গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো শাহজাদপুর উপজেলা আ.লীগ কার্যালয় ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল
Published: 8th, February 2025 GMT
মাঝরাতে এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালায়। সেইসঙ্গে মনিরামপুর এলাকায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও প্রতিকৃতি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও শক্তিপুর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার সড়কের নামফলকসহ উপজেলা সদরের কয়েকটি সড়কের নামফলক ভেঙে ফেলা হয়েছে।
শনিবার রাত ১২টার পর শাহজাদপুর উপজেলা সদরে এসব ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা হাতুড়ি ও রড নিয়ে শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। একপর্যায়ে এক্সকাভেটর বা ভেকু মেশিন নিয়ে একটি একতলা ঘর এবং চারিদিকে ইটের দেওয়াল দেওয়া আরেকটি টিনশেড ঘর গুঁড়িয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়।
শাহজাদপুর থানার ওসি আলী আসলাম জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৪ আগষ্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি ভাঙচুর করা হয়েছিল। শনিবার রাতে অবশিষ্ট অংশ গুঁড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
চলতি বছরের মধ্যে নির্বাচন চায় জামায়াত: সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন চায় জামায়াতে ইসলামী। এ সময়ের মধ্যে যৌক্তিক সংস্কার শেষ করে সরকার নির্বাচন দেবে বলে আমাদের আশা।’
আজ শনিবার শরীয়তপুর পৌরসভা মিলনায়তন চত্বরে জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে যোগদানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে কর্মী সম্মেলনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের ৩০০ আসনে নির্বাচনের ডাক দিয়েছে। ডাইরেক্টলি অথবা ইনডাইরেক্টলি নির্বাচনে ৩০০ আসনেই অংশ নেবে। সরাসরি আমাদের দলের ব্যানারে হতে পারে, অন্য দলের সঙ্গে সমন্বয় করে হতে পারে। সবার সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে হতে পারে। আর এ জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বাংলাদেশের মানুষের জাতীয় ঐক্য। যার যার দল থাকবে, মত থাকবে। সেটা প্রকাশের সুন্দর রাস্তা থাকতে হবে।’
জামায়াতের নায়েবে আমির আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে নতুন রাজনীতি করবে। অধিকারের রাজনীতি, সম্মানের রাজনীতি ও ভালোবাসার রাজনীতি করবে। আমাদের ভোট দিয়ে একবার পরীক্ষা করুন, দেখেন। আমাদের প্রশ্ন করুন। ১৯৭৩ সালে যাঁরা সংবিধান রচনা করেছিলেন, তাঁরা পাকিস্তানের গণপরিষদের নির্বাচিত সদস্য। সেই সংবিধান অবৈধ, আমরা তা মানি না। ’৭২–এর সংবিধান বাতিল করে তা নতুন করে লিখতে হবে।’
জেলা জামায়াতের আমির আবদুর রব হাসেমীর সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সাইফুল আলম খান, জেলার সাবেক আমির খলিলুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য কে এম মকবুল হোসাইন, ফরিদপুর জেলার আমির মুহাম্মদ বদরুদ্দীন, গোপালগঞ্জের আমির রেজাউল করিম, মাদারীপুরের আমির মোখলেসুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।