ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তার উপর পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। এখন সামাজিক মাধ্যমে খুব একটা সরব নন তিনি। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে ‘দ্য প্রেসিডেন্টস; ভলেন্টিয়ার সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ার দাবি করেছেন তৌহিদ আফ্রিদি।

তিনি জানান, এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে। সার্টিফিকেটে দেখা যাচ্ছে, এটি ২০২৪-এর পুরস্কার। তাতে সাক্ষর রয়েছে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের।

আফ্রিদি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার। আমি বিশ্বাস করি মহান সৃষ্টিকর্তা সর্বদাই আমার সাথে আছেন ও তিনিই সবচেয়ে বেশি আমার মঙ্গল চান। তার অশেষ মেহেরবানীতেই আমেরিকার প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে লাইফটাইম এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হলাম।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো আপনাদের ভালোবেসে সামান্য কিছু কাজ করেছি বলেই ভোলান্টিয়ার সার্ভিসে এই অ্যাওয়ার্ডটি পেলাম। এরকম একটি গোল্ড মেডেল হয়তো অনেকেরই স্বপ্ন। সত্যি বলতে আমি এই অ্যাওয়ার্ডের লোভে কখনোই কাজ করে যাইনি। আমি আপনাদের জন্য এগিয়ে গেছি আপনাদের ভালোবাসা পাওয়ার লোভে। অথচ আজ দেখুন, আমি না চাইতেই অ্যাওয়ার্ডটি ঠিকই আমার ভাগ্যে চলে আসলো। অথচ আমার যেটা চাওয়া, আপনাদের অনেকের সেই ভালোবাসা থেকেই হয়তো আমি বঞ্চিত! আমি এখনো বিশ্বাস করি, আল্লাহ সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী। তিনিই হয়তো আমাকে সামনে এগোনোর সঠিক পথ দেখাবেন।’

এই অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তির পর তৌহিদ আফ্রিদিcj শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তার ভক্তরা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আপন দ র

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটে গ্রাফিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে ‘শোকের গ্রাফিতি এক দফার ডাক’ শিরোনামে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসজুড়ে নানা ধরনের গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন করা হয়। গ্রাফিতিতে ‘বাহ ভিসি চমৎকার সন্ত্রাসীদের পাহারাদার’, ‘এখানে সমস্ত ক্ষমতাধর নিজেরে ভাবিছে ঈশ্বর’, ‘এক দফা এক দাবি ভিসি মাসুদের পদত্যাগ’, ‘ভিসি গদি ছাড়’—এসব স্লোগান লিখতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী গালিব রাহাত বলেন, ‘‘আমাদের ভেতর যে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে, সেটা এভাবে সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই। আমাদের অভিভাবক প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে বলতে চাই, আমরা ভালো নেই; কুয়েটের ছাত্ররা ভাল নেই। এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা পিছু সরব না।’’

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে বহিরাগত ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কুয়েট ভিসি, প্রো ভিসি, ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসের একাডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কুয়েট কর্তৃপক্ষ।

গত ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা জোর করে ক্যাম্পাসের প্রবেশে করে হল খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ১৫ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ ছাত্রকে বহিষ্কার এবং আগামী ২ মে হল খুলে দেওয়া ও ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর  সিদ্ধান্ত দেয় সিন্ডিকেট সভা। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে গত ১৬ এপ্রিল ছয়টি আবাসিক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ছাত্ররা।

অপরদিকে, শিক্ষার্থীদের উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ