বান্দরবানে অনুপ্রবেশকালে ৩৩ রোহিঙ্গা আটক
Published: 8th, February 2025 GMT
বান্দরবানে আলীকদম সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে আনুপ্রবেশকালে শিশুসহ ৩৩ মিয়ানমারের নাগরিককে আটক করেছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলা সদরের আমতলী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে ৯ জন নারী, ১০ জন পুরুষ ও ১৪ জন শিশু। তারা সবই রোহিঙ্গা।
স্থানীয়রা জানান, গোপন সংবাদের ভত্তিতে আলীকদম উপজেলা সদরের আমতলী এলাকায় অভিযান চালায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের আলীকদম ব্যাটালিয়ন (৫৭ বিজিবি)। এসময় আমতলী আশ্রয়ণ প্রকল্পের অফিস তল্লাশি করে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ মোট ৩৩ জন মিয়ানমারের নাগরিককে আটক করে তারা।
আরো পড়ুন:
খুলনায় মাদক ও জাল টাকার চালান জব্দ, রোহিঙ্গাসহ আটক ২
পশ্চিমবঙ্গে ৪ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
তারা আরো জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে মিয়ানমারের নাগরিকরা। মোটা অর্থের বিনিময়ে তাদের এই অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে সংঘবদ্ধ একটি দালাল চক্র। বাংলাদেশি দালাল চক্রের সহায়তায় জনপ্রতি ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রথমে পাহাড় ভাঙা পাড়া ও মাছকুম পাড়া হয়ে মেনলে পাড়া এলাকায় পৌঁছানো হয় তাদের। সেখান থেকে সিন্দু ও নিন্দু পাড়া হয়ে পোয়ামুহুরীতে পৌঁছে সবাইকে বাংলাদেশিদের মতো কাপড় পরিধান করানো হয়। পরে পোয়ামুহুরী হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী হয়ে কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে পৌঁছে দেওয়া হয় এসব মিয়ানমারের নাগরিকদের।
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন বলেন, “আটক রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”
ঢাকা/চাইমং/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বঙ্গবন্ধুর বাড়ি পোড়ানোর প্রতিশোধ নিতে কাফির বাড়িতে অগ্নিসযোগ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজামান কাফির বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
সোমবার (১০ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার জাহিদ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী শাহাদাত হাওলাদার (২২) ও মাহফুজ মোল্লা (২১)। তাদের মধ্যে শাহাদাত হাওলাদারের বাড়ি বরগুনার আমতলী উপজেলার সেকান্দারখালী গ্রামে ও মাহফুজ মোল্লার বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পূর্ব টিয়াখালী গ্রামে।
আরো পড়ুন:
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পুলিশের হটলাইন সেবা চালু
চাঁদা না পেয়ে এলজিইডি প্রকৌশলীর ওপর হামলা, থানায় মামলা
এসপি আনোয়ার জাহিদ জানান, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা কাফির ফেসবুক পেইজে দেখে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে তার বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ওই দুই কর্মী।
তিনি জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেপ্তারকৃত দুইজন বরিশাল থেকে বাসে করে আমতলীর বাদুরা আসেন। সেখানে পূর্বপরিচিত একটি দোকান থেকে ৫ লিটার ডিজেল কিনে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোটরসাইকেল করে কাফির বাড়ির পাশে অবস্থান নেন তারা। পরে সুযোগ বুঝে তারা কাফির ঘরের চাল এবং রান্না ঘরে ডিজেল ছিটিয়ে দেন। এরপরে মাহফুজ ম্যাচের কাঠি দিয়ে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে সেখান থেকে সটকে পরেন।
এসপি আনোয়ার জাহিদ জানান, ঘটনার সময় কাফির বাবা, মা, ভাই ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘরের মধ্যেই ছিলেন। আগুন পুরো ছড়িয়ে পড়ার আগেই দরজা ভেঙ্গে পরিবারের সদস্যরা ঘর থেকে বের হয়ে যান। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে কলাপাড়া থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে। গতকাল রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় যৌথ অভিযানে শাহাদাতকে বরিশাল থানা এলাকা থেকে এবং মাহফুজকে পটুয়াখালী সদর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রজপাড়া গ্রামে কাফির বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাড়িতে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে যায় বলে জানিয়েছিলেন কাফির বাবা মাওলানা এবিএম হাবিবুর রহমান।
কাফির বাবা মাওলানা এবিএম হাবিবুর রহমান অভিযোগ করে সেসময় বলেন, “আমাদের বাড়িতে সন্ত্রাসীরা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের পুড়িয়ে মারার জন্যই এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা বিচার চাই।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ