ফেব্রুয়ারিতে রাতের আকাশ শীতকালীন নক্ষত্রপুঞ্জ পর্যবেক্ষণের সেরা সময়। এ সময় সন্ধ্যার শুরুতে ও মধ্যরাতে দুই রকমের আকাশের পার্থক্য দেখা যায়। আর তাই মাসজুড়ে আকাশে ওরিয়ন নক্ষত্রপুঞ্জ দেখার সুযোগ মিলবে। এ ছাড়া সপ্তাহজুড়ে বাংলাদেশ থেকে রাতের আকাশে বেশ কিছু আলোচিত বিষয় পর্যবেক্ষণ করা যাবে। এ সপ্তাহের আকাশে যা যা দেখা যাবে, সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।

৮ ফেব্রুয়ারি

বৃহস্পতির চাঁদ ক্যালিস্টো দেখা যাবে সন্ধ্যা সাতটার পরে। বৃহস্পতি গ্রহণের দক্ষিণ থেকে ৩ আর্ক সেকেন্ড দূরত্বে অবস্থান করবে ক্যালিস্টো। আকাশে খুব ছোট কোণ পরিমাপ করতে জ্যোতির্বিদ্যায় একক হিসেবে আর্ক সেকেন্ড ব্যবহৃত হয়।

৯ ফেব্রুয়ারি

মঙ্গল গ্রহ চাঁদের দক্ষিণ দিকে খুব কাছাকাছি সন্ধ্যার সময় অবস্থান করবে। এ ছাড়া এই সপ্তাহে আকাশে বেশ কিছু নক্ষত্রপুঞ্জ দেখা যাবে।

১০ ফেব্রুয়ারি

সন্ধ্যায় শুক্র গ্রহ বাইনোকুলার দিয়ে ৩০ ভাগ বেশি আলোকিত দেখা যাবে। গ্রহটির আপাত ব্যাস বর্তমানে ৩৬ আর্ক সেকেন্ড। আমাদের চাঁদের মহাকাশের অবস্থানের একক ৩০ আর্ক মিনিট, সেই হিসাবে শুক্র গ্রহের আকার অনেক ছোট হবে।

১২ ফেব্রুয়ারি

গৌণ গ্রহ ২৯ অ্যামফিট্রাইটকে সূর্যের ঠিক বিপরীতের আকাশে দেখা যাবে। লিও নক্ষত্রমণ্ডলে অবস্থান করছে এই ক্ষুদ্র গ্রহ। গৌণ গ্রহ বা মাইনর প্ল্যানেট তাদের বলা হয়, যেসব পাথুরে বা বরফখণ্ড সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে।

১৩ ফেব্রুয়ারি

রেগুলাস নামের তারকা চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তে দেখা যাবে।

১৪ ফেব্রুয়ারি

চাঁদের জেনো খাদে আলোছায়ার একঝলক দেখা যাবে।

সূত্র: বিবিসি স্কাই অ্যাট নাইট ম্যাগাজিন

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

যত্রতত্র ময়লা নিক্ষেপকারীকে জেলে পাঠানো উচিত: উপদেষ্টা ফারুক

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতার জন্য অনেকাংশে দায়ী খাল-নালায় ফেলা ময়লা-আবর্জনা। যারা যত্রতত্র ময়লা নিক্ষেপ করে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দিয়ে তাদের দুই-এক দিনের জন্য জেলে পাঠানো উচিত। জলাবদ্ধতা নিরসন কাজের অগ্রগতি দেখার জন্য প্রতি সপ্তাহে একজন উপদেষ্টা চট্টগ্রাম সফরে আসবেন বলেও জানান তিনি।

শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে জলাবদ্ধতা নিরসন বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম, চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, চসিকের সিইও শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে উপদেষ্টা ফারুক নগরীর আগ্রাবাদ ব্যাপারীপাড়া এলাকায় খাল খনন কার্যক্রম পরিদর্শনে যান।

উপদেষ্টা ফারুক বলেন, ‘নগরের মানুষ থেকে সিটি করপোরেশনকে বর্জ্য অপসারণের জন্য টাকা নেয়। যারা নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলেন, তাদের পুরস্কৃত করে আমরা সমাজে পজেটিভ মেসেজ দিতে পারি। যারা যত্রতত্র ময়লা ফেলে, তাদের তিরষ্কার এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। এ প্রক্রিয়ায় সামগ্রিকভাবে জনমানুষের মধ্যে একটা ধারণা তৈরি করতে চাই, ময়লা যত্রতত্র ফেলা যাবে না, এটার জন্য মোবাইল কোর্ট করে ফাইন হয়।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ