পুলিশ ভাইয়েরা বেনজীরের ফাঁদে পা দেবেন না: জামায়াত আমির
Published: 8th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
পুলিশ বাহিনীকে উদ্দেশে করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, পুলিশ ভাইদের বলছি, বেনজীরের ফাঁদে পা দেবেন না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বক্তব্য প্রসঙ্গে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কক্সবাজারে এক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর পর জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনিুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমির বলেন, ধর্ম যার যার, বাংলাদেশ সবার। আমরা আমাদের এ দেশে সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু একেবারেই মানি না। বাংলাদেশে যারাই জন্মগ্রহণ করেছে তারা এ দেশের মর্যাদাবান গর্বিত নাগরিক। ইসলাম কারো ওপর জোর খাটানোর কোনো অধিকার রাখে না। অন্য ধর্মও কোনো ধর্মের ওপর জোর খাটাতে পারবে না, যদি সেটি ধর্ম হয়ে থাকে।
ডা.
ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি তিনি অনুরোধ জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে কোথায় কোথায় জামায়াতের কর্মীরা এসব অপকর্ম করেছে, তা সুস্পষ্ট করে নাম-ঠিকানা দিয়ে আমাদের সাহায্য করুন। আপনাদেরকে কথা দিচ্ছি, ন্যায়বিচার আমরা আপনাদের হাতে তুলে দেবো। আমরা নিশ্চিত এই অপকর্মের সঙ্গে আমাদের সহকর্মীরা জড়িত নয়।
২৪-এর অভ্যুত্থানকারী প্রজন্মকে সম্মান জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, তোমাদের নেতৃত্বে আমরা ছিলাম। সাড়ে ১৫ বছর আমরা আমাদের নেতৃত্বে আন্দোলন করেছি। কিন্তু স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে পারিনি। এটাই সত্য কথা। কিন্তু সাড়ে ১৫ বছরের ধারাবাহিকতায় তোমাদের নেতৃত্বে জাতি শেষ আঘাতটা ফ্যাসিজমের ওপর দিয়েছিল এবং জাতি সফল হয়েছে।
আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড প্রসঙ্গ টেনে জামাতে ইসলামীর এই শীর্ষ নেতা বলেন, অনেকে আবার নিজেরা কৃতিত্ব দাবি করে। আমি মাস্টারমাইন্ড, অমুক ভাই মাস্টারমাইন্ড, তমুক নেতা মাস্টারমাইন্ড। মহা পরিকল্পনাকারী মহান রব্বুল আল আমিনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়েছে। এখানে কোনো মাস্টারমাইন্ড আমরা বিশ্বাস করি না।
একটা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা আমরা এখনো পেলাম না বলে আক্ষেপ জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ স্বাধীনতা অর্জন করার পর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরাও সেভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো, সেটা ছিল আমাদের আশা। কিন্তু বাস্তবে সে আশা পূরণ হয়নি। যদি বলি একেবারেই পূরণ হয়নি, তাহলে কথাটা সত্য হবে না। কিন্তু পূরণ হওয়ার বিশাল প্রত্যাশা মানুষের ছিল।
জামায়াতে ইসলামীর প্রতি অবিচার প্রসঙ্গে ডা. শাফিকুর রহমান বলেন, আইনের অঙ্গনে এসে যারা বেআইনি কর্মকাণ্ড করেছেন, প্রধান বিচারপতির দরজায় এসে লাথি দিয়েছিলেন, আওয়ামী লীগ তাদের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বানিয়েছিল। এদের কাছ থেকে বিচার পাওয়া যাবে না এটাই স্বাভাবিক। তাই অবিচারের শিকার হয়ে আমাদের ১১ জন কলিজার টুকরা শীর্ষ নেতা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। তাদেরকে ঠান্ডা মাথায় বিচারের নামে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রতিশোধে বিশ্বাস করি না, তবে আমরা অবশ্যই অপকর্মের বিচার চাই। আমাদের কথা স্পষ্ট। সবগুলো খুনের বিচার হতে হবে। বিশেষ করে ২৪-এর গণহত্যার বিচার অবশ্যই হতে হবে। আগে বিচার তারপর অন্য কাজ। এ বিচার না হলে শহীদের আত্মা কষ্ট পাবে।
এর আগে, সকাল ৯টায় কক্সবাজার সরকারি কলেজ মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কক্সবাজার জেলা শাখার আয়োজনে এ সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ নুর মোহাম্মদ আনোয়ারির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, মুহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী প্রমুখ।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত র আম র ইসল ম র ম ন বল কর ম র আম দ র র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
“প্রকাশ্যে চলছে পরিবহনে চাঁদাবাজি” জনবল চেম্বারের, ব্যবসা তাদের!
রমজানের যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রশাসনকে সাহায্য করতে কমিউনিটি পুলিশের পাশাপাশি ১৮০ জন সদস্য দেয় নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি।
যানজট নিয়ন্ত্রণে চেম্বারের সহযোগীতায় পুরো রমজান মাসব্যাপী চলবে এই কার্যক্রম। রমজানে রোজাদারসহ সকল মানুষের ভোগান্তি রোধে এ কার্যক্রম হাতে নেয় চেম্বার। পাশাপাশি সড়ক দখলমুক্ত রাখতেও নানা উদ্যোগের চেষ্টা করছে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি।
এদিকে চেম্বারের এ জনবলকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায় মেতে উঠেছে এক শ্রেণীর পরিবহন চাঁদাবাজরা। তারা চেম্বারের দেয়া জনবলকে নিজেদের দাবি করে যানবাহন বিশেষ করে অটো রিকশা থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে। বর্তমানে পুরো শহর ছেয়ে গেছে এ চাঁদবাজরা।
শহরের ২নং রেলগেট, ১নং রেলগেট, মন্ডলপাড়া, নিতাইগঞ্জ, চাষাঢ়া চত্বর, মহিল কলেজ সংলগ্ন এলাকা ও তোলারাম কলেজ মোড় সহ বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা মিলছে এ চাঁদাবাজদের। তেমনি এক চিহ্নিত চাঁদাবাজ হলো মো: সাইদ। যিনি চেম্বারের ওই জনবলকে নিজেদের জনবল দাবি করে অটো রিকশা থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে বলে গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শহরের চাষাঢ়ার মত এলাকায় দাঁড়িয়ে পুলিশ প্রশাসনের চোঁখ ফাকি দিয়ে তিনি অনেকটা প্রকাশ্যেই এ চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে সচেতন নগরবাসীর বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আমরা আজ যে দেশ দেখতে পাচ্ছি। তা আমরা কখনোই কল্পনা করিনি। প্রশ্ন জাগে, তারা সেদিন বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিলো কি এ বাংলাদেশের জন্য? কিছুইতো বদল হলো না। এখনও এ দেশে চাঁদাবাজী, দখলবাজী ও নারী-শিশু ধর্ষণসহ নানা অপকর্ম চলছে। তাহলে লাভ কি হলো?
আমরা চাই, এসব সকল অপকর্মকারিদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। আমরা এদেশে বিশেষ করে আমাদের এ নারায়ণগঞ্জে আর কোন প্রকার চাঁদাবাজী দেখতে চাই না, আর কোন দখলবাজ দেখতে চাই না, আর কোন ধর্ষণের ঘটনা দেখতে চাই না। আমরা এসব অপকর্মকারিদের কঠোর হস্তে দমন করে একটি সুন্দর ও নির্মল বাংলাদেশ গড়ে তোলতে প্রশাসন থেকে শুরু করে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
সচেতন নগরবাসী আরও বলেন, তাদের কত বড় সাহস হলে চাষাঢ়ার মত জায়গা জনবল দেয়ার কথা বলে চাঁদাবাজি করছে। এসব কি পুলিশ প্রশাসনের চোঁখে পড়ছে না। যদি পড়ে তাহলে বলবো, দয়া করে আর নিরব থাকবেন না। এবার দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের স্বার্থে একটু সক্রিয় হোন। এসব চাঁদাবাজদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন যাতে নতুন এ দেশে আর কোন চাঁদাবাজদের জন্ম না হয়।