বাঙালি খাবার এবং ‘আর্ট অব প্লেটিং’: ঐতিহ্যের সঙ্গে নান্দনিকতার মেলবন্ধন
Published: 8th, February 2025 GMT
‘আগে দর্শনদারি পরে গুণ বিচারি’। প্রবাদবাক্যটি কমবেশি সবাই শুনেছি। চোখের দেখায় প্রাথমিকভাবে ভালো লাগলেই আমরা যেকোনো জিনিসের গুণ বিচার করতে শুরু করি। এই জিনিসগুলোর তালিকায় শীর্ষে আছে খাবার।
খাবারের ক্ষেত্রে স্বাদ যতটা জরুরি, তার চেয়ে জরুরি সেটি দেখতে কেমন! খাবার দেখতে ভালো না হলে বা এর উপস্থাপনাটা সঠিক না হলে ঠিকঠাক খাওয়ার রুচি হয়ে ওঠে না। চমৎকার স্বাদের একটি খাবারকে সাজিয়ে পরিবেশন করার প্রয়োজনে যে শিল্পের উদ্ভব হয়েছিল, সেটাই ‘আর্ট অব প্লেটিং’।
খাবারের রং, উচ্চতা, প্লেটের মধ্যকার জায়গার সুষ্ঠু ব্যবহারের সমন্বয় একটি খাবারকে দেখতে অসাধারণ করে তোলে। আধুনিকায়নের সঙ্গে সঙ্গে প্লেটিংয়ের শিল্পও রন্ধনশিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। বড় বড় হোটেল, রেস্তোরাঁয় খাবারের পরিবেশন এবং উপস্থাপনকে এর স্বাদের মতোই গুরুত্ব দেওয়া হয়।
প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায় রাজকীয় ভোজের খাবার সাজানো হতো অনন্যভাবে। মাংস, ফল এবং মসলাজাতীয় খাবারের রং প্রদর্শন করা হতো আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে ফরাসি রন্ধনের ধারায় নিয়ে আসা হয় সহজ-সরল ধরনের প্লেটিং। যেখানে খাবারের প্রতিটি উপাদানকে তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য অনুযায়ী উপস্থাপন করা হতো। এই সাধারণ উপস্থাপনা ও পরিবেশনই খাবারের স্বাদকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিত।
বাঙালি খাবারের ক্ষেত্রেও প্লেটিং–শিল্পটা খুব গুরুত্বপূর্ণ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপস থ
এছাড়াও পড়ুন:
গুলিবিদ্ধ মদনটাক পাখি উদ্ধার করে জবাই, মাংস ভাগাভাগির অভিযোগ
বরগুনা সদর উপজেলায় গুলিবিদ্ধ একটি মদনটাক উদ্ধার করা হয়। পরে জবাই করে মাংস ভাগ করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় পরিবেশকর্মী আরিফুর রহমান বলেন, মদনটাক পাখিটি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত হয়ে আশ্রয় নেওয়ার জন্য গিয়ে প্রাণ হারাল গ্রামবাসীর হাতে। সবার সামনে একটি মদনটাক জবাই করে উল্লাস করা হলো। একজন জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে এই জঘন্য কাজ সংঘটিত হলো। পাশেই বিষখালী নদীর মাঝের চরে অনেক পাতা বন আছে। পাখিগুলো নিরাপদ জায়গা খোঁজে। পাখিটি গুলিবিদ্ধ মানেই এটা প্রমাণ করে যে পেশাদার পাখি শিকারি এখনো পাখি শিকার করছে।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ১০টার দিকে তেঁতুলবাড়িয়া নদীর পাড়ে একটি ফসলি মাঠের পাশে খেলছিল ৭ থেকে ১০ বছরের কয়েকজন শিশু। এ সময় ডানায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একটি মদনটাক পাখি নদীর পাড়ে এসে পড়ে। শিশুরা বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দা আব্বাস মিয়াকে জানান। পরে আব্বাস বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম ও মনির খলিফাকে সঙ্গে নিয়ে পাখিটি উদ্ধার করেন। সেখানে এলাকার লোকজন জড়ো হলে পাখিটি জবাই করে তাঁরা মাংস ভাগাভাগি করে নেন।
পাখি জবাই করে মাংস ভাগাভাগির বিষয়ে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার এলাকায় একটি বিলুপ্ত প্রজাতির পাখি আহত অবস্থায় ধরা হয়েছে। আমি তখন বরগুনা শহরে অবস্থান করছিলাম। খবর শোনার পর আমি দ্রুত এলাকায় চলে যাই। আমার যাওয়ার আগেই স্থানীয় লোকজন পাখিটিকে জবাই করে। আমার নামে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা ঠিক না।’
বরগুনা সদর উপজেলার বিট কর্মকর্তা জালাল আহমেদ খান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই পাখিটি জবাই করে মাংস ভাগ করে নিয়েছে এলাকার লোকজন। এ ঘটনায় তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি আলামত জব্দের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।