গাছে ঝুলছিল প্রতিবন্ধী নারীর বিবস্ত্র মরদেহ
Published: 8th, February 2025 GMT
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বাকপ্রতিবন্ধী এক নারীর বিবস্ত্র মরদেহ গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের ধারণা, ধর্ষণের পর হত্যা করে জাহানারা বেগমের (৪০) মরদেহ কে বা কারা গাছে ঝুলিয়ে রেখেছিল।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার দৌলতখালী ইউনিয়নের দাঁড়ের পাড়া গবড়গাড়া গ্রামের গইড়ির মাঠ এলাকার জিনা মেম্বারের পুকুর পাড়ের একটি গাছ থেকে মরদেহটি ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়।
মারা যাওয়া জাহানারা বেগম একই ইউনিয়নের দৌলতখালী গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের মেয়ে।
আরো পড়ুন:
রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে বখাটের হেনস্তা, বাউফলে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
দু’ শিশু সন্তানকে হত্যা করে মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা
এলাকাবাসী জানায়, গতকাল শুক্রবার রাতে এশার নামাজের পর দাড়ের পাড়ার মোড়ের একটি দোকানে বসে থাকতে দেখা যায় জাহানারাকে।
নিহতের ভাই রাহাতুল ইসলাম বলেন, “জাহানারা বাক প্রতিবন্ধী। তিনি প্রতিদিনের মতো সংসারের কাজকর্ম শেষে গতকাল সন্ধ্যার পরে হাঁটা-হাঁটির জন্য বাইরে যান। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। জাহানারা বাক প্রতিবন্ধী হলেও সংসারের সব কাজ করতে পারেন। তিনি মানুষের বাসা-বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন।”
তিনি আরো বলেন, “আজ সকালে আমরা জানতে পারি, বিবস্ত্র অবস্থায় তার মরদেহ একটি গাছে ঝুলছে। আমরা এসে দেখি, তার জামা কাপড় বিভিন্ন জায়গায় পড়ে আছে এবং তার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমাদের ধারণা, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে বিচার চাই আমরা।”
দৌলতপুর থানার ওসি নাজমুল হুদা বলেন, “পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করেছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
শঙ্খচিল অবমুক্ত করল সিকৃবির প্রাধিকার
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) প্রাণীকল্যাণ ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা সংগঠন প্রাধিকারের উদ্যোগে একটি উদ্ধার করা শঙ্খচিল অবমুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন টিলাগড় ইকোপার্কের গভীর অরণ্যে পাখিটিকে অবমুক্ত করেন প্রাধিকারের সদস্যরা।
প্রাধিকার সুত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি সিলেট নগরীর মেজরটিলার পশ্চিম ভাটপাড়া এলাকার স্থানীয় রনি ও আলিফ নামক দুইজন ব্যাক্তি পাখিটি উদ্ধারের পর প্রাধিকারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন। উদ্ধারের সময় পাখিটি আহত অবস্থায় ছিল। পরবর্তীতে আহত পাখিটির কথা জানতে পেরে প্রাধিকারের শুভাকাঙ্ক্ষী প্রত্যয় হাসান পাখিটির সেবার দায়িত্ব নেন। দীর্ঘ ১১ দিনের সেবাশুশ্রূষা শেষে সুস্থ অবস্থায় আজ পাখিটি অবমুক্ত করা হয়।
প্রাধিকারের সাধারণ সম্পাদক ইসহাক হাসিব বলেন, “প্রাধিকার প্রাণীকল্যাণ নিয়ে কাজ করে। এরই অংশ হিসেবে পশুপাখি উদ্বারের পর সাধ্যানুযায়ী চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হয়। আজ আমরা একটি শঙ্খচিল অবমুক্ত করেছি।”
তিনি বলেন, “এসব পাখি নানাভাবে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করছে। কিন্তু যত্রতত্র বিদ্যুৎ তারের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনায় শিকার হয়। সবার প্রতি অনুরোধ, আহত প্রাণী দেখলে তাদের আঘাত না করে সেবার মাধ্যমে আমরা সবাই জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এগিয়ে আসতে পারি।”
পাখিটিকে অবমুক্ত করার সময় প্রাধিকারের সভাপতি জিহাদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ইসহাক হাসিব, সহ সভাপতি মো. মাসুদুর রহমান খোন্দকার, যুগ্ম সম্পাদক আফম আব্দুল্লাহ, সহকারী কোষাধ্যক্ষ নুরসাত জাহান তন্নী, মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শঙ্খচিল চিল পরিবারের অন্তর্ভুক্ত একটি পাখি, যা ব্রাহমিনি কাইট নামেও পরিচিত। শঙ্খচিলের মাথা, ঘাড়, বুক, পেটের তলার পালক শঙ্খের মতো সাদা হয়ে থাকে বলে এই পাখিটি শঙ্খচিল নামে পরিচিত। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত উপমহাদেশের সর্বত্র, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় পাখিটি দেখা যায়।
ঢাকা/আইনুল/মেহেদী