
 
সুমন মল্লিক ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জনগণের বিক্ষোভকে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রাম হিসেবে জোরদার করার জন্য সচেতন উদ্যোগ নেওয়া আহ্বান জানান। 

বর্ষা বিশ্বাস বলেন, গাজার জনগণের ওপর সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েলের এই গণহত্যায় বিশ্বের বিবেকবান মানুষ নীরব থাকতে পারে না। গত বছরের অক্টোবর হতে এ পর্যন্ত ইসরায়েল ৬০ হাজারের বশি নারী, শিশু ও নাগরিকদের বর্বরোচিতভাবে হত্যা করেছে। লাখ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। গাজা ও রাফা এলাকার বসতবাড়ির ওপর বোমা হামলা করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। এই বর্বরোচিত হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং হামলার মদদদাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলা আজকের দিনের কর্তব্য। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ১৭ এপ্রিল সমাবেশ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
  • সংসদীয় গণতন্ত্র নয়, ‘মৌলিক গণতন্ত্রের’ অন্য রূপ
  • পশ্চিমা গণতন্ত্র ও মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বের বিবেক কি জাগবে না
  • মার্কিন সংবিধানকে কি চ্যালেঞ্জ করছেন ট্রাম্প
  • ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগ নিন: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল