সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোবাশশির হোসাইন নামে এক কর্মীকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ডিসি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মোবাশশির হোসাইন গণমাধ্যমকে জানান, তাদের কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণার পর আহত ছাত্রদের দেখতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা। এ সময় একটি মোটরসাইকেল থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। গুলিটি তার ডান হাতে এসে লাগে।

তিনি আরও জানান, ব্যক্তিগতভাবে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে, গাজীপুরের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলামকে ছাত্র-জনতাকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রত্যাহার করা হয়।

এদিকে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে শনিবার একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ধীরাশ্রম দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হকের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে আহত হন অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

আইনশৃঙ্খলার অবনতি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই: গণসংহতি আন্দোলন

সারা দেশে নারী সহিংসতা, হয়রানি এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। মব সৃষ্টি করে নারীদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। এ ছাড়া চাঁদাবাজি, দখলদারত্ব, ডাকাতি ইত্যাদি উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিষ্ক্রিয় দর্শকের ভূমিকায় থাকছে। চলমান ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনোভাবেই নিজেদের দায় অস্বীকার করতে পারে না।

আজ সোমবার গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে অবিলম্বে এ ধরনের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি এ রকম ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে বলা হয়। দলটি মনে করে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই অবনতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যকারিতাকে দারুণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

গণ–অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শক্তি ইতিমধ্যেই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই প্রতিরোধকে আমরা স্বাগত জানাই। জনগণের প্রতিরোধী শক্তিই আগামী দিনে বাংলাদেশকে সঠিক দিশা দেখাতে পারে।’

গণ–অভ্যুত্থানের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই নিপীড়ক শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে। বলা হয়, নারীরা বাংলাদেশের গণ–অভ্যুত্থানের নিয়ামক শক্তি, আগামী বাংলাদেশেও তাঁরা নিয়ামক শক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন। আর নারীদের জন্য সেই পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্ব অভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা সব শক্তির।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিরাপত্তারক্ষীদেরই জীবনের নিরাপত্তা নেই: জিএম কাদের
  • ইউনূস সরকারের রিপোর্ট কার্ড
  • বাংলাদেশের অদূর এবং সুদূর ভবিষ্যৎ
  • নিপীড়নের ঘটনাগুলোতে সাত দিনের মধ্যে শক্ত অবস্থান নেওয়ার দাবি ঢাবি সাদা দলের
  • নিয়মিত বাহিনীকেই কার্যকর করতে হবে
  • কথা নহে, কাজ চাহি
  • নারী নির্যাতন, বিচারহীনতা ও সরকারের অস্পষ্ট অবস্থান
  • কুমিল্লায় ৪৮ ঘণ্টায় ৩ ঘটনা, ধর্ষণের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থায় ‘ঘাটতি’
  • আইনশৃঙ্খলার অবনতি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই: গণসংহতি আন্দোলন
  • ইতালিতে যাওয়ার স্বপ্ন ‘অচল’ বানাল ভৈরবের খুরশেদকে, হারিয়েছেন ভিটাবাড়িসহ সব