ঢাবির গ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৪ প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি
Published: 8th, February 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষার চারটি প্রশ্ন দুইবার করে এসেছে। তবে সব শিক্ষার্থীর প্রশ্নে এ পুনরাবৃত্তি দেখা যায়নি। ফলে একই পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা দুই ধরনের প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছেন।
এদিকে, প্রশ্নে সমস্যা হলেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোন বৈষম্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী ও অনুষদের ডিন ড.
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র দেখা গেছে।
প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রশ্নপত্রের ‘এ’ সেটে অ্যাকাউন্টিং অংশে ২৫ নম্বরে প্রশ্ন এসেছে, ‘তাসনু ট্রেডার্স ভুলক্রমে ৮০,০০০ টাকার অনুপার্জিত সেবা আয়ের অর্জনের সমন্বয় সাধন করেনি। আর্থিক বিবরণীতে এর ফলাফল কী হবে?’। একই প্রশ্ন ৩৩ নম্বরে পুনরায় ছাপা হয়েছে।
সেটের ২৬ নম্বরে ‘মাহরিন ও মেহনাজ একটি অংশীদারি ব্যবসায়ের দুইজন অংশীদার। তাদের মুনাফা বণ্টন অনুপাত ৫:২। তারা স্নেহাকে ১/৪ অংশ মুনাফা বণ্টনের চুক্তিতে ব্যবসায়ে নতুন অংশীদার হিসাবে গ্রহণ করে। তাদের মুনাফার নতুন অনুপাত কত?’ প্রশ্নটি এসেছে। একই প্রশ্ন ৩৪ নম্বরে পুনরায় ছাপা হয়েছে।
সেটের ২৬ নম্বরে ‘মাহরিন ও মেহনাজ একটি অংশীদারি ব্যবসায়ের দুইজন অংশীদার। তাদের মুনাফা বণ্টন অনুপাত ৫:২। তারা স্নেহাকে ১/৪ অংশ মুনাফা বণ্টনের চুক্তিতে ব্যবসায়ে নতুন অংশীদার হিসেবে গ্রহণ করে। তাদের মুনাফার নতুন অনুপাত কত?’ প্রশ্নটি এসেছে। একই প্রশ্ন ৩৪ নম্বরে পুনরায় ছাপা হয়েছে।
সেটের ২৭ নম্বর প্রশ্ন এসেছে ‘কোনটি বিলম্বিত মুনাফা জাতীয় খরচ?’। এই প্রশ্নটি ৩৫ নম্বরে পুনরায় ছাপা হয়েছে। এছাড়া ২৮ নম্বরে ‘নিট বিক্রয় ও মোট মুনাফার পরিমাণ যথাক্রমে ৩০,০০০ টাকা এবং ৬,০০০ টাকা হলে ক্রয় মূল্যের উপর মুনাফার হার কত?’ প্রশ্ন এসেছে। এটি ৩৬ নম্বর প্রশ্নে পুনরাবৃত্তি হয়েছে।
একই সমস্যা ‘বি’ সেটের প্রশ্নে হয়েছে। এই সেটের মধ্যেই একই প্রশ্নগুলো ২৯ নম্বর ৩৩ নম্বরে পুনরাবৃত্তি হয়েছে। ৩০ নম্বরের প্রশ্নটি ৩৪ নম্বরে পুনরাবৃত্তি হয়েছে। ২৮ নম্বরের প্রশ্নটি ৩২ নম্বরে পুনরাবৃত্তি হয়েছে। এছাড়া ৩১ নম্বরটা ৩৫ নম্বরে পুনরাবৃত্তি হয়েছে।
বি সেটের যেসব প্রশ্নে পুনরাবৃত্তি হয়নি, সেসব প্রশ্নে ২৮ নম্বরে ‘রূপান্তর খরচের সমষ্টি......?, ২৯ নম্বরে ‘আরডি ফুড কোম্পানির বিক্রীত পণ্যের ব্যয় ৫,৫০,০০০ টাকা। প্রারম্ভিক মজুদ পণ্য ২,০০,০০০ টাকা এবং সমাপনী মজুদ পণ্য ২,৫০,০০০ টাকা। ক্রয়কৃত পণ্যের মূলা কত?’ ৩০ নম্বরে ‘একটি খরচ যা পূর্বে সম্পদ হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল, এখন খরচ হিসেবে স্বীকৃত করা হয়। তাহলে নিট মুনাফার উপর কী প্রভাব পড়বে?’ এবং ৩১ নম্বরে সমাপনী জাবেদার মাধ্যমে কোন হিসাব বন্ধ করা হয়?’ প্রশ্নগুলো এসেছে।
এ বিষয়ে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম বলেন, এ রকম সমস্যা আমি আমার ফ্যাকাল্টিতে একটিও পাইনি। কিন্তু ঘটনা হলো কিছু প্রশ্নে, সেটি হয়ত ৫০ থেকে ৬০ টি প্রশ্নে হবে, ‘এ’ সেটের প্রশ্ন ‘বি’ সেটে চলে গেছে, এবং ‘বি’ সেটের প্রশ্ন ‘এ’ সেটে চলে এসেছে। ১ শতাংশ শিক্ষার্থীদের মতো। তবে ছাত্রদের কোনো ক্ষতি হবে না, এটি আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। আমি এটিকে একটি পদ্ধতির মধ্য দিয়ে টেক কেয়ার করব।”
তিনি বলেন, “যারা ভালো এবং পুনরাবৃত্তিওয়ালা প্রশ্ন পেয়েছে, তাদের সঙ্গে কোন বৈষম্য হবে না। আমরা বিষয়টি দেখব।”
কী পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সেটি আমি এখন বলতে পারছি না। আমাদের কমিটির সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমি একা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ র ইউন ট র ব যবস য় ০০০ ট ক
এছাড়াও পড়ুন:
গণহত্যায় জড়িতদের বিচারে প্রতিটি পুলিশ সদস্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ও পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে গভীর ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। বেনজীরের বিতর্কিত বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এ তথ্য জানিয়ে বেনজীরের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছে।
অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি ও সিআইডি প্রধান মতিউর রহমান শেখ এবং সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ বিদেশে পলাতক বেনজীর আহমেদের বক্তব্য পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত সব সদস্যকে ক্ষুব্ধ করেছে। বিগত সরকারের আমলে গণহত্যায় জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে প্রতিটি পুলিশ সদস্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
সম্প্রতি বেনজীরের একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়। তিনি বলেন, পুলিশ ও প্রশাসনের ৯০ ভাগই আওয়ামী লীগের সমর্থক। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই প্ল্যান করা হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা যাবে না। তবে সরকারকে অসহযোগিতা এবং ব্যর্থতা প্রমাণ করে তাড়াতাড়ি নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এর পর বিএনপির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তাদের হটানোর পরিকল্পনা রয়েছে।