রাজধানীর ফার্মগেট থেকে উদ্ধার করা তিনটি ককটেল নিষ্ক্রিয় করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফার্মগেটে আনন্দ সিনেমা হলের পশ্চিম পাশের লেগুনাস্ট্যান্ডের কাছে ফুটপাতে ব্যাগের ভেতর ককটেল দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানান স্থানীয়রা। দুপুর পৌনে ১টার দিকে সেগুলো উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান বলেছেন, “ফার্মগেট থেকে উদ্ধার করা তিনটি ককটেল পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে নিয়ে নিষ্ক্রিয় করেছে ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।”

শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.

সাইফুল ইসলাম বলেছেন, “বেলা সোয়া ১১টার দিকে ৯৯৯-এর মাধ্যমে আমরা ককটেলের বিষয়ে জানতে পারি। দুপুর পৌনে ১টার দিকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সহায়তায় একটি ব্যাগের ভেতর থেকে কালো স্কচটেপে মোড়ানো তিনটি ককটেল উদ্ধার করি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে ককটেলগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।”

ঢাকা/এমআর/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ককট ল

এছাড়াও পড়ুন:

প্রবাসীদের গাড়ি টার্গেট করে চলে ডাকাতি: পুলিশ 

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতিতে সক্রিয় ৩টি গ্রুপ। এসব গ্রুপে ৩০-৩৫ জনের মতো রয়েছে। তারা রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে আসা প্রবাসীদের গাড়ি টার্গেট করে ডাকাতি করে এই তিনটি গ্রুপ। ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ এ মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রবাসীদের দুটি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানা ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় লুণ্ঠিত মালামালের কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। 

আজ বুধবার কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান।

তিনি আরও বলেন, মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলার ডাকাতরা সংঘবদ্ধ হয়। বিশেষ করে ঢাকার বিমান বন্দরসহ মহাসড়কের পাশে বড় বড় হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোকে ঘিরে ডাকাত দলের সোর্স রয়েছে। ঢাকা বিমান বন্দর থেকে তারা প্রবাসীদের বহন করা গাড়িগুলোকে টার্গেট করে মহাসড়কে ডাকাতি সংঘটিত হয়। সম্প্রতি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চৌদ্দগ্রামের ফাল্গুনকরা এলাকায় কুয়েতপ্রবাসী চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জের নাইমুল ইসলাম এবং মালয়েশিয়াপ্রবাসী ফেনীর দাগনভূঁয়ার বেলাল হোসেনের গাড়িতে একই কায়দায় পিকআপ ভ্যান দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে ডাকাতি করা হয়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মো. হিলাল উদ্দিন ও জেলা ডিবির ওসি মো. আবদুল্লাহর নেতৃত্বে পুলিশ মঙ্গলবার রাতভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তাররা হচ্ছে- চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার মনপুরা গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে আবদুল হান্নান (৩৫), লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানার চরমোহনা গ্রামের মৃত সিরাজ মোল্লার ছেলে শরীফ হোসেন (৪৫), কুমিল্লার চান্দিনা থানার নুরপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে আলাউদ্দিন (৩৫) ও একই থানার জোরপুকুরিয়া গ্রামের মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম (৬০)। 

পুলিশ সুপার বলেন, সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে কুমিল্লা অংশে হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে জেলা পুলিশের ১০টি বিশেষ টিম কাজ করছে। ঢাকা বিমান বন্দর থেকে ছেড়ে আসা প্রবাসীদের গাড়িগুলোকে মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকায় একত্রিত করা হয়। তাদের মধ্যে যারা পুলিশি সহায়তা নিতে চায় তাদেরকে ওখানকার হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অংশে এনে আমাদের কাছে পৌঁছে দিলে পর্যাপ্ত পুলিশ পাহারার মাধ্যমে কুমিল্লা জেলা পুলিশ তাদেরকে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। গত দুই-তিন দিন ধরে প্রবাসীদের প্রায় শতাধিক গাড়িকে এভাবে নিরাপদে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। 

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম ও রাশেদুল হক চৌধুরী, জেলা ডিবির ওসি মো. আবদুল্লাহ, চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মো. হিলাল উদ্দিনসহ জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ