বগুড়ায় গুঁড়িয়ে দেওয়া জেলা আওয়ামী লীগ ও জাসদের কার্যালয়ের জায়গা ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি দাবি করে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বগুড়া শহরের সুত্রাপুর এলাকার মো. উজ্জল নামের এক ব্যক্তি সাইনবোর্ডটি লাগান। 

আরো পড়ুন: বগুড়ায় আ.লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাসদ অফিস গুঁড়িয়ে দিল ছাত্র-জনতা

আরো পড়ুন:

শাহজাদপুরে আ.

লীগ কার্যালয় গুড়িয়ে দিয়েছে জনতা

৩২-সহ দেশব্যাপী ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বেগ টিআইবির

উজ্জলের বড় ভাই মিজানুর রহমান বলেন, “১৯৫২ সালে আমার দাদা কোরবান আলী ক্রয় সূত্রে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ জায়গার মালিক। ১৯৭১ সালে  স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে পর্যন্ত জায়গা তার দখলে ছিল। দেশ স্বাধীনের পর জায়গা বেদখল হয়ে যায়। এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জায়গা দখল করে তাদের অফিস করায় আমরা এতদিন দখলে নিতে পারিনি। এতদিন রাজনৈতিক দলগুলোর ভয়ে আমরা চুপ ছিলাম। ছাত্র -জনতা গত বৃহস্পতিবার রাতে অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলে আমরা সাহস করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছি।”

বগুড়া জেলা জাসদের সদস্য অ্যাডভেকেট আব্দুল লতিফ পশারি ববি বলেন, “যারা মালিকানা দাবি করছেন, তাদের মামলা ১৯৯৪ সালে সিভিল কোর্ট মালিকানা খারিজ করে। এরপর মোটর মালিক সমিতি মালিক দাবি করে মামলা করে। সেই মামলাও খারিজ হয়ে যায়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ২০০৯ সালে এই জায়গা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ড হয়।” 

তিনি আরো বলেন, “১৯৪৮ সাল থেকে সেখানে ছাত্রলীগের অফিস ছিল। ’৭৩ সালে জাসদকে এক বছরের লিজ দেওয়া হয়। এরপর মামলার কারণে পরবর্তীতে আর লিজ নবায়ন করা হয়নি।”

বগুড়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ চন্দ্র সরকার বলেন, “থানা পুলিশের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনেছি। সেখানে সার্ভেয়ার পাঠানো হয়েছে। নথিপত্র দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/এনাম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিশোধ নিতেই বড় শাহীনকে খুন, নারীকে দিয়ে পাতা হয় ফাঁদ

৫ আগস্টের পর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর এবং বাবা-মাকে মারধরের প্রতিশোধ নিতেই শীর্ষ চরমপন্থি নেতা শেখ শাহিনুল হক শাহিন ওরফে বড় শাহিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তার শিষ্য শাহনেওয়াজ পারভেজ রনি। হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হীরা ঢালিকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করেন রনি। হীরার প্রেমের ফাঁদে পড়েই গত ১৫ মার্চ রাতে দৌলতপুর থেকে নগরীর বাগমারায় যান বড় শাহীন। সেখানেই মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয় বড় শাহীনকে। 

গতকাল শুক্রবার আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য স্বীকার করেছেন শাহনেওয়াজ পারভেজ রনি ও হীরা ঢালী। গত ৭ এপ্রিল তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জবানবন্দি গ্রহণের পর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

গত ১৫ মার্চ রাতে খুলনা নগরীর বাগমারা খালপাড় রোডের ফাঁকা রাস্তার উপর দুর্বৃত্তরা গুলি করে বড় শাহিনকে হত্যা করে। শাহীনের বিরুদ্ধে খুলনা নগরীর দৌলতপুরের আলোচিত শহীদ ওরফে হুজি শহীদ হত্যাসহ একাধিক মামলা ছিল। হত্যার ঘটনার শাহীনের মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে খুলনা সদর থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার এসআই মনির হোসেন বলেন, ১৫ বছর পূর্বে শাহনেওয়াজ পারভেজ রনি পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা শাহীন ওরফে বড় শাহীনকে পুলিশে ধরিয়ে দেন। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর প্রতিশোধের সুযোগ খুঁজতে থাকেন শাহীন। গত বছর ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর এলাকায় ফিরে শাহীন লোকজন নিয়ে মহেশ্বরপাশায় রনির বাড়িতে হামলা চালায়। ওইদিন রনির বাবা-মাকে মারধর করে তারা। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী রনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী হীরাকে ব্যবহার করেন। 

তিনি জানান, গত ডিসেম্বর থেকে শাহীনের গতিবিধি লক্ষ্য করতে থাকে রনি। জানুয়ারি মাসে শাহীনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ শুরু করেন হীরা। এক সময়ে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়। বাগমারা এলাকার একটি বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন হীরা। সেখানেও যাতায়াত ছিল শাহীনের। শাহীনের যাবতীয় খবরাখবর রনির কাছে আদান প্রদান করতে থাকেন হীরা। বিষয়টি টের পাননি শাহীন। গত ১৫ মার্চ দৌলতপুর ছিলেন শাহীন। রাতে হীরা ঢালীর ভাড়া বাড়িতে ডেকে আনা হয় শাহীনকে। রাত সোয়া ১১টার দিকে সুযোগ বুঝে হীরা ঢালী এবং তার স্বামী রনির উপস্থিতিতে আরও কয়েকজন সন্ত্রাসী খুব কাছ থেকে শাহীনের মাথায় দুটি গুলি করেন। ঘটনাস্থলে শাহীনের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে রনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে খালিশপুর চলে যান এবং স্ত্রী হীরা ঢালী ঘরেই অবস্থান করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা জানান, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনাস্থলে হীরা ঢালী এবং রনির উপস্থিতি পাওয়া যায়। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য হীরাকে কেউ যাতে সন্দেহ না করে সেজন্য বাগমারার ভাড়া বাসাটি ছাড়েননি হীরা। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করার জন্য পুলিশ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে। 

খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাসুম জানান, গত ৭ এপ্রিল নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আমিনুর এবং হীরা ঢালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আদালতে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি প্রদান করতে চান রনি এবং হীরা ঢালী। শুক্রবার বিকেলে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের খাস কামরায় হত্যাকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন তারা দু’জন। জবানবন্দি পরবর্তী আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন। বড় শাহীন হত্যাকাণ্ডে এ পর্যন্ত ছয়জন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দাবি আদায়ে অনড় কুয়েট শিক্ষার্থীরা, সন্ধ্যায় সিন্ডিকেট সভা
  • আমেরিকা-পরবর্তী বৈশ্বিক অর্থনীতি কে চালাবে
  • বৈশাখের আনন্দ তিনগুণ বেড়ে গেছে, কেন বললেন বুবলী
  • নিগারদের বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা কি বাড়ল
  • হল না খোলায় ক্যাম্পাসে অবস্থানের ঘোষণা কুয়েট শিক্ষার্থীদের
  • সাড়ে ৩ কোটি টাকার মালামাল লুট: ডাকাত গ্রেপ্তার
  • রাত ৮টার মধ্যে হল খোলার দাবি কুয়েট শিক্ষার্থীদের 
  • রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার দাবি কুয়েট শিক্ষার্থীদের
  • ছয় অঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস, বন্দরে সতর্কতা
  • প্রতিশোধ নিতেই বড় শাহীনকে খুন, নারীকে দিয়ে পাতা হয় ফাঁদ