ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সমর্থকগোষ্ঠী কেমন তা বুঝতে সদ্য সমাপ্ত বিগ ব্যাশ লিগের (বিবিএল) দিকে নজর দেওয়া যাক। বিবিএল ২০২৫ মৌসুমে হোবার্ট হ্যারিকেনসকে চ্যাম্পিয়ন করেন মিচেল ওয়েন নামের এক ২৩ বছরের তরুণ। দারুণ শতকে ম্যান অব দা ফাইনাল হওয়ার পরই মিচেলের ১০ বছর পুরোনো একটা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে ওঠে। তাতে দেখা যায় হোবার্ট হ্যারিকেনসের জার্সি গায়ে গ্যালারিতে বসে আছে ১৩ বছরের উচ্ছ্বসিত ওয়েন। অর্থাৎ ক্ষুদে ভক্ত থেকে সেই দলের ক্রিকেটার। একাদশ আসরে এসেও ঠিক এই জায়গাটাতে একদমই পিছিয়ে বিপিএল। বরিশালকে টানা দ্বিতীয় শিরোপা এনে দিয়ে তামিম এবার সে দিকে নজর দিতে বললেন বিসিবিকে।

আইপিএলে দেখা যায় মহেন্দ্র সিং ধোনী মানেই চেন্নাই সুপার কিংস, মুম্বাইয়ের নাম নিলে সবার আগে আসবে রোহিত শর্মা। অন্যদিকে র‍য়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালর ও বিরাট কোহলি তো সমার্থক। সমর্থকরা জানেন যে কিছু ক্রিকেটার সবসময়ই খেলবে তাদের হয়ে। অথচ প্রতি মৌসুমে বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা ও নামে বদল আসাটা চিরন্তনের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। ক্রিকেটাররা এই মৌসুমে রাজধানীর দলে তো পরের মৌসুমে চায়ের দেশের দলে। থিতু হওয়ার সুযোগই নেই। এই ব্যাপারগুলোর দিকে দৃষতি দিতে বললেন তামিম। দেশ সেরা এই ওপেনারের চাওয়া, প্রতি আসরে প্রতি দলে ৪ থেকে ৬ জন ক্রিকেটার ধরে রাখার নিয়ম যেন রাখা হয় বিপিএলে।

২০২২ সালে বিসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোকে তিন বছরের জন্য বিপিএলের মালিকানা দিয়েছিল, যা এবার শেষ হয়ে গেছে। শোনা যাচ্ছে আগামী মৌসুম থেকে বিসিবি সেই সময় বাড়িয়ে পাঁচ বছরে নেওয়ার কথা ভাবছে। তবে দুশিন্তার ব্যাপার হচ্ছে ক্রিকেটারদের পরিবর্তন হওয়াটা অবধারিত। গত দুই আসরে প্রতিটি দল সর্বোচ্চ তিনজন ক্রিকেটারকে তাদের স্কোয়াডে ধরে রাখতে পারত। ফলে টানা দুই শিরোপা জয়ী বরিশাল অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে ছাড়তে বাধ্য হবে। ক্রিকেটার যেই হোক, একই দলে নিয়মিত খেলাটা জরুরী।

আরো পড়ুন:

তামিমের কাছে গত আসরের শিরোপাটাই বেশি তৃপ্তির

মিরাজ ম্যান অব দ্য বিপিএল, কে জিতলেন কোন পুরস্কার 

ফাইনালের পর সংবাদ সম্মেলনে এই ব্যাপারে তামিম বলেন, “এত কষ্ট করে একটা সমর্থকগোষ্ঠী তৈরি করেছি আমরা। এই জিনিসটা কিন্তু প্রথম বিপিএল থেকে সবাই চাইত যে সব ফ্র্যাঞ্চাইজির একটা সমর্থকগোষ্ঠি হোক। আইপিএলের উদাহরণ একটা দিই। সেখানে নিয়ম কখনও পরিবর্তন হয় না। কোর ক্রিকেটাররা কিন্তু একই দলে থেকে যায়। ঠিক আছে তিন বছরের একটা চক্র শেষ হয়ে গেছে। পাঁচ বছরের একটা চক্র আসবে। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে তাদের কোর ক্রিকেটারগুলো ধরে রাখার একটা সুযোগ দেওয়া উচিত। আপনি যদি মাত্র একজনকে ধরে রাখেন তাহলে তো এত দিন ধরে যে (সমর্থকগোষ্ঠী) গড়েছেন, সব শেষ হয়ে যাবে। তাই যদি ৫টা, ৬টা বা ৪টা.

.. কমপক্ষে ৪ জন ধরে রাখার সুযোগ যদি দেয়, তাহলে ফ্যানবেইজ যে তৈরি হয়েছে, এটা আরও বড় হবে। ক্রিকেটাররাও ওই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। তাই আমি আশা করি, যখনই পরের আসরের নিয়মকানুন করবেন উনারা, এই জিনিসটা যেন মাথায় রাখেন।”

মালিকানা বদলালেও যেন ক্রিকেটাররা নিজ দলে থেকে যাওয়ার সুযোগ পান সেই ব্যাপারেও পরামর্শ দিলেন তামিম, “এখন যেটা সমস্যা হয়, মালিকপক্ষ বদলে যায়। উদাহরণ ধরা যাক, চিটাগং এবার এক মালিক, পরের বছর আরেক মালিক। কিন্তু এটাতেও দলটা তো একই থাকছে। ক্রিকেটাররা তো একই থাকছে। তাই মালিক পরিবর্তন হোক বা না হোক, অন্য কেউ আসুক বা না আসুক, কিন্তু কেউ যদি চিটাগংয়ের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে তাহলে তাকে স্কোয়াডে ধরে রাখার অনুমতিটা রাখা উচিত। তাদের যদি ইচ্ছে হয় যে ধরে রাখবে না, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। শুধুমাত্র মালিক বদলে যাওয়ার কারণে অন্য দলগুলো ভুগবে, এটা ঠিক নয়। তাই আমার মনে হয়, অন্তত যদি ৬ জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখার সুযোগ যদি দেয়, তাহলে এই ধরনের ফ্যানবেইজ, আপনারা যা দেখছেন, এটা আরও বড় হবে।”

ঢাকা/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ত ম ম ইকব ল জন ক র ক ট র ফ র য ঞ চ ইজ ব প এল বছর র র একট

এছাড়াও পড়ুন:

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হবে। আমরা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সেই মতামত নেব।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ছয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইতোমধ্যে অনলাইনে আপলোড করা হয়েছে। কমিশনগুলো বিভিন্ন পর্যায়ে সংস্কারের কথা বলেছে, যা আগামী নির্বাচনের আগে করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, ছয় সংস্কার কমিটি দুই হাজার সুপারিশ করেছে। কিছু কিছু সংস্কার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে করা হবে। এরই মধ্যে কিছু সংস্কার কার্যক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেছে।

অযথা কালক্ষেপণ করে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতায় থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই বলেও এ সময় জানান আসিফ নজরুল।

বিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

বিএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ