সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম খান।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে রাজবাড়ী সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে গিয়ে পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান এসব বলেন।

পুলিশ কমিশনার বলেন, গতকাল শুক্রবার রাতে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা চাচ্ছি। আমি ব্যর্থতা স্বীকার করে নিচ্ছি। হামলাকারী কাউকে ছাড়া হবে না, প্রতিটি হামলার জবাব দেওয়া হবে। যেসব পুলিশ রেসপন্স করতে দেরি করেছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

নাজমুল করিম খান বলেন, আমি শুনেছি, আমার ওসি দুই ঘণ্টা পর আপনাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। আমি এখানে দাঁড়িয়ে বললাম, তাকে সাসপেন্ড (বরখাস্ত) করব। আমি বলতে চাই, যারা এই ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে, তাদের পুলিশে চাকরি করতে দেওয়া যাবে না।

পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য দেওয়ার সময় সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রমের দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতার সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।

এর প্রতিবাদে আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। এই দুই সংগঠনের গাজীপুর জেলা ও মহানগর শাখার এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, অ্যাডভোকেট সাকিব, কেন্দ্রীয় সদস্য এম সোয়াইব, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক অ্যাডভোকেট আলী নাসের খানসহ গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা ইউনিটের সদস্য মাস্টার আনিসুর রহমান, কালিয়াকৈর ইউনিটের সদস্য সুমন বারী, ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাবির ইউসুফ।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: কম ট র ত কর ম সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

এসপির কক্ষে সেলফি তুলে ভাইরাল যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

একটি হত্যা মামলার আসামি হয়েও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ। এসপির কক্ষে বসেই সেলফি তুলে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। তা ভাইরাল হলে পুলিশ ও রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে নগরীর পুলিশ লাইন এলাকার একটি বাসা থেকে আসামি আহসান উল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সেলিম ভূঁইয়া হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামি। তার বাড়ি পেরিয়া ইউপির মাধবপুর গ্রামে।

পুলিশ জানায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা বাজার এলাকায় বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন সেলিম ভূঁইয়া। তিনি হেসাখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ছিলেন।

পুলিশ জানায়, ৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহাম্মদ খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমসহ কিছু নেতাকর্মী। তাদের সঙ্গে ছিলেন হত্যা মামলার আসামি আহসান উল্লাহ। সেখানে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিলে ভাইরাল হয়ে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নাঙ্গলকোট থানার ওসি এ কে ফজলুল হক বলেন, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে কুমিল্লা নগরীর বাসা থেকে আহসান উল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে শনিবার আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম বলেন, ‘আহসান উল্লাহ আমাদের দলের লোক সেলিম হত্যা মামলার আসামি তা জানা ছিল না। জানা থাকলে তাকে পুলিশ অফিসে নেওয়া হতো না। ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে আমরা সতর্ক থাকব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ