ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্মকর্তারা তাঁর নথিপত্রহীন অভিবাসীদের ‘গণ–বিতাড়ন’ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে শিকাগো শহরে কাজ শুরু করেছেন। তাঁদের তল্লাশি অভিযান শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির হার বেড়ে গেছে।

অভিবাসন কর্মকর্তারা তৎপরতা শুরুর পর অভিভাবকেরা বাচ্চাদের আগেভাগে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন অথবা সন্তানকে নিতে কয়েক ব্লক দূরে গাড়ি পার্ক করে অপেক্ষা করছেন। বিগত কয়েক বছরে এই শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে হাজার হাজার নতুন অভিবাসী শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। যেসব পরিবারের সদস্যরা বাড়ির বাইরে বের হতে আতঙ্কবোধ করছেন, ফোন করে তাঁদের খোঁজখবর নিচ্ছেন শিক্ষকেরা।

উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের, বিশেষ করে নথিপত্রহীন বাবা–মায়ের সন্তান শিক্ষার্থীদের কাছে ক্লাস শেষে ‘আপনার অধিকার সম্পর্কে জানুন’ সম্পর্কিত তথ্য বিতরণ করছেন শিক্ষকেরা।

শিক্ষকেরা বলছেন, ‘তারা আমাদের সন্তানদের, আমাদের শিশুদের যন্ত্রণা দিচ্ছে। তাদের ক্ষতি করছে।’

শহরজুড়ে প্রশাসনের এই সাঁড়াশি অভিযানের চাপ কমে আসতে কত দিন চলবে, তা নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকেরা ভাবছেন।

ট্রাম্প প্রশাসন নিজেদের অভিবাসন পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। স্কুল ক্যাম্পাসে অভিযানের বিরুদ্ধে নথিপত্রহীন অভিবাসীদের দীর্ঘদিনের সুরক্ষা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আবাসিক এলাকা ও শহরতলিতে শত শত কেন্দ্রীয় এজেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ স্থান বজায় রাখতে গিয়ে শিক্ষকদের নাভিশ্বাস উঠছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসীদের গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মৌ আক্তারকে গলাকেটে হত্যার পর সোহাগের আত্মহত্যা

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি মেট্রো থানার বাইমাইল এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী মৌ আক্তারকে গলাকেটে হত্যার পর স্বামী সোহাগ হোসেন আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে বাইমাইল এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

সোহাগ সিরাজগঞ্জ জেলার তারাশ উপজেলার ধাপ তেতুলিয়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে এবং মৌ আক্তার বৃষ্টি একই জেলার সান্দুরিয়া গ্রামের মোবারক হোসেনের মেয়ে। তারা বাইমাইল মধ্যপাড়া কাদের মার্কেট এলাকার ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

বাড়ির মালিকের ছেলে দেওয়ান মোহাম্মদ রাসেল বলেন, সকাল থেকে সোহাগ-মৌ দম্পদির ঘরের দরজা বন্ধ দেখেন বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়ারা। এ সময় অনেকবার ডাকাডাকি করলেও তারা দরজা খোলেননি। বিকেলে আবারো দরোজার সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করা হলে তা ভেতর থেকে বন্ধ দেখা যায়। পরে ৯৯৯-এ কল করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। তখন ঘরের মেঝেতে গৃহবধূ মৌয়ের মরদেহ এবং গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সোহাগকে ঝুলতে দেখে পুলিশ।

মৌ আক্তার চাচা রতন মিয়া বলেন, দুই বছর আগে সোহাগ-মৌ এর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। মৌ সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করত। তার স্বামী সোহাগ কোনাবাড়ীতে একটি এনজিওতে চাকরি করত। চলতি মাসের ১ তারিখে তারা ভাড়া বাসায় উঠে। এমন ঘটনা কেন ঘটাল বুঝতে পারছি না।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে স্ত্রীকে হত্যা করে, পরে স্বামী আত্মহত্যা করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ