না’গঞ্জ নৌ পুলিশের যৌথ অভিযানে বাল্কহেড চোরাইচক্রের নারী সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৪
Published: 8th, February 2025 GMT
নৌ পুলিশের নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা অঞ্চলের যৌথ অভিযানে চোরাই বাল্কহেড কেটে বিক্রয় চক্রের নারী সদস্যসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় বাল্কহেডের ৪১১টি কাটা অংশ (ওজন প্রায় ৩০ টন) উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- শাহাদাত হোসেন (২৪), সাদ্দাম হোসেন (৩৩), মোঃ শফিকুল ইসলাম (৫৫) ও নাছিমা (৫০)।
শনিবার বিষটি নিশ্চিত করেন নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো.
নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানা এলাকার বাউশিয়া ইউনিয়নের চর বাউশিয়া ফরাজীকান্দি নদী ঘাট থেকে বালুবাহী বাল্কহেড "এমবি মাছিয়াতা দরবার শরীফ" সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়।
বাল্কহেডটি খরচ বাবদ নগদ অর্থ ও প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেলসহ রওনা হলেও পরবর্তীতে এর স্টাফগণ বাল্কহেডটি চুরি করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়।
৫ ফেব্রুয়ারি নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঘটনাটি সম্পর্কে অবহিত হয়ে নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের নৌ পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ৭ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা অঞ্চলের যৌথ অভিযানে ডিএমপি, ঢাকার শ্যামপুর থানার সহায়তায় পোস্তগোলা এলাকায় অভিযান পরিচালিনা করেন।
এ সময় একজন আসামিকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার হেফাজত থেকে চোরাই বাল্কহেডটির কাটা অংশ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চোরচক্রের আরও তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। চোরচক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে নৌ পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ পরিবারের নাম ভেঙে দিলেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বিভিন্ন ভবন ও স্থাপনা থেকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পরিবারের নাম এবং স্মৃতিফলক ভেঙে দিয়েছেন যবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের নামফলক, প্রধান ফটকে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, শেখ রাসেল জিমনেশিয়ামের নাম ফলক ভেঙে দেন তারা।
এর আগে, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের নাম রঙ দিয়ে মুছে দেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সামিউল আজিম বলেন, “ফাসিস্টের সব স্মৃতি এভাবেই সবসময় ভেঙে দেওয়া হয়। এ ধ্বংসস্তুপ যেন সেখানেই রাখা হয়, যাতে পরবর্তীতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, সে যেন বুঝতে পারে ফ্যাসিবাদের শেষ পরিণতি কি হয়।”
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলার মুখ্য সংগঠক আল মামুন লিখন বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধেকের বেশি ভবন স্বৈরাচার শেখ পরিবারের নামে ছিল। জুলাই বিপ্লবের পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ নামগুলো পরিবর্তনের জন্য কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তাই আমরা শিক্ষার্থীরা শৃঙ্খলার সঙ্গে শেখ পরিবারের নামে থাকা ভবনগুলোর নামফলক উঠিয়ে ফেলেছি।”
তিনি বলেন, “প্রশাসনের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, এ ভবনগুলোর নাম খুব দ্রুতই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই আন্দোলনের নায়কদের নামানুসারে রাখা হোক।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলার যুগ্ম-আহ্বায়ক এস এম দোলেনুর করিম বলেন, “৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমরা দেখেছি সিস্টেমের দোহাই দিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পরিবর্তনগুলো হওয়ার দরকার ছিল, তা এখনও হয়নি। যেখানে ছাত্র-জনতার চাহিদা, সেখানে এ রকম কাজগুলো দীর্ঘদিন পর্যন্ত ঝুলিয়ে না রেখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল।”
তিনি বলেন, “এ কাজগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনেক আগেই করার দরকার ছিল। যেহেতু তারা পারেনি, তাই আমরাই শৃঙ্খলার সঙ্গে প্রতিটা ভবনের নাম ফলক উঠিয়ে দিলাম। এটা ভবিষ্যতে কোন সরকার যেন একনায়ক শাসন ও শোষণ না করতে পারে, তারই একটা হুঁশিয়ারি বার্তা।”
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী