নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায় বাড়িতে যাওয়ার পথে অটোরিকশার গতিরোধ করে যুবদল নেতা মিজানুর রহমানকে (৪০) গুলি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ মিজানুর রহমান উপজেলার বজরা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ উল্যার ছেলে। 

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামে তাকে গুলি করা হয়। তিনি ইউনিয়ন যুবদল রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিজানের সঙ্গে মাটি কাটা নিয়ে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের কিছু যুবকের বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে মিজানের অনুসারী কিছু যুবক প্রতিপক্ষের জহিরকে মারধর করেন। ওই ঘটনার জের ধরে শুক্রবার রাতে নজরপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের কয়েকজন যুবক মিজানের অটোরিকশার গতিরোধ করে গুলি করে। এতে তার বুকে ও পায়ে গুলি লাগে।

আরো পড়ুন:

আমাদের চোখ-কান খোলা রাখতে হবে: আরিফুল হক

শাহজাদপুরে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, জহির ও মিঠুর নেতৃত্বে গুলি করা হয়। তারাও বিএনপির রাজনীজির সঙ্গে জড়িত।

সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক কামাল জানান, মিজান গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তবে কারা করেছে এ বিষয়ে কিছু জানা নেই।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গুলি করা হয়েছে। তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভুক্তভোগীর পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

ঢাকা/সুজন/বকুল  

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

অটোরিকশা থামিয়ে যুবদল কর্মীর বুকে ও পায়ে গুলি

অটোরিকশা থামিয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় এক যুবদল কর্মীর বুকে ও পায়ে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মিজানুর রহমান (৩৯) উপজেলার বজরা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ উল্যার ছেলে। তিনি একই ইউনিয়নে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাটি কাটা নিয়ে যুবদল কর্মী মিজানের সঙ্গে পাশের ইউনিয়নের কিছু যুবকের বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে কয়েক দিন আগে মিজানের অনুসারী কিছু যুবক প্রতিপক্ষের একজনকে মারধর করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। স্বজনদের ধারণা, এই বিরোধের জের ধরেই মিজানুরকে গুলি করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ যুবকের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামে কয়েকজন দুর্বৃত্ত মিজানুর রহমানের অটোরিকশার গতিরোধ করে তাঁর ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে তারা তাঁর বুকে ও পায়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বজনেরা তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যান।

উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, যুবদলের কর্মী মিজানুর রহমানের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে কী কারণে কারা তাঁর ওপর গুলি ছুড়েছে, তা তিনি জানতে পারেননি।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মাটির ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ যুবক ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভুক্তভোগী পরিবারকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অটোরিকশা থামিয়ে যুবদল কর্মীর বুকে ও পায়ে গুলি