যে ভাষায় কথা বলেন কেবল দুই যমজ ভাই
Published: 8th, February 2025 GMT
ম্যাথু ও মাইকেল ইয়োল্ডেন যমজ ভাই। ২৫টি ভাষায় দখল আছে। এর বাইরে আরও একটি ভাষা পারলেও সেটা ঠিক গোনায় ধরা যায় না। কারণ, সে ভাষা তাঁরা নিজেরাই বানিয়েছেন, নিজেরাই ব্যবহার করেন। পড়ুন ইয়োল্ডেন-যমজের ‘উমেরি’ ভাষার গল্প।
অবশ্য ইয়োল্ডেন ভাইয়েরা এ ক্ষেত্রে প্রথম নন। যমজ ভাইবোনেরা প্রায়ই এমন নিজেদের ভাষা বানিয়ে থাকে। একে বলে ‘ক্রিপ্টোফেজিয়া’। গ্রিক ভাষায় এর মানে ‘গোপন ভাষা’। যমজ শিশুদের প্রায় ৪০ শতাংশের এমন নিজস্ব ভাষা থাকে। কিন্তু বড় হতে হতে ওরা সে ভাষা ভুলেও যায়। কারণ, সে ভাষায় অন্যদের সঙ্গে কথা বলা যায় না। অনেক সময় পরিবার থেকেও আসে বাধা। কারণ, ওরা নিজেরা কী বলছে, তা মা-বাবাও বুঝতে পারেন না।
অনেক সময় আবার উল্টো ফলও ফলে। তারা নিজেদের ভাষায় এতই অভ্যস্ত হয়ে যায় যে সাধারণ ভাষা শিখতেই কষ্ট হয়ে যায়। যেমনটা হয়েছিল জুন ও জেনিফার গিবনসের। ওরা কেবল নিজেদের মধ্যেই কথা বলত। নিজেদের ভাষায়। অন্য ভাষায় কথা বলতেই পারত না। তাই ওদের নামই হয়ে গিয়েছিল ‘সাইলেন্ট টুইনস’ বা ‘নির্বাক যমজ’।
শৈশবে দুই ভাই.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ছুরি কাঁচির নিয়ে শুয়েও কেন নিজের প্রিয় গান গেয়েছিলেন ফেরদৌস ওয়াহিদ
নন্দিত পপশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। তাঁর কিছু গান এখনও শ্রোতাদের মুখে ফিরে। গানই তাঁর জীবন । গানই প্রাণ। অপারেশন টেবিলের ছুরি কাঁচির নিচে শুয়েও তাঁর প্রিয় গান ‘আগে যদি জানতাম/ তবে মন ফিরে চাইতাম/ এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না ও মন রে/ কিসের তরে রয়ে গেলি তুই’– গানটি করেছিলেন এই কন্ঠশিল্পী।
এ প্রসঙ্গে কন্ঠশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ আজ দুপুরে সমকালকে বলেন, বলেন, সম্প্রতি আমার পায়ে ছোট একটা অপারেশন হয়েছিল। ওই অপারেশ টেবিলেই আমি গুন গুন করে আমার প্রিয় গান ‘আগে যতিদ জানতাম’ গাইছিলাম। তখন ডাক্তার সাহেবরা বললেন,‘ যদি গাইছেনই আরও একটু জোরে গান। আমাদেরও শোনান’। তখন তাদের অনুরোধেই একটি গান করেছিলাম। এ কারণে তাদের অপারেশনটা করতে তাদের সুবিধা হয়েছিল।’
ওই অপারেশন টেবিলে ছিলেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল ও রিসার্চ ইনষ্টিটিউটের সার্জারি বিভাগের প্রধান সাকলয়েন রাসেল। তার ভাষ্যে, প্রিয় শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ এর অপারেশন [গুরুতর নয়] করছিলাম। তাকিয়ে দেখি তাঁর হার্ট রেট বেশী। তাকে বললাম আপনার প্রিয় একটি গান শোনান। প্রান দিয়েই ‘আগে যদি জানতাম’ গাইলেন গানটি। মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়লো পুরো অপারেশন থিয়েটারে। মজার ব্যাপার হলো ওই গানটি গাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার হার্টরেট স্বাভাবিক হয়ে এলো।’