গণঅভ্যুত্থানে আহত পলাশকে নেওয়া হলো থাইল্যান্ডে
Published: 8th, February 2025 GMT
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গুলিতে আহত রবিউল হোসেন পলাশকে (৪৮) উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাকে থাইল্যান্ড পাঠানো হয়। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান সিএমএইচে আহতদের চিকিৎসা নিয়ে কাজ করা ছাত্র প্রতিনিধি নুসরাত জাহান ও মো. ইমরান খান।
গত ৪ আগস্ট জুলাই গণবিপ্লবে গুলিতে আহত হন পলাশ। একটি গুলি তার পেটকে ছিদ্র করে লিভারে আঘাত করে। আর একটি গুলি তার স্পাইনাল কর্ডকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। পরে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার পেটে অপারেশন করা হয়। কিন্তু বুলেটের আঘাতে ছিন্নভিন্ন হওয়া স্পাইনাল কর্ড ঠিক হওয়া সম্ভব না। এজন্য চিরতরে হাটাচলার ক্ষমতা হারান তিনি।
পরে সিএমএইচে তাকে নিয়ে বোর্ড করা হয়। বোর্ডের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় রোবটিক ফিজিওথেরাপির জন্য তাকে থাইল্যান্ডের ভেজথানি হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণঅভ য ত থ ন আহত
এছাড়াও পড়ুন:
চারবার হার্টবিট বন্ধ, শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আটবছর বয়সী শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন। বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকস্মিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য শারীরিক জটিলতাও রয়েছে।
বুধবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে। শিশুটির সুস্থতার জন্য সেনাবাহিনী দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের শিশুরোগের চিকিৎসাসংক্রান্ত নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (পিআইসিইউ) শিশুটির চিকিৎসা চলছে। প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং সে অনুযায়ী তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
সেনাবাহিনীর ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, শিশুটি আজ (বুধবার) চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়েছে। সিপিআর (কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন) দিয়ে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করা হয়েছে। তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। অন্যান্য জটিলতার পাশাপাশি শিশুটির রক্তচাপ ৬০/৪০ মিমি পারদ কিংবা তার চেয়ে নিম্নমুখী।
আট বছরের শিশুটি গত বুধবার (৫ মার্চ) বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও তার অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।