সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) প্রাণীকল্যাণ ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা সংগঠন প্রাধিকারের উদ্যোগে একটি উদ্ধার করা শঙ্খচিল অবমুক্ত করা হয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন টিলাগড় ইকোপার্কের গভীর অরণ্যে পাখিটিকে অবমুক্ত করেন প্রাধিকারের সদস্যরা।

প্রাধিকার সুত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি সিলেট নগরীর মেজরটিলার পশ্চিম ভাটপাড়া এলাকার স্থানীয় রনি ও আলিফ নামক দুইজন ব্যাক্তি পাখিটি উদ্ধারের পর প্রাধিকারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন। উদ্ধারের সময় পাখিটি আহত অবস্থায় ছিল। পরবর্তীতে আহত পাখিটির কথা জানতে পেরে প্রাধিকারের শুভাকাঙ্ক্ষী প্রত্যয় হাসান পাখিটির সেবার দায়িত্ব নেন। দীর্ঘ ১১ দিনের সেবাশুশ্রূষা শেষে সুস্থ অবস্থায় আজ পাখিটি অবমুক্ত করা হয়।

প্রাধিকারের সাধারণ সম্পাদক ইসহাক হাসিব বলেন, “প্রাধিকার প্রাণীকল্যাণ নিয়ে কাজ করে। এরই অংশ হিসেবে পশুপাখি উদ্বারের পর সাধ্যানুযায়ী চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হয়। আজ আমরা একটি শঙ্খচিল অবমুক্ত করেছি।”

তিনি বলেন, “এসব পাখি নানাভাবে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করছে। কিন্তু যত্রতত্র বিদ্যুৎ তারের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনায় শিকার হয়। সবার প্রতি অনুরোধ, আহত প্রাণী দেখলে তাদের আঘাত না করে সেবার মাধ্যমে আমরা সবাই জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এগিয়ে আসতে পারি।”

পাখিটিকে অবমুক্ত করার সময় প্রাধিকারের সভাপতি জিহাদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ইসহাক হাসিব, সহ সভাপতি মো.

মাসুদুর রহমান খোন্দকার, যুগ্ম সম্পাদক আফম আব্দুল্লাহ, সহকারী কোষাধ্যক্ষ নুরসাত জাহান তন্নী, মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শঙ্খচিল চিল পরিবারের অন্তর্ভুক্ত একটি পাখি, যা ব্রাহমিনি কাইট নামেও পরিচিত। শঙ্খচিলের মাথা, ঘাড়, বুক, পেটের তলার পালক শঙ্খের মতো সাদা হয়ে থাকে বলে এই পাখিটি শঙ্খচিল নামে পরিচিত। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত উপমহাদেশের সর্বত্র, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় পাখিটি দেখা যায়।

ঢাকা/আইনুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে ‘পাইওনিয়ারিং গ্রিন সিমেন্ট’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রামে ‘পাইওনিয়ারিং গ্রিন সিমেন্ট’ শীর্ষক প্রযুক্তিগত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি নগরীর রেডিসন ব্লুতে এ সম্মেলন করে ইনসি সিমেন্ট। যা টেকসই নির্মাণের প্রতি তাদের অঙ্গীকার আরও জোরদার করে। 

থাইল্যান্ড থেকে উদ্ভূত একটি প্রিমিয়াম সিমেন্ট ব্র্যান্ড হিসেবে ইনসি সিমেন্ট তার উচ্চমান এবং টেকসই নির্মাণের জন্য স্বীকৃত। যা সিয়াম সিটি সিমেন্ট (বাংলাদেশ) লিমিটেড দ্বারা বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত ঐতিহ্যের সঙ্গে কোম্পানিটি থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া এবং বাংলাদেশে সফলভাবে তার উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করেছে। একটি সবুজ এবং আরও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য ইনসি সিমেন্ট ধারাবাহিকভাবে পরিবেশবান্ধব উদ্ভাবনেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

এ সম্মেলনে শিল্প নেতারা সবুজ সিমেন্ট ও টেকসই ভবিষ্যৎ নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করেন। আলোচকদের মধ্যে ছিলেন- থাইল্যান্ডের সিয়াম সিটি সিমেন্ট পিএলসির গ্রুপ প্রোডাক্টস অ্যান্ড টেকনিক্যাল সলিউশনস বিভাগের প্রধান পিটার ডব্রি, সিয়াম সিটি সিমেন্দ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান, ডিরেক্টর অপারেশন্স ড. কানথাসাত বুন্টেম এবং মান ও কাঁচামাল বিভাগের মহাব্যবস্থাপক জিএমজি মুস্তাফা।

সম্মেলনে ইনসি সিমেন্টের বাংলাদেশের কমার্শিয়াল ডিরেক্টর মোহাম্মদ আবু সাঈদ, উপদেষ্টা সৈয়দ আবু আবেদ সাহেরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর মঞ্জুরসহ সড়ক ও জনপথ, এলজিইডি, ওয়াসা, পিডব্লিউডির মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ