ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে কেনার জন্য সৌদি প্রো লিগ রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমেছে। একের পর এক চোখধাঁধানো অর্থ প্রস্তাবও দিয়ে যাচ্ছে তারা। জানুয়ারির শেষ দিকে ইএসপিএন জানায়, ভিনিসিয়ুসকে পেতে ৫ বছরে প্রায় ১০০ কোটি ইউরো বা ১২ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরবের ক্লাব।

এর সঙ্গে ৩০ কোটি ইউরোর দলবদল ফি তো আছেই। এমন পরিস্থিতিতে সবার আগ্রহ এখন এত বড় অঙ্কের প্রস্তাবে ভিনিসিয়ুসের অবস্থান কেমন হয়, সেদিকে। যদিও ভিনির জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়াটা মোটেই সহজ নয়।

একদিকে সৌদি আরবের বিপুল অর্থের হাতছানি, অন্য দিকে রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবের হয়ে সাফল্যের চূড়ায় ওঠার হাতছানি। এর মধ্যে কোনো একটাকে বেছে নেওয়া ভিনিসিয়ুসের জন্য কঠিনই হওয়ার কথা। সৌদি ক্লাবগুলো যখন ভিনিসিয়ুসকে নিয়ে এমন অনড় অবস্থানে, তখন সময়ের আগেই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর দর-কষাকষিতে নেমেছে রিয়াল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন১২ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা নাকি গৌরব, কোন পথে হাঁটবেন ভিনিসিয়ুস২৯ জানুয়ারি ২০২৫

ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে রিয়ালের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। স্প্যানিশ ক্লাবগুলো সাধারণত চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই বছর আগে থেকে নবায়ন নিয়ে দর-কষাকষিতে নামে। কিন্তু ভিনিসিয়ুসের জন্য নিজেদের সেই ধারা থেকে সরে এসেছে রিয়াল।

এবার তারা আরেকটু বেশি সময় হাতে নিয়ে দর-কষাকষিতে নেমেছে। যাতে চুক্তি নবায়নের বিষয়ে দ্রুত সমঝোতায় পৌঁছানো যায়।

রিয়ালে খেলেই প্রথমবারের মতো ফিফা দ্য বেস্ট জিতেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় নির্বাচনে প্রক্সি ভোট দিতে পারবেন প্রবাসীরা: সিইসি

আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রক্সি ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এতে জাতীয় নির্বাচনের সময় যারা প্রবাসে থাকবেন, তাদের পক্ষ থেকে অন্য কেউ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। এর আগে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে অংশ নেন তিনি।

নির্বাচন কমিশন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করার সময়সীমা অতিক্রম করতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেছেন, এই সময়সীমা যাতে পার না হয়, সে জন্য ইসি সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে হলে অক্টোবরেই তপশিল ঘোষণা করতে হবে।

বৈঠকে আলোচনার বিষয় নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পথে উত্তরণে তারা ইসিকে সহায়তা করতে চান। পর্যবেক্ষক, ভোটার তালিকা, দল নিবন্ধন ও কেনাকাটার বিষয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে অবহিত করা হয়েছে।

নাসির উদ্দীন বলেন, তারা জাতীয় নির্বাচনে আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান। এই গণতান্ত্রিক উত্তরণে তারা আমাদের সহায়তা করতে চান। আমরা ভোটার ও দলের নিবন্ধনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়েছি। আমরা খুব শিগগির কেনাকাটায় যাব। আমরা পর্যবেক্ষক নীতি পুনর্বিবেচনা করছি। পর্যবেক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আমরা সম্পন্ন করব।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু একটা সময়সীমা আছে, খুব সম্ভবত ডিসেম্বর। সেটা মাথায় রেখে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ডিসেম্বরে নির্বাচন, তাই অক্টোবরেই তপশিল ঘোষণা করতে হবে। সময়সীমা যেন আমরা অতিক্রম না করি, সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে। 

কী ধরনের সহায়তা আপনারা চেয়েছেন– এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচনে দলগুলোর এজেন্টরা থাকেন। দলের কর্মী বলে তাদের এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়, অথচ তিনি নির্বাচনের নিয়মের কিছুই জানেন না। এখানে একটা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসার পর দেখা যায়, তারা আমাদের নির্বাচনের পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না, আইনকানুন জানেন না। পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণের কথা আমরা জানিয়েছি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন শুরুর প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘এই ঘোষণাটা তো প্রধান উপদেষ্টা নিজেই দিয়েছেন। তিনি ট্রেনের হুইসেল বাজিয়ে দিয়েছেন যে নির্বাচন ডিসেম্বরে অথবা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে।’ পরে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমার একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। এটি তার এবং তার টিম যে কাজগুলো করছে, সে সম্পর্কে জানার একটি সুযোগ। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ তৈরিতে সংস্কার প্রক্রিয়ায় ঐকমত্য গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।’

এনআইডিতে একাধিক স্ত্রীর নাম সংযুক্ত করার চিন্তা
জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) একাধিক স্ত্রীর নাম সংযুক্ত করার চিন্তা করা হচ্ছে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমাদের কাছে প্রচুর সংশোধনের আবেদন আসছে। অনেক সময় দ্বিতীয় স্ত্রীরা এসে তাদের নাম ডেটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন। দুই নম্বর ফরমে একাধিক স্ত্রী যদি কারও থাকে, তার নামটা আগেই সংরক্ষণ করে নিই। তাহলে দেখা যাবে, ভবিষ্যতে ওই সমস্যা আর থাকবে না। এ জন্য দুই নম্বর ফরমে এটা রাখা যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা করেছি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ