প্রাণ বাঁচিয়ে আজীবন বিড়ালের মতো থাকুন, কাকে বললেন চমক
Published: 8th, February 2025 GMT
জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে আওয়ামী লীগ সরকার পতন পর্যন্ত রাজপথে সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী ও মডেল রুকাইয়া জাহান চমক। যদি ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন না ঘটতো তাহলে আন্দোলনকারীদের এতদিনে দেশদ্রোহীতার অপরাধে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হতো বলে মনে করেন এই অভিনেত্রী।
শুক্রবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এমনটা মন্তব্য করেন চমক। যেখানে তিনি আওয়ামী সমর্থকদের সরাসরি সতর্ক করেন।
চমক তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘কোনো একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতি ভালোবাসা আর গোটা দেশকে ভালোবাসা এক জিনিস না। দুটোকে মিলিয়ে ফেলবেন না।’
অভিনেত্রী লেখেন, ‘স্বৈরাচার সরকার ৫ অগাস্ট পতন না হলে আমরা যারা আন্দোলনে নেমেছিলাম তাদের দেশদ্রোহীতার অপরাধে এতদিনে নিশ্চিহ্ন করে ফেলতেন। সেই ভয় জেনেও আমরা নেমেছিলাম রাস্তায়। তাই জীবনের ভয় আমরা করি না।’
সবশেষে চমক লিখেছেন, ‘মৃত্যু নিশ্চিত সামনে আসলেও যেটা ন্যায় সেটাকে ন্যায়ই বলব, যেটা অন্যায় সেটাকে অন্যায়। তাই যারা এখনো ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন, তারা দুইটা ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুম দেন। নিজের মুরগির ন্যায় প্রাণ বাঁচিয়ে আজীবন বিড়ালের ন্যায় বেঁচে থাকুন। আমরা বাঘের ন্যায় একদিন বেঁচে থাকতে পারলেও গর্বিত, ধন্যবাদ।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের কাছ থেকে কি এবার কিছুই পেলেন না নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু লম্বা তালিকা নিয়ে তড়িগড়ি ওয়াশিংটন সফরে গেছেন। এই তালিকায় তাদের অন্যতম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে—ইরানের পরমাণু কর্মসূচি, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপ, সিরিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী তুরস্কের প্রভাব বৃদ্ধি এবং ১৮ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধ।
দেখে মনে হচ্ছে, দুই মাস আগে তাঁর ওয়াশিংটন সফরের কথা চিন্তা করলে ট্রাম্পের সঙ্গে গত সোমবারের বৈঠক থেকে অনেকটা খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে। ওভাল অফিসে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে নেতানিয়াহু তাঁর বিশেষ অগ্রাধিকার নীতি নিয়ে আলোচনায় ট্রাম্পের পক্ষ থেকে হয় তিরস্কার শুনেছেন, নয় তো তাঁর নীতির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণের কথা শুনেছেন।
গত মঙ্গলবার আইসিসির পরোয়ানাভুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠককে সফল বলে দাবি করেছেন। বলেছেন, ‘খুবই ভালো সফর’ হয়েছে। তিনি সব ক্ষেত্রে এই সফরকে সফল বলে দাবি করেন।
তবে ব্যক্তিগতভাবে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল বুঝতে পারছে, এই সফর তাদের জন্য কতটা কঠিন ছিল। ওই সফরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমনই ইঙ্গিত দিলেন।
গাজার শেজায়া এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় আহত শিশুকে নিয়ে ফিলিস্তিনি নারীর কান্না। ১০ এপ্রিল, গাজা সিটি