জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৩ সালের বিবিএ (প্রফেশনাল) প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার নতুন ও পুরোনো সিলেবাসের পরীক্ষার ফরম পূরণ চলছে। গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) অনলাইনে ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ করতে পারবেন। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফি বাবদ ৩ হাজার ৩০০ টাকা দিতে হবে। এ ছাড়া বিশেষ অন্তর্ভুক্তি পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৫০০ টাকা করে দিতে হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ–সংক্রান্ত প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২০২৩ সালের বিবিএ (প্রফেশনাল) প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার নতুন ও পুরোনো সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষার অনলাইনে ফরম পূরণ ৫ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। পরীক্ষার্থী অনলাইনে ফরম পূরণের পর প্রিন্ট করা আবেদন ফরম ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কলেজে জমা দিতে হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার্থীর ডেটা ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিশ্চয়ন করবে। ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি কলেজ কর্তৃপক্ষ সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে টাকা জমা দেবে।

পরীক্ষায় যাঁরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা নিয়মিত, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে গণ্য হবেন। ২০২২ সালে দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষায় সি ও ডি গ্রেডে উত্তীর্ণদের এবারই মানোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে এফ গ্রেডপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থীরা বিশেষ অন্তর্ভুক্তি ফি দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

আরও পড়ুনষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রশ্নের ধরন, নম্বর বিভাজন ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা প্রকাশ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আবেদনের পদ্ধতি

আবেদনকারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে student login লিংকে ক্লিক করে নিজের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ও ওয়েবসাইটের নির্দেশনা অনুযায়ী ডেটা এন্ট্রি করতে হবে। ডেটা এন্ট্রির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে অনলাইন থেকে একটি পূরণ করা আবেদন ফরম প্রিন্ট করে নিতে হবে। পূরণ করা ফরমটিতে পরীক্ষার্থীর বিষয় কোড ও ফি উল্লেখ থাকবে।

আরও পড়ুনসরকারি মেডিকেলে ভর্তির সময় বৃদ্ধি৫ ঘণ্টা আগে

বিবরণী ফরম ও ফি জমা দেওয়ার নিয়মাবলি

২০২৩ সালের (প্রফেশনাল) প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার সব পরীক্ষার্থীর ফি ডিজাইন করা নির্ধারিত জমা ফরম বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে ‘সোনালী সেবা’র মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট খাতে সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় জমা দিতে হবে।

সংশ্লিষ্ট কলেজ www.

nubd.info/prof অথবা http://103.113.200.12/prof/ থেকে Pay Slip ডাউনলোড করতে হবে। পে স্লিপে সংশ্লিষ্ট খাতের সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর উল্লেখ করে মোট টাকার অংশ লেখা থাকবে এবং এর প্রিন্ট কপি নিয়ে কাছের সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় জমা দিয়ে রসিদ সংগ্রহ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে এ–সংক্রান্ত কোনো প্রকার আপত্তি গ্রহণযোগ্য হবে না। পে স্লিপে সংশ্লিষ্ট খাতের সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর উল্লেখ করে মোট টাকার অংশ লেখা থাকবে এবং এর প্রিন্ট কপি নিয়ে কাছের সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় জমা দিয়ে রসিদ সংগ্রহ করতে হবে। ব্যাংকে প্রচলিত অন্য কোনো ফরমে টাকা জমা করা হলে পরবর্তী সময়ে সৃষ্ট জটিলতার জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।

আরও পড়ুনকলেজশিক্ষকদের পদোন্নতি পেতে লাগবে গবেষণা০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনবেসরকারি মেডিকেলে ভর্তিতে আবেদন শুরু, মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ জেনে নিন বিস্তারিত০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র থ র র পর ক ষ পর ক ষ য় ফরম প র

এছাড়াও পড়ুন:

অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ঘেরাও স্বজনদের

রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় মুঞ্জু হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় অক্সিজেনের অভাবে বেনু বেগম (৭০) নামে অস্ত্রোপচারের এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে তিনি মারা যান।

বেনু বেগমের বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার সুজানগর মিতালী ক্লাব এলাকায়। তিনি মৃত মতিনের কন্যা এবং মৃত বশির আহম্মেদের স্ত্রী।

বেনু বেগমের স্বজনদের অভিযোগ, পায়ের হাড় ভেঙে গেলে গত ৬ এপ্রিল বেনু বেগমকে রাজশাহীর মঞ্জু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার পায়ে অস্ত্রোপচার করেন ডা. হাবিবুল হাসান। কিন্তু অস্ত্রোপচার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা তাকে কোনো পর্যবেক্ষণে না রেখে সরাসরি ওয়ার্ডে রাখা হয়। আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে বেনু বেগমের প্রচণ্ড শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়। এ সময় তার জরুরি অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক ও নার্স ছিল না, ছিল না অক্সিজেনের সিলিন্ডারও। একপর্যায়ে ছটফট করতে করতে রোগী বেনু বেগম মারা যান। 

নিহত রোগীর ছেলে মো. সনি অভিযোগ করে বলেন, ‘রাতে ডা. হাবিবুল হাসান নামের এক চিকিৎসক মায়ের অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচার পরবর্তী তাকে পোস্ট অপারেটিভ রুমে রাখা হয়নি, সরাসরি ওয়ার্ডে রাখা হয়। সকালে মায়ের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে অক্সিজেন দেওয়া দরকার ছিল। কিন্তু হাসপাতালে ডাক্তার-নার্স কেউ ছিলেন না। কোনো চিকিৎসক-নার্স না পেয়ে আমরা অক্সিজেন সিলিন্ডার খুঁজেও পেলাম না। পরে অক্সিজেনের অভাবে মা মারা যান।’

এদিকে অবহেলায় বিনা বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল ঘেরাও করে ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। এ সময় হাসপাতালের পরিচালক মিঠুন কুমারসহ অন্যান্য স্টাফরা পালিয়ে যান। পরে সেখানে ছুটে যান পুলিশ সদস্য ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা বেলাল আহমেদ। এ সময় হাসপাতালের মালিকপক্ষের সঙ্গে তারা প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন। 

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিএনপি নেতা বেলাল আহমেদ বলেন, ‘অক্সিজেনের অভাবে রোগী মারা গেছেন। এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চেয়েছে, তাই পরিবার ক্ষমা করে দিয়েছে। মামলা করলে লাশ ময়নাতদন্ত করতে হবে। এসব ঝামেলায় আমরা যাব না। তাই আমরা লাশ নিয়ে চলে যাচ্ছি। এটাই সমঝোতা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

এদিকে হাসপাতাল পরিচালক মিঠুন কুমারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

তবে মুঞ্জু হাসপাতালে দায়িত্বরত ও রংপুর মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি পরিচয় দেওয়া চিকিৎসক শহিদুল ইসলাম রবিন বলেন, ‘আমি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরএস হিসেবে আছি। এখানে মব হচ্ছে শুনে, দৌড়ে এলাম মব ঠেকাতে। রোগীর লোকজন যেসব অভিযোগ করেছে, তা সত্য নয়। পোস্ট অপারেটিভ রুম, অক্সিজেন, নার্স সবই আছে। রোগীর হয়তো অন্য কোনো সমস্যা ছিল, তাই শ্বাসকষ্টে মারা গেছেন।’

রোগীর অপারেশন করা চিকিৎসক ডা. হাবিবুল হাসানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গরম কমার পূর্বাভাস আবহাওয়া অফিসের
  • দুই আউট নিয়ে সন্দেহ বিসিবিরও, তদন্তে এসিইউ
  • ফিফার কাছে বর্ণবাদ ও অশালীনতার অভিযোগ ব্রাজিলের, বিপাকে আর্জেন্টিনা
  • রাতে ৫ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
  • অদ্ভুতুড়ে আউট ঢাকা লিগে বিতর্ক
  • কাট্টলির আইপিও তহবিল তছরুপ, অভিযোগ দুদকে পাঠাবে বিএসইসি
  • মারা যাওয়ার ২ বছর পর অধ্যাপককে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন
  • অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ঘেরাও স্বজনদের
  • শাবিপ্রবির ভর্তি ফি নিয়ে হতাশ শিক্ষার্থীরা
  • গাজায় সাংবাদিকদের তাঁবুতে হামলা