পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি, ক্লিন এবং বিডাব্লিউজিইইডি এর যৌথ উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জে এক প্রচারাভিযান ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার এবং এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

সমাবেশে পরিবেশবিদ, সমাজকর্মী, শিক্ষার্থী এবং সচেতন নাগরিকরা অংশ নেন এবং স্লোগান দেন "জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, নবায়নযোগ্য শক্তিই আমাদের ভবিষ্যৎ!

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সোনারগাঁও উপজেলার মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায় এ প্রচারাভিযান ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের বক্তারা এলএনজি আমদানির ফলে সৃষ্ট দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির বিষয়ে আলোকপাত করেন।

সমাবেশের আহ্বায়ক পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি -এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসন বলেন, এলএনজি আমদানি বন্ধ করতে এবং বাংলাদেশকে পরিবেশবান্ধব শক্তির দেশে পরিণত করতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব শক্তির বাংলাদেশ গঠন করা এখন সময়ের দাবি। আমরা যদি এখনই পদক্ষেপ নিই, তবে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারবো।

পরবর্তী পদক্ষেপ এই সমাবেশ ও প্রচারণা শুধু নারায়ণগঞ্জেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সারা দেশে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আয়োজকরা জানান,  এলএনজি আমদানি বন্ধের এই আন্দোলন আরও ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হবে এবং পরিবেশ রক্ষায় একযোগে কাজ করা হবে।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, এই জ্বালানি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং অর্থনৈতিকভাবে দেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলএনজি পোড়ানোর ফলে বিপুল পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং মিথেন নিঃসৃত হয়, যা জলবায়ু পরিবর্তনকে আরও ত্বরান্বিত করে। পাশাপাশি, এলএনজি-নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়বহুল হওয়ায় জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে সৌর ও বায়ু শক্তির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশব্যাপী সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সৌর ও বায়ু শক্তি ব্যবহার করে টেকসই বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। এতে শুধু বিদ্যুৎ সংকট সমাধানই হবে না, বরং আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি এর মহাসচিব মীযানুর রহমান, সোনারগাঁ কমিটির সহ-সভাপতি ফজলুল হক ভূইয়া, প্রতিবন্ধী, শিশু ও যুব কল্যাণ পরিষদের সভাপতি এম এ মহিন, ইমরানসহ আরও অনেকে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ পর ব শ র আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মাফিয়াতন্ত্র এখন বিএনপির দখলে : রফিউর রাব্বি

সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক রফিউর রাব্বি বলেছেন, শেখ হাসিনা সাড়ে এগারো বছর ত্বকী হত্যার বিচারের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছিলেন। বর্তমান সরকার পূনরায় কাজ শুরু করলেও তাতে উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি হয় নাই।

অন্যদিকে ঘাতক ওসমান পরিবারের সকলে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার দায় সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, বাহিনী এড়াতে পারে না। আমরা আগামী তিন মাসের মধ্যে ত্বকী হত্যার নির্দেশদাতা শামীম ওসমান সহ সকল ঘাতকদের অভিযোগপত্রের আওতায় এনে একটি নির্ভুল অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করার দাবি জানাচ্ছি। 

তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১৪৫ মাস উপলক্ষে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশে বিচার-ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে রেখে গেছে। তার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এখনো হয় নাই। শেখ হাসিনার সহযোগিতায় ওসমান পরিবার নারায়ণগঞ্জে মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। সে মাফিয়াতন্ত্র এখনো বহাল রয়েছে। এখন তা বিএনপির দখলে।

বিএনপির লোকজন শামীম ওসমানের বহু লোকদের নিরাপত্তা দিয়ে চলেছে। ওসমান পরিবারের ছত্রছায়ায় নীট কনসার্ন বিগত সরকারের সময়ে নারায়ণগঞ্জে লুটপাটের রাজত্বকায়েম করেছিল। এখন ওসমানদের ফেলে যাওয়া সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে ফকির গ্রুপ।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরিবতর্কনের পরেও দেশে সকল ধর্মের, সকল মত ও পথের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাধা অপসারিত হয় নাই। 

দৈনিক খবরের পাতার সম্পাদক এড. মাহাবুবুর রহমান মাসুম প্রশ্ন রেখে বলেন, ওসমার পরিবার পালিয়ে যায় কী ভাবে? শামীম ওসমানের নির্দেশে ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের কাছ ত্বকী সহ সকর হত্যার বিচার চাই। 

সমাবেশে বক্তারা নারায়ণগঞ্জের আশিক, চঞ্চল, বুলু, মিঠু সহ ওসমান পরিবার দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যার বিচার দাবি করেন, সাংবাদিক সাগর-রুনী ও তনু হত্যার বিচার চান। 

সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক দীপু, ন্যাপ জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. আওলাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা ভবানী শংকর রায়, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক শীবনাথ চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলন জেলার সমন্বয়ক তরিকুর সুজন, বাসদ জেলা সংগঠক সেলিম মাহমুদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির জেলা সংগঠক শওকত আলী ও সামাজিক সংগঠন সমমনার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খাঁ রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দু’দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই বছরের ১২ নভেম্বর আজমেরী ওসমানের সহযোগী সুলতান শওকত ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে জানায়, আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ত্বকীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। ৫ মার্চ ২০১৪ তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের নির্দেশে তাদেরই টর্চারসেলে ১১ জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করেছে।

অচিরেই তারা অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করবে। কিন্তু এর তিন মাস পর শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে ওসমান পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দিলে বিচার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সে অভিযোগপত্র আজো পেশ করা হয় নাই।

ত্বকী হত্যার পর থেকে বিচার শুরু ও চিহ্নিত আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতি মাসের ৮ তারিখ আলোক প্রজ্বালন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সার্ভার জটিলতায় রোগীদের আবেদনে ভোগান্তি
  • নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত 
  • ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার মহানগর বিএনপির র‌্যালি
  • ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বৃহস্ মহানগর বিএনপির র‌্যালি
  • দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা-ভাঙচুরে ১০ মামলা, গ্রেপ্তার ৭২
  • যুক্তরাষ্ট্রের ইতিবাচক সাড়া আশা করছে সরকার
  • মাফিয়াতন্ত্র এখন বিএনপির দখলে : রফিউর রাব্বি
  • ১২০১ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা হবে ২ কার্গো এলএনজি
  • স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন
  • যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় আকারে আমদানি বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি