সৌদি ও আরব আমিরাত সফরে গেলেন বিমান বাহিনী প্রধান
Published: 8th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
সরকারি সফরে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে আজ ঢাকা ত্যাগ করেছেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আইএসপিআর জানায়, রয়েল সৌদি এয়ারফোর্সের কমান্ডারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন ৯ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরব সফর করবেন। সফরকালে তিনি রয়েল সৌদি এয়ারফোর্সের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করবেন এবং রয়েল সৌদি এয়ারফোর্সের কমান্ডারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করবেন।
এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাসের আমন্ত্রণে বিমান বাহিনী প্রধান হাসান মাহমুদ খাঁন ১৪ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন। সফরকালে তিনি এয়ার স্টাফ টক অ্যান্ড এক্সচেঞ্জিং ট্রেইনিং অ্যান্ড এক্সসারসাইজ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত বিমান বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করবেন। একইসঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত বিমান বাহিনীর কমান্ডারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়েও তিনি মতবিনিময় করবেন।
আইএসপিআর আরও জানায়, বিমান বাহিনী প্রধানের এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। যা পেশাগত খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার পরিধি সম্প্রসারিত করবে।
সফর শেষে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি বিমান বাহিনী প্রধান দেশে ফিরবেন বলেও আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’ এর চট্টগ্রাম ত্যাগ
সম্প্রতি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের উদ্দেশে ত্রাণ, জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা নিয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’ চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করেছে।
ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে জাহাজটি প্রায় ১২০ মেট্রিক টন ত্রাণসহ মিয়ানমারের উদ্দেশে যাত্রা করে। ত্রাণবাহী এই জাহাজের যাত্রার সময় নৌ বাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো বিষয়ক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, জাহাজটি আগামী ১১ এপ্রিল মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বন্দরে পৌঁছাবে। সেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধি দলের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী, সেনা কল্যাণ সংস্থা এবং রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায় প্রাপ্ত ১২০ টন ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৭৭ মেট্রিক টন শুকনা খাবার, ৯ টনেরও বেশি তাঁবু এবং ব্যবহারযোগ্য বস্ত্রাদি, ২৯ মেট্রিক টন বিশুদ্ধ খাবার পানি, ৪ মেট্রিক টন হাইজিন কিট এবং প্রায় ১ টন প্রয়োজনীয় ওষুধ।
গত ২৮ মার্চ মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে সংঘটিত ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে দুই ধাপে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমানের মাধ্যমে ৩১.৫ মেট্রিক টন ত্রাণ সামগ্রী, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তাকারী দল পাঠিয়েছে। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের দুর্যোগকালীন সময়ে বাংলাদেশের এই সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ দুই দেশের পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসকে আরও বর্ধিত করবে এবং দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।