Risingbd:
2025-03-12@04:35:27 GMT

নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে নিহত

Published: 8th, February 2025 GMT

নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে নিহত

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় গণপিটুনিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ছবিরপাইক গ্রামের ধুমচর-ছবিরপাইক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। 

কবিরহাট থানার ওসি শাহিন মিয়া বলেন, “নিহত ব্যক্তি চুরির চেষ্টা করে। স্থানীয়রা টের পেয়ে ধাওয়া দিয়ে তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। গুরুত্বর আহত হয়ে তার মৃত্যু হয়। মরদহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নিহত ব্যক্তির নাম জহির উদ্দিন বেচু (৪০)। তিনি সুন্দলপুর ইউনিয়নের উত্তর লামছি গ্রামের নাটাই মোস্তফার বাড়ির বাসিন্দা।

আরো পড়ুন:

১০ হাজারে চুক্তি, নদীতে নেমে প্রাণ গেল যুবকের

ঝিনাইদহে ভোট দিতে গিয়ে ভোটারের মৃত্যু

এলাকাবাসী জানান, জহির রাতে ছবিরপাইক গ্রামের মসজিদের তালা ভাঙার চেষ্টা করেন। এসময় মসজিদের ইমাম জেগে উঠলে তিনি পালিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর জহির ফিরে এসে মসজিদের পাশের একটি চায়ের দোকানে ঢোকার চেষ্টা করে। বিষয়টি টের পেয়ে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে জহিরকে ধাওয়া দিয়ে ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।

সুন্দলপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো.

হানিফ বলেন, “বেচু ছোটখাটো চুরি করত। তার কিছুটা মানসিক সমস্যাও ছিল।”

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু নাছের মো. লুৎফুল হাসান বলেন, “গুরুতর আহত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ আনা হয়েছে।”

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর গণপ ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাততলা বস্তিতে আগুন লাগার কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস

রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তির আগুনে শতাধিক ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় ৩০টির বেশি দোকানও পুড়ে গেছে। এসব তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তারা এই আগুন লাগার কারণও জানিয়েছে আজ বুধবার। ফায়ার সার্ভিস বলেছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণেই ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ মারা যায়নি বা কেউ আহতও হয়নি।

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ১০ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। একে একে আরও ইউনিট ঘটনাস্থলে যেতে থাকে। ভোর পৌনে ৫টার মধ্যে পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে আরও দুটি ইউনিট যোগ হয়। ৫টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের মোট ৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, সাততলা বস্তিতে আগুনে ১৪ জন মালিকের বিভিন্ন আয়তনের ১৫২টি কাঁচা ও সেমি পাকা রুম এবং ২টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগুন লাগার মূল কারণ বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট।

তালহা বিন জসিম বলেন, আজকের দুর্ঘটনায় কেউ নিহত বা আহত হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ