এবারের বিপিএলে ছিল ঘটনার ঘটঘটা। ভালো-মন্দের মিশেলে শেষ হওয়া বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল। টুর্নামেন্টে দেশি ও বিদেশি বেশ ক’জন ক্রিকেটার নিয়মিত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যম ক্রিকইনফো তাদের মধ্য থেকে বেছে নিয়েছে বিপিএলের সেরা একাদশ। 

তামিম আছেন, তামিম নেই: বিপিএলের সর্বোচ্চ ৫১১ রান করেছেন নাঈম শেখ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮৫ রান করেছেন তানজিদ তামিম। তাদের মধ্যে নাঈম শেখকে রাখা হয়েছে ওপেনার বিবেচনায়। ফাইনালে ফিফটি করে দলকে শিরোপা জেতানো তামিম ইকবাল তার সঙ্গী। তামিম বিপিএলের চতুর্থ সর্বোচ্চ ৪১৩ রান করেছেন। তিনের বিবেচনায় রাখা হয়েছে ৩৮৬ রান করা জাকির হাসানকে। একাদশে জায়গা হয়নি তানজিদকে।

মিডল অর্ডার: গ্রাহাম ক্লার্ক বিপিএলের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৩১ রান করেছেন। চিটাগংকে ফাইনালে তুলতে তার ছিল বড় ভূমিকা। চারের বিবেচনায় ক্লার্ক আছেন বিপিএলের সেরা একাদশে। স্লগার হিসেবে রাখা হয়েছে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে।

খুশদীল-ফাহিমে বাদ মিরাজ: বিপিএলের সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন দুই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার খুশদীল শাহ ও ফাহিম আশরাফ। এর মধ্যে স্পিন অলরাউন্ডার খুলদীলকে ৫ নম্বরে ব্যাটিংয়ের বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। তিনি ২৯৮ রান করেছেন ও ১৭ উইকেট নিয়েছেন। পেস অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ সাতের বিবেচনায় রাখা হয়েছে। ফাহিম ২০ উইকেট নিয়েছেন। স্লগে কার্যকর ইনিংসও দেখিয়েছেন। তাদের দু’জনকে জায়গা দিতে আসরের সেরা ক্রিকেটার মেহেদী মিরাজ জায়গা পাননি। মিরাজ ৩৫৫ রান করেছেন ও ১৩ উইকেট নিয়েছেন। তবে টপ অর্ডারে ব্যাট করায় মিরাজকে একাদশে রাখা হয়নি।

স্পিনে খুশদীলের সঙ্গী আলিস: স্পিন অলরাউন্ডার খুশদীলের সঙ্গে সেরা একাদশে রাখা হয়েছে চট্টগ্রামের রহস্য স্পিনার আলিস আল ইসলামকে। তিনি টুর্নামেন্টে ১৫ উইকেট নিয়েছেন।

একাদশে তিন পেসার: টুর্নামেন্ট শেষে রংপুর রাইডার্সের কোচ আশরাফুল বলেছিলেন, এবারের বিপিএলের আবিষ্কার আকিফ জাভেদ। পাকিস্তানি বাঁ-হাতি পেসার আছেন ক্রিকইনফোর সেরা একাদশে। তিনি ২০ উইকেট নিয়েছেন। সর্বাধিক উইকেট নেওয়া তাসকিন আছেন বিপিএলের একাদশে। তাদের পেস আক্রমণের সঙ্গী খালেদ আহমেদ। তিনিও নিয়েছেন ২০ উইকেট।

ক্রিকইনফোর বিপিএল সেরা একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), নাঈম শেখ, জাকির হাসান, গ্রাহাম ক্লার্ক, খুশদীল শাহ, মাহিদুল অঙ্কন (উইকেটরক্ষক), ফাহিম আশরাফ, আলিস ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, খালেদ আহমেদ, আকিফ জাভেদ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল উইক ট ন য় ছ ন র ন কর ছ ন ব প এল র স র ব প এল আশর ফ

এছাড়াও পড়ুন:

বোনের মরদেহ রিকশায় করে বাড়ি নিয়ে আসি: চিরঞ্জীবী

ভারতের বরেণ‌্য অভিনয়শিল্পী, অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী চিরঞ্জীবী। চার দশকের অভিনয় ক‌্যারিয়ারে তেলেগু, তামিল, হিন্দি, কন্নড় ভাষার অনেক সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। বিশেষ করে তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তার অবদান অনেক।

চিরঞ্জীবী তার একজীবনে যশ-খ্যাতি যেমন কুড়িয়েছেন, তেমনি অঢেল সম্পদেরও মালিক। উত্তরাধিকার হিসেবে পুত্র রাম চরণ নিজেকে উচ্চ অবস্থানে নিয়ে গেছেন। আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়, তার জীবনে অপূর্ণতা বলতে কিছু নেই! কিন্তু আদতে জীবন এমন নয়। কারণ মানুষের জীবনের ভাঁজে ভাঁজে গল্প লুকিয়ে থাকে। চিরঞ্জীবী তার পারিবারিক অজানা অধ্যায় শেয়ার করেছেন একটি পডকাস্টে।

চিরঞ্জীবীর আসল নাম শিব শংকর ভারা প্রসাদ কোন্দিলা। তবে চিরঞ্জীবী নামেই অধিক পরিচিত। তার বাবার নাম কোন্দিলা ভেঙ্কট রাও আর মায়ের নাম অঞ্জনা। তার বাবা-মা সংগ্রামী জীবনযাপন করেছেন। বিশেষ করে তার মা বড় ধরনের ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে জীবন কাটিয়েছেন।

চিরঞ্জীবী বলেন, “এমন একটি ঘটনা আছে, যা নিয়ে ভাবলেই চোখে জল চলে আসে। গর্ভপাতের কারণে আম্মা তিন সন্তানকে হারান। অথবা এক বছর, দুই বছর এবং আড়াই বছরের সন্তানকে হারান আমার আম্মা।”

ভাই-বোনদের একা সামলাতেন চিরঞ্জীবীর মা। তা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, “আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি, তখন আমার একটি বোনের জন্ম হয়, তার নাম ছিল রমনা। সেই সময়ে বাবা প্রতিদিন বাইরে চলে যেতেন আর আম্মা একাই আমাদের সামলাতেন।”   

চিরঞ্জীবীর এক বোন মারা যায়। সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এই মেগাস্টার বলেন, “আমার বোন রমনার ব্রেইন টিউমার ধরা পড়ে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। আমি আর আম্মা বোনের মরদেহ রিকশায় করে বাড়ি নিয়ে এসেছিলাম। আমরা জানতাম না কীভাবে শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে হয়। সেই সময়ে আমাদের প্রতিবেশী ছিল একটি মুসলিম পরিবার। তারা আমাদের সহযোগিতা করে। খবর পেয়ে বাবা বাড়ি আসেন। এরপর আমরা বোনের শেষকৃত্য সম্পন্ন করি।”

সর্বশেষ কোন্দিলা ভেঙ্কট রাও এবং অঞ্জনা দম্পতির চার সন্তান জীবিত রয়েছেন। তারা হলেন— চিরঞ্জীবী, নাগেন্দ্র বাবু, পবন কল্যাণ ও বিজয়া দুর্গা।

১৯৭৮ সালে তেলেগু ভাষার ‘পুনাধিরুলু’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন চিরঞ্জীবী। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে বিভিন্ন ভাষার ১৫০টির বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে— ‘খাইদি’, ‘পাসিবাড়ি প্রণাম’, ‘ইয়ামুডিকি মুগুডু’, ‘গ্যাং লিডার’, ‘ঘরনা মুগুডু’ প্রভৃতি।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ গত বছর ভারত সরকার চিরঞ্জীবীকে পদ্মবিভূষণ পুরস্কার দিয়েছে। ২০০৬ সালে এই দক্ষিণী মেগাস্টারকে পদ্মভূষণ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ